সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১১

এটা কেমন হয়ে গেল না?

নামে হউক আর অরিজিনালি হউক যারা মুসলিম নামধারী আর রিয়ালি মুসলিম; তাদের কাছে একটি জিজ্ঞাসাঃ


আমি শুনিয়াছি যে, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সংবিধান হইতে আল্লাহর উপর আস্থা বাতিল করিয়াছেন। আমার শোনা যদি ভূল না হইয়া থাকে তবে যেহেতু আমি মুসলিম আর আপনারা মুসলিম হিসেবে যথার্থ সম্মানের সাথে আপনাদের কাছে আমার প্রশ্নটা হলো- তাঁহার সম্মানিত পিতার তথা আওয়ামীলীগের জাতির পিতার [মুসলমানের জাতির পিতাঃ হযরত ইব্রাহীম (আঃ)] সারা জীবনের পাপ মোচনের জন্য কাহার কাছে প্রার্থনা করিয়াছেন? কেউ মাইন্ড করবেন না। আর আমার ভূল হইলে মাফ করিবেন। আর যদি ভূল নাই হয় তাহা হইলে আমাকে আমার জিজ্ঞাসার জবাব দিয়া আমাকে উক্ত বিষয়ে বুঝিতে সাহায্য করিবেন। প্লীজ!

লাল জলে--




নয় মানে মম শির
মন তৃঞ্চে শান্তির
লই মনে ভেটে সব
দাও গাঁই কঞ্চির।

লাল জলে গরমিল
ভাসে তব নিজ দিল
ভরাব যে তরী ঘাট
নাই পাই ঠাঁই তিল।

চাহি ঘুম অল্পায়
সুধা মাখ মন-কায়
তুলে নাও প্রতিস্রোত
প্রেম ঢেলে আত্মায়।

মিলেনি লিখার রবি



১১ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, তাতে মারা যাওয়া ৪৪ জনের মধ্যে ৪০ জনই ছিল স্কুলের শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী। আমরা এটা মেনে নিতে পারছি না। কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে এ মাসেই। সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে খেলে ফেরার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় ৩ ছাত্রছাত্রীসহ চারজন নিখোঁজ হয়েছে। এসব ঘটনার জন্য দায়ী কে বা কারা? রাষ্ট্রযন্ত্র, সন্ত্রাস, বাসচালক, অর্থনৈতিক অবস্থা, সড়ক বিভাগ, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়—যে-ই হোক, ওটা যাদের বোঝা দরকার তারা বুঝুন গিয়ে। আমার ওসব বুঝে কী কাজ। আমি মেনে নিতে পারছি না। আমার ক্লাসে আমি যে বাচ্চাদের পড়াই, আমার বার বার মনে হচ্ছে তারা সবাই মরে গেছে। তাদের সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি আর কিছুই বুঝতে পারছি না।
আমি একটা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে পড়াই। সহকারী শিক্ষক, তাই খুচরা দায়-দায়িত্ব বেশি নিতে হয়। সেই হিসেবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে আমার বিদ্যালয়ের শিশুদের অনুশীলন-খেলতে নিয়ে যাওয়া এসব দায়িত্ব আমি পালন করছি। বাচ্চাদের সঙ্গের সময়টা আমার ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু আমি টের পাই, শিশুরা অনুশীলন করছে, খেলছে কিন্তু খুব আনন্দ পাচ্ছে না। পাচ্ছে না যে, তার কারণ এরা প্রাইমারি স্কুলে পড়ে। শহরের প্রাইমারি স্কুলে পড়ে যেখানে সমাজের একেবারে নিচুতলার লোকজন প্রাইমারি স্কুলে পড়ে। সবখানেই, সরকারি-বেসরকারি প্রাইমারি স্কুলের ফ্রি শিক্ষা আসলে গরিব মানুষদের জন্য। আমার স্কুলের ছেলেমেয়েরা অনেকেই তিনবেলা প্রয়োজনীয় খাবার পায় না। ওরা শক্তি খরচ করে খেলবে কী করে! কিন্তু তবুও ওরা অনিচ্ছা নিয়ে হলেও অনুশীলন করে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, আমরা কি এই বাচ্চা ছেলেমেয়েকে দিয়ে জোর করে আনন্দ করিয়ে নিচ্ছি? বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানানোও এই ফুটবল টুর্নামেন্টের একটা উদ্দেশ্য। আচ্ছা, আমরা কি বুঝতে পারি না, ইতিহাসের শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব না যথেষ্ট পরিমাণে শারীরিক-মানসিক স্বস্তি না থাকলে। এই গরিব বাচ্চাদের কী আছে। এদের ওপর খেলা জুলুম হয়ে চেপে বসেছে বলেও মনে হয় তাই মাঝে মাঝে।
ভাবতে থাকি, ফুটবল খেলতে শিশুদের বিশেষ করে ৯-১০ বছর বয়সী শিশুদের যে শক্তি ক্ষয় হয় তা কী দিয়ে পূরণ হবে। এদের দিয়ে খেলানো হচ্ছে, অথচ এদের খাবার নেই। এদের শক্তি খরচ করানো হচ্ছে অথচ তা পূরণ করে দেয়া হচ্ছে না। এই খেলা জুলুম নয়তো কী!?
বাচ্চাদের ক্ষুধার্ত মুখ সহ্য করতে পারি না। কান্না পায় খালি। আমিও তো সরকারের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার। আমার সামর্থ্যও তো তৃতীয় স্তরের। প্রধান শিক্ষককে বললাম একথা, তিনি জানালেন, এই ফুটবল খেলার জন্য স্কুলগুলোকে শিশুদের খাওয়া, নাস্তা কিংবা যাতায়াতে জন্য কোনো অর্থ সরকার থেকে সাহায্য দেয়া হয় না। উপজেলা শিক্ষা অফিসে মাত্র ৮ হাজার টাকা এসেছে গোটা উপজেলার ১১৮টি বিদ্যালয়ের জন্য। আমি শুনে ও দেখে অবাক হয়ে যাই। খানিক নিজের সামর্থ্যে আর খানিকটা প্রধান শিক্ষকের ব্যক্তিগত সামর্থ্যে শিশুদের জন্য কিছু চকলেট ছাড়া আর কিছুই ব্যবস্থা করতে পারি না আমরা। তাতে আবার আমাদের কম পড়ে যায়।
মিরসরাইয়ের মৃত শিশুদের কথা খবরের কাগজে পড়তে গিয়ে তাই আমার কাছে মনে হয়, যেন আমার সঙ্গে খেলতে যাওয়া আর খেলা দেখতে যাওয়া শিশুদেরই মৃত্যুসংবাদ পড়ছি। আমিও তো আমার শিশুদের এভাবেই খেলতে নিয়ে যাই। স্কুটারে গাদাগাদি করে পঁচিশ-ত্রিশজন নিয়ে যাই। ওইটুকু টাকার বেশি খরচ করা যে আমাদের মতো গরিব প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর সেই শিশুদের বাবা-মায়ের পক্ষে তো আরও নয়। ওরাও তো মরে যেতে পারত? আর এরা আর ওরা কিসে। সবাই তো আমার সন্তান। ওদের বর্ণমালা শেখাই! ওদের হাতেখড়ি দিই। ওদের হাসিমুখ, মন খারাপের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসবাস করি। এভাবে ওদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে কেন? এভাবে এদের মেরে ফেলা হচ্ছে কেন? আমি তো দেখতেই পাচ্ছি এই বাচ্চাদের মেরে ফেলা হয়েছে। মেরে ফেলার পর দাফনের জন্য এই গরিব বাচ্চাদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। মৃত শিশুর জীবনের দাম কি ২০ হাজার টাকা! আমি কিচ্ছু জানি না। আমি পড়াতে গিয়ে আমার বাচ্চাদের চেহারায় মৃত্যুর গন্ধ দেখতে পাচ্ছি শুধু। আমি পড়াতেও পারছি না!

ঠোঁট দু'টি আজ শুকিয়ে গেছে

-একটি প্রেমের কবিতা লিখেছি-


----------------------------------------------------------
মনেরে বুঝাই কেমনে বল, মানে না সে কোনো বাধ
লুকিয়ে আছে প্রিয়া তোমাতে না জানি কত স্বাদ!
দিবসে বুঝাই রাতিরে বুঝাই, বুঝাই শয্যা সাজে
হেলায়-ফেলায় ভাবনা এসে বাধিছে কাজের কাজে।
চাঁদনি মুখের আলোকে হৃদয় আলোকিত হবে বটে
দূর আঁখিদ্বয় সদাই দেখে দাঁড়িয়ে খাবের তটে।
টলমল রবে ঝরিছে যখন মমতা মাখা আঁখি
হাওয়ায় ডানা মার মোরে তুমিই যে সুখ পাখি।
পরীক্ষা কিসের তবে মোর জীবনের তরে
কী হবে আর ফের ভাবিয়া যাইলে অন্যের ঘরে!
ঠোঁট দু'টি আজ শুকিয়ে গেছে ম'মর ভাঙিছে বুক
প্রিয়া নাম ছাড়া একটি কথাও বলিছে না মোর মুখ।

চাই পরিশেষ পরিশ্রয়

পদাঙ্গদ পরিহিতা পদচারিণী তুমি
পরিতোষে পরিশ্রমী মন
হৃদয় পাটন করে পত্রপালী পরস্পরীণ।
পুলকী যে তুমি!
নেই পাত্রতা, কোন পাথেয়
তবু যে আমি নিরুদ্দেশ পাদবিক।
চাই পরিদানে পরিণয়
সুরভী দিও পরিতপ্ত মনকে
পরিক্ষীণ পরিত্রাণে।
পরপূর্বা হয়ে নাহি এসো
পরন্তু নই যে আমি পরদারিক।
পরভৃতা পরখ কর না।
পরিক্রয় হতে চাই না
চাই না পরিক্ষিপ্ত হতে
হতে পরাভূত।
চাই পরিশেষ পরিশ্রয় এতটুকু-
পরিগ্রহ স্পর্শ পাথার।

কেনো আমাকে মাইনাস দিবেন?

আমার মাইনাস পেতে ভাল লাগে না। চেষ্টা করি একটা লেখাকে সুন্দর সাবলীলভাবে বুঝাতে; আমার ভুল থাকাটা স্বাভাবিক। কোনো মন্তব্য নাই বলা নাই কওয়া নাই, শুধু একটা করে মাইনাস দিবেন। এটা কি কোনো কথা হলো! আরে ভাই আমি খারাপ কিছুতো লেখছি না। হয়তো আমি বুঝাতে পারছি না ঠিক; চেষ্টা করছিতো! আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি, একটু বুঝার মন মানসিকতা রাখেন।


আমাকে একটা প্লাস দিন। মাইনাস দিবেন কেনো! আপনার একটা প্লাস আমাকে লেখতে উৎসাহ যোগায়। আমি লেখতে মজা পাই। মন চায় আর কিছুক্ষণ আপনাদের সাথে ব্লগে থাকি। আমি আমার লেখার ভাষা, পদ্ধতি, বানান, প্রকাশ ভঙ্গি আমি আপনাদের সাথে থেকেই শিখতে পারি। কিন্তু আমি যদি বাজে কিছু না লেখি, আমাকে কেনো মাইনাস দিবেন? আমিতো পড়তে জানি লেখতে জানি, আপনাদের লেখা বুঝতে পারি, আপনাদের লেখার মর্ম অনুধাবনও করি। আমার মাঝে অভাব হতে পারে শুধু চর্চার। আমাকেতো সহযোগিতা করবেন! তা না করে কিছু লিখলেন না; ঠাশ করে একটা মাইনাস বসিয়ে দিলেন। তাতে কি হল? আমার মনটাই খারাপ হয়ে গেল। আর লেখার মুডটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল।

একবারও চিন্তা করেন না; আমি আপনাদের সাথে লেখালেখি করি, আপনাদের লেখা পড়ি, মন্তব্য করি; আবেগ অনুভূতির বিনিময় করি। এটাইতো ভাল লাগার কথা। আচ্ছা ধরুন- আমি ভীষন রকম মনোকষ্ট পেয়ে লেখা লেখা বন্ধ করে দিলাম। আবার ব্লগও ছেড়ে দিলাম। তখন কাকে আপনার কবিতাটা পড়াবেন! আপনার ভাল লাগার গল্পটাই বা কে পড়বে! আপনি মজার একটা কৌতুক লিখে প্রকাশ করলেন; তখন এটা পড়ে পড়ে একাই কি শুধু হাসবেন, না কি আমার মনের আনন্দটাও আপনার প্রয়োজন হবে! দেখুন না অনেকে আমাকে কি সুন্দর করে আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে শুদ্ধটা সাথে লিখে দেন। আবার ধন্যবাদ দেন; পাশে একটি গোলাপ ফুলের কলি দিয়ে স্বাগতম জানান। আমার যে তখন কত ভাল লাগে! এই আনন্দ আমি আপনাকে কি দিয়ে বুঝাবো! আমি বুঝাতে পারবো না। তখন আমি তাঁকে খুব আপন, খুব কাছের মানুষ ভাবি। জোড় করে না; এমনিতেই আপন মনে হয়। আসুন না যে সব পোস্টে শালিন মার্জিত সত্য কথা সুন্দর কথা পাই সে সব পোস্টে প্লাস দেই। আর যে সব পোস্টে অসুন্দর মন্দ কথা মিথ্যা কথা দিয়ে সাজানো থাকে সেগুলোকেই কেবল মাইনাস দেই। যদি কোনো ব্লগার ইচ্ছা করেই সবসময় মিথ্যা লেখে বাজে লেখে আর বাজে মন্তব্য করে, সুন্দরকে অসুন্দর বলে, সত্যকে মিথ্যা বলে; তবে সে সব ব্লগারকেও মাইনাস করি। তাহলেই কেবল ব্লগের পরিবেশ রক্ষা করা হবে। ব্লগের মানুষদের মন ভাল থাকবে। লেখালেখিও ভাল হবে। লেখার মান বাড়বে। এভাবে করে একদিন সোনার বাংলাদেশ ব্লগ সারা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ব্লগ হিসেবে মর্যাদা লাভ করবে।


সবাই ভাল থাকুন, অন্যকেও ভাল থাকতে দিন। আর ভালকে প্লাস দিতে থাকুন এবং মাইনাসযোগ্যকে মাইনাসই (বর্জন) করুন। আল্লাহ আপনাদের আমাকে সঠিক কিছু করার তৌফিক দিন। আমীন!!

বিশ্বাসের স্বপ্নপুরী

ঠিক তখনই আনন্দের স্রোত ধারার উপর দিয়ে কান্নার বিশাল বিশাল ঢেউ দোল খাচ্ছিল আমার হৃদয় গহবরে। একটু পরই হয়তো সোনা ঝরা সূর্যটা নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে রওয়ানা দিত অবশিষ্ট পথ মাড়িয়ে নতুন পথের সন্ধ্যানে। আমি বসে ছিলাম প্রিয় মানুষটির কাছে; আমার হৃদয়ের সিন্দুকে যার অবস্থান। সিন্দুকের জানালা দিয়ে মানুষটির সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম আবেগের খানিকটা উৎসারিত করে তার স্থান তৈরি করে দিই আমার গভীর থেকে আরো গভীরে। কপটতা, প্রতারণা, নিষ্ঠুরতা এবং ছলনার উপাদান দ্বারা সৃষ্ট মানুষটি সহজ সরল এই মনটাকে অবহেলা করে তৎক্ষণাৎ একটা কষ্টের বীজ বুনে দিল মনের পবিত্র ভূমিতে। সময়ের স্রোতে সেই বীজটি মনের সমগ্র রাজ্য জুড়ে বিশাল বৃক্ষ রূপে বিস্তার লাভ করতে একটুও কার্পণ্য করল না।

ঘন কালো আঁধারে ছেয়ে গেল হৃদয়ের বিশাল আকাশ। ভেঙে গেল জীবনের রঙ্গীন স্বপ্ন সাধ। সান্ত্বনা দেয়ার জন্য পৃথিবীতে কোন জিনিষ প্রস্তুত থাকবে বলে বিশ্বাস করতে পারছি না। কারণ, এযে কঠিন কষ্ট। শরীরের সমগ্রটাতেই ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে ক্রমান্বয়ে। ব্যাথার হৃদয়েও মনে হয় মায়া, মমতা ও ভালবাসার লেশ মাত্র নেই। নয়নের জল দু'টি কপোলের গা ভাসিয়ে শেষ পর্যন্ত মাটির বিশাল বুক শীতল করে যাচ্ছে অঝোর ধারায়। হৃদয়ের আকাশ থেকে কালো মেঘগুলো কখনও কাটবে কি-না! জানি না। কেউ কি আমাকে এসব কিছুর সঠিক তথ্য বলে দিতে পারবে জীবনের শেষ মূহুর্ত অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই?

হায়রে বিশ্বাস!
তুই নিজেই দু'টি অবুঝ মনকে একত্রিত করলি আবার এরই মাঝে দিলি রহস্য। সত্যি করে বলতো; এসব কিছু মিলিয়েই কি তোর আসল পরিচয়?

আমার পাপকর্মের দায়িত্ব শুধু আমার একলারই নয়; আমার মাও এর অংশীদার



ফাঁসির আদেশ পাওয়া এক ডাকাত সর্দার বিচারকের উদ্দেশে বলল; "জনাব শুধুমাত্র আমার ফাঁসির আদেশের মধ্য দিয়ে সব কিছু শেষ হবে না। আমি আপনার কাছে আমার মায়ের জিহবা কেটে নেওয়ার হুকুম চাচ্ছি।" বিচারক অবাক হয়ে, "কেন?" উত্তরে অপরাধী ব্যক্তিটি বলল, আমার মায়ের জন্যই আজকে আমার এই অবস্থা। আমি যখন ছোটবেলায় পাশের বাসার গাছের ফল চুরি করে আনতাম; আমার মা তখন তিরস্কার না করে উৎসাহিত করেছে। ছোটখাটো অপরাধ করতে করতে আমি বড় অপরাধ করার সাহস পেয়েছি। আমার মা যদি শুরুতেই আমাকে সৎ্পথে চলার এবং অসৎ পথ পরিহার করার উপদেশ দিতেন তবে আজকে আমার এই অবস্থা হত না। তাই আমার পাপকর্মের দায়িত্ব শুধু আমার একলারই নয়; আমার মাও এর অংশীদার।

স্বপ্ন লয়ে তপ্ত বলি



দুষ্টু কি আর মিষ্টি মেয়ে
কোন কাজে আর সুখ দিতে?
কওনা চলে যাও ভাবিয়া
নিজকে বড় ফের জিতে।

এইতো প্রথম শেষটি যখন
অদ্য দিনে যায় বিফল
স্বপ্ন লয়ে তপ্ত বলি
তাই করা মোর হয় কি ছল?

কোন চাঁদে আর রূপ মাখিলে
কোন প্রাসাদে ঘোর ঘুমাও
কোন বায়ুতে নও ছোট আজ
প্রেম বুকে তিল থাক না চাও।

চোখ জ্বালানো রূপ থেকে তোর
হয় কোন দিন শেষ বড়াই
সেই জানিবি ঐ ছেলের আজ
দিব্বি আছে প্রেম ভরাই।

'''' তবুও কবি হতে চাই!



কবি আমি হব; তবে
কবি আছে বেশ!
কবি বনে লাগে না কি
হতে নিরুদ্দেশ।

কবি হয়ে লিখব আমি
কত কত ছন্দ
অন্ত মিল আর মাত্রা নিয়ে
লাগে মনে দ্বন্দ।

কবি হয়ে কবিতায়
লিখব কত কথা
কয় প্রকারের পদ্য আছে
নাহি জানি তথা।

কবি হব বড় মাপের;
স্বপ্ন মনে আঁকি
বিরাম চিহ্নের ব্যবহার আজ
জানার আছে বাকি।

কবি হয়ে বিশ্ব আমি
লইব করে জয়
পদ্য-ছড়া নিয়ে এ-মন
ভোগছে যে সংশয়।

সকল দ্বিধা কেটে তবু
কবি হতে চাই
কবি বনে যেতে আমায়
কে দিবে আজ ঠাঁই?
-------- ----------

শিক্ষক নামের কলঙ্ক

[আ বো জা সু ; একজন অভিভাবকের ভেতরের কথা]

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল এটা সবার জানা। আর স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এমন নোংরা কোনো ঘটনা কখনও যে ঘটেনি। কিন্তু আজ কেন এমনটি হলো। সমাজের কতটা অবক্ষয় ঘটলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একজন শিক্ষকের কাছে ছাত্রীর নিরাপত্তা থাকবে না, এমন সমাজ আমাদের কাম্য নয়। ছোট সময় পড়েছি "শিক্ষাগুরু পিতৃতুল্য"। পরিমলদের কি শিক্ষাগুরু বলা যায়? এ লজ্জা আজ সমগ্র শিক্ষক সমাজের। আর এ পরিমলদের যারা আশ্রয়দাতা তারা এ সমাজের মুখোশধারী ভদ্রলোক। যাদের মুখোশের আড়ালে থাকে অন্য রূপ। কিন্তু স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের কোনো ধান্ধা থাকতে পারে এটা ভাবতেই ভাল লাগে না। কেননা, আমরাও তো ওই ধাপগুলো পার করে এসেছি। আমাদের সময় এমন কথাগুলোর সঙ্গে আমরা পরিচিত ছিলাম না, যেগুলো এখন শোনা যাচ্ছে; যেমন-কোচিংবাণিজ্য, ভর্তিবাণিজ্য। যে বাণিজ্যের ফাঁদে পড়ে আসল মেধাবীরা দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আসলে আজ আমাদের সর্ষের ভেতরেই ভূত ছড়িয়ে পড়েছে। সমাজের উঁচুস্তর থেকে শুরু করে নিচুস্তর পর্যন্ত সব যায়গায়ই দুর্নীতি আর কালো হাতের একচেটিয়া প্রভাব। যে প্রভাবে পড়ে শিক্ষকও নিয়োগ হয় দলীয় মনোভাবে। ভালো কী মন্দ, যোগ্য কী আযোগ্য-দলীয়, এটাই তার বড় পরিচয়। দেশে যে সরকার আছে বা আইন আছে তা এখন আর মনে হচ্ছে না। আইন-কানুন, ভালো লাগা আর মন্দ লাগা আজ সব সরকারের জালে বন্দি। তাই এই নিয়ে দু'কলম না লিখে আর পারছি না। কারণ, আমার আদরের সোনামণিটিও ওই স্কুলেরই ছাত্রী।

আজ নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়, ভুলই কী করলাম স্কুলটিতে মেয়েকে ভর্তি করিয়ে? স্কুলটির গায়ে এমন কালিমা লেপন হবে তা কী আগে জানতাম? আর জানতাম না বলেই আমার ছয় বছর বয়সী মেয়েটিকে রাত দিন শুধু পড় পড় বলে মাথাটা খারাপ করেছি, কোথায়, কোন কোচিংয়ে ভালো পড়ানো হয় সেটি খুঁজে বের করেছি। ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার আগে তাকে রাত বারোটা আবার সকাল ৬টায় উঠিয়ে পড়াতে বসিয়েছি। আর বলেছি, ভিকারুননিসায় ভর্তি হতে পারলে তোমার জীবনটা অন্যরকম হয়ে যাবে। আজ মেয়েটির দিকে তাকাতে পারছি না। ও যখন প্রশ্ন করে আম্মু কী হয়েছে আমাদের স্কুলে? অনেক অভিভাবক স্কুলের সামনে মানববন্ধন করছে কেন? পরক্ষণেই যখন ও পত্রিকা পড়ে প্রশ্ন করে---- এ কথাটার মানে কী? কোনো জবাব দিতে পারি না। আড়ালে চোখ মুছি আর ভাবি, হে খোদা ওই নির্যাতিত মেয়েটির বাবা-মাকে তুমি কেমন রেখেছ? তারা পারবেন তো এমন বৈরী পরিবেশ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে! কত আশা নিয়ে যে একটি মেয়েকে এমন একটি স্কুলে ভর্তি করানো হয় সেটা একজব অভিভাবক ছাড়া কেউ বুঝবে না। সবাই চায় তার মেয়েটির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। আজ নির্যাতিত মেয়েটির ভবিষ্যৎ বিপন্ন। কাকে করব এজন্য দায়ী? আমি এজন্য দায়ী করব কলেজের প্রিন্সিপালকে, আর একজন অভিভাবক হিসেবে কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন, কেন দিয়েছিলেন একসঙ্গে ছয়জন পুরুষ শিক্ষককে নিয়োগ? আজ স্কুলটিকে কেন এমন প্রশ্নবিদ্ধ করলেন? আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন, তার ভেতরে পাঁচজনই হিন্দু শিক্ষক। তাহলে আপনি কাকে খুশি করলেন? কারণ, এসব পরমলদের কেন এমন সুযোগ সুবিধা? বিবেক আপনার একবারও জাগ্রত হলো না একটি গার্লস স্কুলে এত পুরুষ শিক্ষক একসঙ্গে এভাবে নিয়োগ দিতে।


এই সেই পরিমল! যে কি না ছাত্র জীবন থেকেই দুশ্চরিত্রের। আর তাকেই কিনা এমন একটা স্কুলের শিক্ষক করলেন। আজ আপনাকে আমার আরো প্রশ্ন, নির্যাতিত মেয়েটি যখন আপনার কাছে এর বিচার নিয়ে গেল উল্টো আপনি মেয়েটিকে চেপে যেতে বললেন কেন? শেল্টার দিলেন পরিমলকে বাঁচানোর জন্য। শিক্ষকরা যখন প্রতিবাদ জানালেন বললেন, এটা 'মিয়্যুচাল সেক্স' আপনারা বড় কনজারভেটিভ, কেমন রুচি আপনার, কতটা আধুনিক মানসিকতা নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পেরেছেন কী? আর পারবেনও না। কারণ, ১৬ হাজার ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবক আজ মাঠে, শুধু তারাই নয় আজ বিবেকবান সবাই আমাদের পাশে, আপনার অপসারণ ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যেতে পারি না এবং যাবও না। কোনো টালবাহানা নয়, আপনি ভালোয় ভালোয় পদত্যাগ করুন। ফিরিয়ে দিন ভিকারুননিসার হারানো ঐতিহ্য- এ হোক আজ সব অভিভাবকের অঙ্গীকার। ফুঁসে ওঠা অভিভাবকদের আজ আপনি দমাতে পারবেন না।

আজ এমন ঘটনার পেছনে রয়েছে এক গভীর ষড়যন্ত্র, আর সেটা হলো এই প্রিন্সিপাল স্কুলটিতে ঢোকার পড়ই চেয়েছিলেন স্কুলটির নাম পরিবর্তন করতে। অভিভাবকদের প্রবল আপত্তির মুখে সেটি করতে দেয়া হয়নি। আজ আমি আমার এ ছোট্ট লেখনির মাধ্যমে সব অভিভাবকের উদ্দেশে আহবান জানাব, আজ আমরা কিন্তু কেউ নিরাপদ নই এই শিক্ষকের হাতে। তাই কোনো কথা নয়, প্রিন্সিপালের পদত্যাগই আজ আমাদের হওয়া উচিৎ একমাত্র দাবী।

নির্যাতিত মেয়েটি এবং তার পরিবারকে বলব, আপনারা ভেঙে পড়বেন না। আপনার মেয়েটিই শুধু নির্যাতিত হয়নি, ওর সঙ্গে যে আমরাও জড়িত, আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব। যুগ যুগ ধরে পরিমলদের মতো হিংস্র জানোয়াররা এ সমাজে ছিল, আছে এবং থাকবে তাই বলে ওদের কাছে আমাদের পরাজিত হলে চলবে না।
------------------------------------------
হাতে মিলাও হাত
------------------------------------------

আমি মুসলিম। আমার বাবা মুসলিম। আমার চৌদ্দগোষ্ঠী মুসলমান। কিন্তু...

আমি মুসলিম। আমার বাবা মুসলিম। আমার চৌদ্দগোষ্ঠী মুসলমান। আমি মুসলিম পিতার মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করেছি। ছেলে মেয়ের নাম মুসলিম রেখেছি। আমার বাড়ির আশেপাশে সবাই মুসলমান। বাড়ির সাথেই বড় একটা মসজিদ। আমি মসজিদে নামাজ পড়ি। রমজানে রোজা রাখি। সময় পেলে কুরআন তিলাওয়াত করি। মানুষের উপকার করি। মুরব্বি দেখলে সামাম করি। আমারও দাঁড়ি রাখার শখ আছে। এতিম, গরিব মানুষদের সাহায্য সহায়তা করি। অসুস্থ্য ব্যক্তির সাক্ষাত পায়ে হেঁটে গিয়ে লাভ করি ।
---------------------------------------------------------------------------
কিন্তু আমি সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা রাখা বাদ দেয়াও পছন্দ করি।
--------------------------------------------------------------------------
"নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবার" ধ্বনি পছন্দকারীদের ঘৃণা করি, মারধর করি।
--------------------------------------------------------------------------
কুরআনের, হাদিসের আলোচনা বা তাফসীর মাহফীল হলে ১৪৪ ধারা জারী করে সেখানে বুক ফুলিয়ে হাঁটতে ভালবাসি।
--------------------------------------------------------------------------
টুপি দাঁড়ি দেখলে ছাগল বলে সম্ভোধন করি। আর যারা এমনটি করে তাদেরকে বাহবা দেই।
--------------------------------------------------------------------------
আমি নামাজ পড়ি; কিন্তু অন্যে নামাজ পড়তে মসজিলে গেলে লগি বৈঠা নিয়ে মসজিদেই খুন করি।
--------------------------------------------------------------------------
আমি গণতন্ত্র ভালবাসি; কিন্তু আমার মতের উপর কেউ কথা বললে, তাকে রাস্তায় ফেলে থাপ্পর, লাঠি দিয়ে আহত করি, হাত পা ভেঙে দেই। চাকুরী নষ্ট করে দেই।
--------------------------------------------------------------------------
ভালবাসি ইসলাম, ভালবাসি ইবরাহীম (আ) আর ভালবাসি হাজার হাজার আলেমের খুনি শেখ মুজিবুর রহমান কে। আরও তার স্বনামধন্য বাংগাল কন্যা শেখ হাসিনাকে। ভালবাসি তার সব কর্মকান্ডকে। সারাজীবন চুক্তি করা, দেশের সীমানা দিয়ে কিছু কিছু ভারতকে দান করা, ট্রানজিট দেয়া, দেশের মাটির চেয়ে ভারতের মাটি উর্বর করা, দেশের বাহিনীদের ধ্বংশ করে আমৃত্যু ভারতের পা চাটা। দেশের সব বড় বড় আলেম ধরে ধরে জেলে দেয়া, তাঁদের নামে মিথ্যা কথা বলা, কুরআন হাদিস নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করা এসবই আমার পছন্দ।
---------------------------------------------------------------------------
ইসলামি বইকে জেহাদি বই বলি। সত্য কথা বললেই তাকে মৌলবাদী বলি। জঙ্গি বলে মারধর করি। আবার পুলিশে দেই।
---------------------------------------------------------------------------
আমার যায়গা-জমি ঘর-ভিটা ছাড়া কিছু নেই; কিন্তু বাংলাদেশকে ভারতকে স্বহস্তে দান করি।
---------------------------------------------------------------------------


এখন আসল কথায় আসি-
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিবাচনের আগের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছিলেন-"আমিও মুসলমান"।
মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করে সাহারা খাতুন বলেছেন-"জামায়াতে ইসলামীর লোকেরা নিজামীর উম্মত, বিএনপির লোকেরা খালেদার উম্মত, আর আমরা হচ্ছি খাঁটি নবীর উম্মত।"

[আমার কথা এখানেই; এখন আপনাদের---]

ছন্দে ছন্দে নিরস কথা! (ঢাকা বিষয়ক)



দেখ দেখ ঐ দেখ শহরের রাস্তায়
বেনী গাঁথা মালা যেন গাড়ি চলে সস্তায়।
পার্কের বুক ভরা প্রেমি'দের আড্ডায়
জীবনের দাম কেউ তুলে দেয় ফাড্ডায়।
মানবতা নাহি পায় যেই মরে লজ্জায়
কারবারী চোরাদের সুখ নাহি শয্যায়।
বণিকের মাথা ঘুরে সন্ত্রাসী রান্দায়
ধনিদের টেনশনে কাটে দিন মান্দায়।
মানুষের মন মাপা যায় নাহি পাল্লায়
নষ্টামী গড়ে কেউ হৃদয়ের কেল্লায়।
শহরের ঢাকনা যে নাই ঢাকা নামটায়
মন্দটা ঢাকা শুধু ছলনার ঘোমটায়।
ন্যায়-নীতি ভাসে খুন হত্যার বন্যায়
ধর্ষন করে কেউ মানে না সে অন্যায়।
দেখ গেল ঐ চলে ভাল সব ফাক্কায়!
অবদান নাই যেন মানবতা রক্ষায়।
মাতিয়েছে শুন্যটা দুঃখীদের কান্নায়
এসো মিলি ভালবাসা গড়ি ধন-কন্যায়।
----------- ---------------------

পাখি। পাখি যে পাখি নয়; আবার পাখি অনেক কিছু!



ছন্দ দিয়ে একটি কথা
জানতে চাহি আজ
ভাবছি যখন পাখি নিয়ে
মাথায় আসে সাঁঝ।

দোয়েল কোয়েল ময়না টিয়া
জানি পাখির নাম
পাখি হয়েও উট পাখিটার
ঊড়া যে নয় কাম।

পরান কি-বা আত্মা যাহা
থাকে জীবের কায়
আত্মাটাকে পাখি বলা
কেমনে শোভা পায়।

সব পাখিরা ডানা মেলে
হয় যে নিরুদ্দেশ
আত্মাকে তাই পাখি বলে
হইলে পরান শেষ।

পাখির সাথে নাই কোন দিক
নাই মানুষের মিল
নয় গঠনে নয় পড়নে
নাই মিলিবে দিল।

দুইটি প্রাণীর মাঝে যদি
এত তফাৎ হয়
সৃষ্টি সেরা মানুষ হলেও
তাকেও পাখি কয়।

কি-ইবা ছেলে কি-ইবা মেয়ে
দিচ্ছে পাখি ডাক
ভাবছো কি-না এসব নিয়ে
মন-মানবী ঝাঁক?

বন্ধু হতে হাতটা ধরো!



কে আছে আর হাত বাড়াবার
মনের সাথে মন মিলাবার
লাগবে আমার হৃদয় পাথার
মনটি যাহার সদাই উদার।

বলছি হাতে হাত মিলাতে
সুখের ছোঁয়া থাকবে যাতে
দু'য়ের তরী সুখ আলোতে
ভাসবে স্রোতে দুঃখ পাতে।

কে দিবে হায় রইছি আশায়
মনের নেশায় ঘুমটি যে যায়
নয় উছলায় হৃদয় ভাষায়
বলছি দিব সব জোসনায়।

আসতে পারো দ্রুত আরো
হাত খোলা মোর মাস যে বারো
লাগলে কারো ফুল হাজারো
বন্ধু হতে হাতটা ধরো!

মডারেটরগণের সাথে একটু সালাম (শান্তি) বিনিময়



আসসালামু আলাইকুম। আমি মাহমুদ নাইস আপনাদের ব্লগের একজন নিয়মিত লেখক। আমি লিখতে পারি না। সেটা বড় বিষয় না; আমি যে চেষ্টা করছি সেটাকে আপনাদের স্বাগতম জানানো উচিৎ। জানাচ্ছেনও। এমনটাই মনে করি। এই ব্লগে লেখালেখিতে আমার প্রাণের স্পন্দন হয়। একান্তই নিজের মত করে লেখি যা ইচ্ছা। সবাই আমাকে ঠিক একই ভাবে গ্রহণ করে। এখানের লেখকগণ খুবই মার্জিত, সহনশীল এবং মানুষের কল্যাণকামী। আমি অন্য কোনো ব্লগে লেখালেখি করি না। তাই আমি জানিও না অন্য ব্লগের পরিবেশ। আর আমার জানার প্রয়োজনও মনে হয় না এই জন্য যে, আমি এখানে আমার পর্যাপ্ততা এবং যথার্থতা সবই পেয়েছি।

এখন আপনাদেরকে যা বলছি-
আপনারা আমাকে ডেকে আনেননি এখানে ব্লগিং করতে। কথাটা ১০০% ঠিক; তবে আমাদের মত লেখক ছাড়া আপনাদের কৃতিত্ব আমার জানা নাই। একটা পারবেন, যদি আপনারা নিজেরা গলাগলি ধরে লেখালেখি করেন আর আমাদের লেখতে মানা করেন। তবে এটা আপনারা চাচ্ছেন না অবশ্যই। আর এটাও চাচ্ছেন না, আমরা মনোকষ্ট পেয়ে লেখালেখি, মন্তব্য করা থেকে সাময়িক বা একেবারেই বিরত রাখি। আমাদের কিছু ভাই ইচ্ছা করে আমাদের পায়ে পারা দিয়ে আমাদের উত্তেজিত করতে চায়। আমি নাম বলবোনা তাদের আর তাদেরকে ব্লগ থেকে তাড়িত করতেও বলবো না। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন গালিগালাজ, বাজে কথা বলে, এমনি এদের ইউজার নেমটিও অশ্লীল। জানি, নামেই পরিচয় মানুষের হয়। পুরোটা না হলেও কিছুটা রয়। আসলে যার নামটাই (শুরুটা) মন্দ সেখানে সে কি লিখবে বা কি করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনাদের জ্ঞান দেয়ার ভাষা এবং সাধ্য আমার নাই। আমি সোনারবাংলাদেশ ব্লগের একজন ব্লগার হিসেবে বলছি-সবাই লেখার অধিকার আছে এখানে। শালিন হয়ে লেখার মত লেখা লেখুক; কিন্তু তা না করে অশ্লীল ছবি, নির্লজ্জ ভাষা ব্যবহার, উশৃঙ্খল আচরণ একজন ব্লগার হয়ে আরেকজন ব্লগারকে কষ্ট দেয়। এটা কি আপনারা সুযোগ দিচ্ছেন? যদি তাই হয় সত্য; তাহলে ব্লগের পরিবেশ হবে-মসজিদের পাশে পতিতালয়ের মত। একটা জগাখিচুড়ি অবস্থা। আর কেউ না হোক কোনো নষ্টানষ্টি, ধস্তাধস্তির জন্য এখানে ব্লগিং করি না। সুন্দর কিছু মানুষের সাথে নিজের কথাগুলো বিনিময় করার জন্যই মূলতঃ আমি এখানে সময় কাটাই। আর কিছুই না। আমাদের এখানের ব্লগিং, মতবিনিময়, মন্তব্য, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপনের দ্বারা একটা দেশ বা জাতি উল্টাইয়া পাল্টাইয়া যাবে না ঠিক; আমাদের লেখা বা আচরণ, মন্তব্য ইত্যাদি দ্বারা মানুষ বা জাতি কিছু শিখবে এটাকে অবিশ্বাস করতে পারবেন না।

আমি যদি একান্তই খারাপ কিছু না বলে থাকি, তাহলে ব্লগের কল্যাণার্থে চিন্তাভাবনা করবেন। এটা আমার জোর আবদার। কন্ট্রোলিং আপনাদের হাতে। ব্লগকে আপনাদের ইচ্ছা শান্তিময় কলামিষ্টদের মিলনমেলা, আবার ইচ্ছা অবাঞ্চিতদের আড্ডাখানা বানাতে পারেন। আমি আপনাদের কাছে একজন বড় মাপের কবি, সাহিত্যিক, গল্পকার, ছড়াকার ইত্যাদি করে দিতে চাই না। আর আপনারা চাইলেই কেউ এখান থেকে কিছু একটা হয়ে যাবে না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আমি যেন আমার মৃত্যু পর্যন্ত সোনারবাংলাদেশ ব্লগ একটা শান্তির মিলনমেলা হিসেবে দেখতে পাই। আপনাদের কাছে এতটুকুই আমার চাওয়া। শুধুই এতটুকু!

-------------------------------------------------------------------------
সবাইকে সালাম জানাই
------------------------------------------------------------------------

[ভুল হলে ক্ষমার যোগ্য আশা করি]

তবুও জানি ফুলের মত পাপড়ী ওয়ালা নও!



শিউলী নামের ফুলটি যেমন
কাড়ছে সবার মন
তাহার মত মন বিলাবে
কোন্ সে কানন বন?

নারী হয়ে শিউলী নামে
ফুলের মিতা হও
তবুও জানি ফুলের মত
পাপড়ী ওয়ালা নও।

শিউলী ফুলের ভালবাসায়
মৌমাছিদের ঝাঁক
নিচ্ছে মধু তবুও যে ফুল
চোখ করে না বাঁক।

এমনি করে স্বার্থহীনে
দিও হৃদয় মন
তৃপ্তি পাবে বন্ধু হবে
হাজার সংগোপন।

বৈঠা মাড়ি প্রাণ সজোরে!



(আমাদের দাদি/নানি কার কাছে তো চাহিছে গো?)
-------------------------------------------------------
কষ্ট পালে সাজাই তরী
তটি ঘেরা প্রেম লহরী
ঢেউ বেদনার মাতল তবু
প্রেম সাগরে বাইছি তরী।

স্বর্গ সুবাস বাতাস ভারে
দোল খাওয়াবে পালের তারে
অন্তর মম আশার আলো
বৈঠা মাড়ি প্রাণ সজোরে।

মনের বিজ্ঞাপন!!




-------------------------------------------------
আমার মন
-------------------------------------------------
আমার এই হৃদয়ে আছে এক মন
প্রতারণা করে না সে কারো তর সন।
ভালবেসে চাহিবে না গাড়ি বাড়ি ধন
কেউ ব্যাথা দিলে তাকে জাগে প্রতিক্ষণ।
সৎ গুণে তারে যদি ভাবে কোন জন
হৃদয় উজাড়ে প্রেম দিবে টনে টন।
দেখিনিতো কোন মনে এত আয়োজন!
যাকে খুশি তাকে দিবে যত প্রয়োজন।
আপনের খূঁজে এলে মিলে সখা বন
সুখে দুঃখে দিবে যত লাগে বিনোদন।
আছো কিনা এই মনে হবে পরিজন?
দু'টি মনে মিল সেথা রাখে সমীরণ।
সুখহীনে সুখ দিতে হবে যে পিয়ন
সব দুঃখে দুঃখী হবে আমার এ-মন।