ছবিতে দেখছেন, মাটির হাঁড়ির কিছু ভাঙ্গা চারা (টুকরা)। হয় তো ভেবে থাকবেন,
এই চারা দিয়ে কি কোন মান সম্পন্ন পোষ্ট হয়? আমি বলি, এগুলো দিয়ে একটা
সুন্দর পোষ্ট হয় না ঠিক। তবে এগুলো দিয়ে সুন্দর উপমায় একটা সত্য জিনিষকে
ফোটিয়ে তোলা যায়। অবুঝ একজন মানুষকে সঠিক একটা পথ দেখানো যায়। আমি আসলে
এখানে অবুঝদের একটু বুঝানোর জন্য পোষ্টটা দিলাম। যারা বুঝেনা, তারা যেন
হেদায়াত প্রাপ্ত হয়। আমিন!

আপনারা দেখছেন, খেঁজুর রস ভর্তি একটি সিলভার পাতিল। পাশে ৩টি মাঝারি পদের মাটির ঘটি। অল্পের জন্য সিলভার পাতিলটা রসে ভরেনি।

এভাবে করেই চারটা খেঁজুর গাছে ৪টা ঘটি রসের জন্য বাঁধা ছিল। সকালে মসজিদ থেকে এসে বড় ভাই এগুলো গাছ থেকে পেড়ে আনেন। সকালে অনেকেই খালি পেটে খেঁজুর রস খেতে আসে। খেঁজুর রস অনেকেরই পছন্দ। পাখিরাও এখান থেকে রস খায়। কিশোর যুবকেরাও গাছে উঠে ঘটি থেকে, বাড়ী থেকে বলে/ না বলে রস খায়। আমরাও ঘরে ঘরে খেঁজুর রস খেতে দেই। এভাবে চলছে এক-দেড় মাস।
আজও প্রতিদিনের মত খেঁজুর গাছ থেকে রসের হাঁড়ি নামিয়ে আনতে গেলেন আমার বড় ভাই। কিন্ত একটি ঘটি গাছে আর নেই। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। উনার বুঝার বাকী নেই যে, এটা ছেলে-পেলেদের কাজ হবে। যাক, এমনটা হতেই পারে! অবশিষ্ট ৩টি ঘটি নিয়ে বাড়ী ফিরে এলেন।

আমি তখনও ঘটনা টা জানি না। আমার মেজো চাচা সকালের বিলাতি টমেটো ক্ষেতের পাশ দিয়ে হাঁটতেছিলেন। দেখছেন গলায় রশি লাগানো একটা রসের হাঁড়ি ভাঙ্গা ছড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে। চাচাও বুঝলেন, তাজা ঘটি এখানে ভাঙ্গা থাকার কথা নয়। ঘটির কয়েকটি চারা (টুকরা) হাতে করে বাড়ী নিয়ে আসলেন।

এবার আমি জেনেছি। আমি ভাবলাম, এগুলো তো সবার জন্যই। খেয়েছে। তৃপ্তি মিটেছে। মনের ইচ্চা পূরণ হয়েছে। তো এটা ভাঙ্গার কি দরকার ছিল? না ভাঙ্গলে তো আবার আরেক দিন এভাবে খেতে পারতো! আবার এভাবে আরেক দিন আরেক জনেরটা নষ্ট করবে নির্দিধায়, নিঃশ্চিন্তায়!
----------------------------------------------------------------
এভাবেই শেষ নয়; আমি এই বিষয়টাকে যেভাবে ভেবেছি-
আমার একটা ঘটি ভেঙ্গেছে এটা একটা ব্যাপার না; তবে এই রসের ঘটির মতই তারা অনেক কিছু থেকে তাদের চাহিদা পূরণ করে এভাবেই নষ্ট করে ফেলে রেখে যায়।

[এমন করে ভেবে তখনই আমি ভাঙ্গা ঘটির চারার একটা ছবি তুললাম আপনাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য।]
আল্লাহ যেন এই ধরনের চরিত্রবানদের হেদায়েত দান করেন। আমিন!
আপনারা দেখছেন, খেঁজুর রস ভর্তি একটি সিলভার পাতিল। পাশে ৩টি মাঝারি পদের মাটির ঘটি। অল্পের জন্য সিলভার পাতিলটা রসে ভরেনি।
এভাবে করেই চারটা খেঁজুর গাছে ৪টা ঘটি রসের জন্য বাঁধা ছিল। সকালে মসজিদ থেকে এসে বড় ভাই এগুলো গাছ থেকে পেড়ে আনেন। সকালে অনেকেই খালি পেটে খেঁজুর রস খেতে আসে। খেঁজুর রস অনেকেরই পছন্দ। পাখিরাও এখান থেকে রস খায়। কিশোর যুবকেরাও গাছে উঠে ঘটি থেকে, বাড়ী থেকে বলে/ না বলে রস খায়। আমরাও ঘরে ঘরে খেঁজুর রস খেতে দেই। এভাবে চলছে এক-দেড় মাস।
আজও প্রতিদিনের মত খেঁজুর গাছ থেকে রসের হাঁড়ি নামিয়ে আনতে গেলেন আমার বড় ভাই। কিন্ত একটি ঘটি গাছে আর নেই। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। উনার বুঝার বাকী নেই যে, এটা ছেলে-পেলেদের কাজ হবে। যাক, এমনটা হতেই পারে! অবশিষ্ট ৩টি ঘটি নিয়ে বাড়ী ফিরে এলেন।
আমি তখনও ঘটনা টা জানি না। আমার মেজো চাচা সকালের বিলাতি টমেটো ক্ষেতের পাশ দিয়ে হাঁটতেছিলেন। দেখছেন গলায় রশি লাগানো একটা রসের হাঁড়ি ভাঙ্গা ছড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে। চাচাও বুঝলেন, তাজা ঘটি এখানে ভাঙ্গা থাকার কথা নয়। ঘটির কয়েকটি চারা (টুকরা) হাতে করে বাড়ী নিয়ে আসলেন।
এবার আমি জেনেছি। আমি ভাবলাম, এগুলো তো সবার জন্যই। খেয়েছে। তৃপ্তি মিটেছে। মনের ইচ্চা পূরণ হয়েছে। তো এটা ভাঙ্গার কি দরকার ছিল? না ভাঙ্গলে তো আবার আরেক দিন এভাবে খেতে পারতো! আবার এভাবে আরেক দিন আরেক জনেরটা নষ্ট করবে নির্দিধায়, নিঃশ্চিন্তায়!
----------------------------------------------------------------
এভাবেই শেষ নয়; আমি এই বিষয়টাকে যেভাবে ভেবেছি-
আমার একটা ঘটি ভেঙ্গেছে এটা একটা ব্যাপার না; তবে এই রসের ঘটির মতই তারা অনেক কিছু থেকে তাদের চাহিদা পূরণ করে এভাবেই নষ্ট করে ফেলে রেখে যায়।
[এমন করে ভেবে তখনই আমি ভাঙ্গা ঘটির চারার একটা ছবি তুললাম আপনাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য।]
আল্লাহ যেন এই ধরনের চরিত্রবানদের হেদায়েত দান করেন। আমিন!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন