বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৪

আমি আবার বাংলা, আরবীর চেয়ে হিন্দি ভাল পড়তে, লিখতে, বলতে ও বুঝতে পারি, হয়তো তাই এমন হয়!

আমার দ্বারাই দেশের সর্বোচ্চ আইন-আদালত চলে। আমার সময়ের সব আইন-আদালত ইসলাম আর মুসলিমদের বিরুদ্ধে। কারণ, আমার কেন জানি এসব ইসলামী আর আলেমদের ভাল লাগে না। তাঁদের সহ্য করতে পারি না। আমি আবার বাংলা, আরবীর চেয়ে হিন্দি ভাল পড়তে, লিখতে, বলতে ও বুঝতে পারি, হয়তো তাই এমন হয়!

আমি দিন দিন কেমন বদমেজাজী হয়ে যাচ্চি। আমার আচরণে কেমন যেন পুরুষ পুরুষ গন্ধ। হিটলার হিটলাব ভাব। পুরুষরা যতই না নমনীয় হয়ে কথা বলে, আমি তেমনটা পারি না! আমি তার চেয়ে বেশি জোর দিয়ে কথা বলি। আমার কাছে তো ভালই লাগে!

আমার কথা মানুষ পছন্দ করে না। না করুক! আমার কথা পছন্দ করল কি না করল, সেটা নিয়ে আমার কোন ভাবনা নেই। আমি এখন যা বলব তাই আইন। প্রয়োজনে আমি নিজের হাতে আদালত চালাব। আমার এত শক্তি, এমন শক্তি কে না চায়? কার না ভাল লাগে শক্তি দেখায়???

আমার পছন্দ মুশরিকদের জন্য, আল্লাহর জন্য নয়। তাই আল্লাহর উপর আস্থা সংবিধান থেকেই বাদ দিয়ে মা জয়ার উপর আস্থা রাখা শুরু করেছি। আমি মসজিদের চেয়ে মন্দিরের দিকে বেশি ঝুঁকে গেছি। আমি মসজিদে মসজিদে ছাত্রলীগী, যুবলীগী, আওমীলীগী করে দিয়েছি। আর মাদারাসার বন্ধ করার বন্দোবস্ত করেছি। মসজিদের ইমাম মুক্তিযুদ্ধ পাশ ইমাম নিয়োগ দিয়েছি। আর মন্দিরে গিয়ে আমরাই পূঁজা অর্চনার ইমামতি করি। আমার ক্ষমতায়ই একটি মসজিদের সভাপতি হিন্দু একজন মহিলা নিয়োগ দিয়েছি। সেও খুব শক্তভাবে ইমাম-মুসল্লী-মোল্লাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। আজ আমাদের পূর্ব বাবাদের কবরে বাবু সুরঞ্জিত সাহেব উর্দূতেই দোয়া করে দিয়েছে। আমি সব ভাষা ভাল করে বুঝতে পারি! এবার দোয়া কবুল হবেই হবে! জয় মা কালি জয়!

আমি হিন্দুদের দ্বারা মুসলিমদের নির্যাতনের ব্যবস্থা করেছি। আমি বোরকা পড়ে থাকতে ভালবাসি না। তাই কেউ বোরকা পড়ে থাকলে আমার অসম্মান হয়। তাই বোরকাওয়ালাদের বিরুদ্ধে বলার জন্য লোক নিয়োগ দিয়েছি, তাদেরকে লালিয়ে দিয়েছি, তাদেরকে উৎসাহ দিয়েছি। কারণ, বোরকাওয়ালাদের জন্য আমি সিভিল ড্রেসে বাহির হতে লজ্জা লাগে!

আমি ক্ষমতার ভালই ব্যবহার করতে পারছি। কিন্তু আমাকে ভালবাসে যারা, তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও তাদেরকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি।

যতই হোক, আমি একজন মুসলমানের সন্তান। নিজেও একজন মুসলিম। আমার নামেই তা প্রকাশ পায়। তো আমি প্রকৃত পক্ষে যাই করি না কেন, জনগণের কাছে আমাকে নবীর উম্মত হিসেবেই নিজেকে প্রকাশ করতে হবে। কি করলাম, আর কি করলাম না সেটা নিয়া আমার চিন্তা নাই। তবে বিএনপির লোকদের মত খালেদার উম্মত হয়ে না, জামায়তের লোকদের মত নিজামীর উম্মত হয়ে না; আমি নবীর খাঁটি উম্মত হয়েই জনগণের সামনে প্রকাশ পেতে চাই। কাজে-কর্মে না হোক, চাল-চলনে না হোক, আমার নবী প্রেমের চরিত্র দিয়ে না হোক, আমার বানানো আইন দিয়ে না হোক; নবীর খাঁটি উম্মতের পদটি আমি মুখের ডিকবাজি দিয়ে হলেও
ধরে রাখতে চাই!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন