সকাল নয়টা কি সোয়া নয়টা হবে। স্কুলে যাচ্ছিলাম। পাঁচ কি ছয়জন ছেলে আমাকে ধরে নিয়ে এক জায়গায় নিয়ে এল। জায়গাটা আমার একেবারে অজানা। চিনলাম না। চর এলাকার বিশাল যায়গা জুড়ে আমি খালি দেখতে পাচ্ছিলাম। একটি বেল গাছ, একটি আম গাছ আর একটি তাল গাছ ছাড়া আমি বিশাল ফাঁকা মাঠে কোন লোক জনকেও দেখলাম না। ছেলেরা আমাকে নিয়ে বেশ ইয়ারকি করছিল। আর হাসছিলও। আমি কিছুই বুঝলাম না ব্যপারটা। এক সময় আমি যোহরের নামাজের আযান শুনতে পেলাম।
আমি বললাম, যোহরের আযান হয়েছে। সবাই এসো, নামাজ পড়া যাক! আমি তাদের কারোর মাঝেই আমার কথার উপর আগ্রহ দেখলাম না। তবে তাদের একজন আমাকে এক বদনীতে করে পানি এনে দিল। কিন্তু আমি সেখানে কোন মসজিদও দেখতে পেলাম না। আমি তখন বেল গাছটার নিচেই দাঁড়ানো। বদনীর পানিতে ওযু করে গায়ের চাঁদর বিছিয়ে নামাজে দাঁড়ালাম। সব চেয়ে ছোট ছেলেটি তখন আমার খুব কাছে দাঁড়ানো। আর তিন জন একশ গজ দূরে দন্ডায়মান হবে। আর একজনকে আমি অনেক দূর থেকে বাইকে করে আমার নামাজের চাঁদরের সামনে এসে ব্রেক কষল। এতক্ষণে আমি ফরজ নামাজ চার রাকায়াতের নিয়ত করে দুই রাকায়াত পড়েছি মাত্র। বাইকে করে আসা ছেলেটা আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার দিকে ইশারা করে কি যেন বুঝাতে চাইল। আর সে অমনি বেল গাছের একটা কাঁটাযুক্ত ডাল ভেঙ্গে আমার মাথায় আঘাত করতে চেষ্টা করল। আমি নামাজ ছেড়ে দিয়ে হাত দিয়ে ফিরাতে চেষ্টা করলাম। এতক্ষণে বুঝলাম ব্যপারটা কি! আমি উল্টো দিকে দৌড় দিলাম। পেছনে ফিরে দেখি সবাই আমার দিকে তেড়ে আসছে। দুই জনের কাছে আম গাছের ডাল ভাঙ্গা দেখতে পেলাম।
দৌড়োতে দৌড়োতে কাছেই একটা ক্ষেত পেলাম লাঙ্গলে হাল চাষ করা। সাহস করে ডান হাতে করে একটা বড়সড় মাটির দলা নিলাম। আর বা হাতেও একটা। আর তাদের দিকে তেড়ে ভয় দেখাচ্ছিলাম। সব ছেলেরা আমার সাহস দেখে থমকে দাঁড়াল। আমিও আমার শরীরে কারোর স্পর্শ অনুভব করলাম। আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। ইস, কি যে মিস করলাম! মারামারিটা করতে পারলাম না! সেই যে ছোট বেলা খুব সহজে মারামারি বাধতাম! যখন আমি প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম। আজ আমি সেই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। যদি না ঘুমটা ভাঙ্গত, আজ আবার শিক্ষক বয়সে এসে মারামারির প্রেকটিসটা হয়ে যেত!
আমি বললাম, যোহরের আযান হয়েছে। সবাই এসো, নামাজ পড়া যাক! আমি তাদের কারোর মাঝেই আমার কথার উপর আগ্রহ দেখলাম না। তবে তাদের একজন আমাকে এক বদনীতে করে পানি এনে দিল। কিন্তু আমি সেখানে কোন মসজিদও দেখতে পেলাম না। আমি তখন বেল গাছটার নিচেই দাঁড়ানো। বদনীর পানিতে ওযু করে গায়ের চাঁদর বিছিয়ে নামাজে দাঁড়ালাম। সব চেয়ে ছোট ছেলেটি তখন আমার খুব কাছে দাঁড়ানো। আর তিন জন একশ গজ দূরে দন্ডায়মান হবে। আর একজনকে আমি অনেক দূর থেকে বাইকে করে আমার নামাজের চাঁদরের সামনে এসে ব্রেক কষল। এতক্ষণে আমি ফরজ নামাজ চার রাকায়াতের নিয়ত করে দুই রাকায়াত পড়েছি মাত্র। বাইকে করে আসা ছেলেটা আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার দিকে ইশারা করে কি যেন বুঝাতে চাইল। আর সে অমনি বেল গাছের একটা কাঁটাযুক্ত ডাল ভেঙ্গে আমার মাথায় আঘাত করতে চেষ্টা করল। আমি নামাজ ছেড়ে দিয়ে হাত দিয়ে ফিরাতে চেষ্টা করলাম। এতক্ষণে বুঝলাম ব্যপারটা কি! আমি উল্টো দিকে দৌড় দিলাম। পেছনে ফিরে দেখি সবাই আমার দিকে তেড়ে আসছে। দুই জনের কাছে আম গাছের ডাল ভাঙ্গা দেখতে পেলাম।
দৌড়োতে দৌড়োতে কাছেই একটা ক্ষেত পেলাম লাঙ্গলে হাল চাষ করা। সাহস করে ডান হাতে করে একটা বড়সড় মাটির দলা নিলাম। আর বা হাতেও একটা। আর তাদের দিকে তেড়ে ভয় দেখাচ্ছিলাম। সব ছেলেরা আমার সাহস দেখে থমকে দাঁড়াল। আমিও আমার শরীরে কারোর স্পর্শ অনুভব করলাম। আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। ইস, কি যে মিস করলাম! মারামারিটা করতে পারলাম না! সেই যে ছোট বেলা খুব সহজে মারামারি বাধতাম! যখন আমি প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম। আজ আমি সেই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। যদি না ঘুমটা ভাঙ্গত, আজ আবার শিক্ষক বয়সে এসে মারামারির প্রেকটিসটা হয়ে যেত!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন