নিচের দাগ চিহ্নিত লেখাটাই এই পোস্টের শিরোনামঃ
------------------------------------------------------------------
বোরকাহীন ছাত্রীদের ধর্ষন করার সুযোগ সবসময় না পেলেও লম্পটরা চোখের চাহনি দিয়ে গিলতে চায়
নোটিসের সময়: ০৩ মার্চ ২০১২, দুপুর ০২:০৩
উগ্র শিরোনামের কারণে পোস্টটি মুছে দেয়া হলো এবং আপনাকে সতর্ক করা হলো।
-------------------------------------------------------------------
ব্লগের পোস্ট মুছে দেয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লোকগুলো হয় তো জানেন না; একটা পোস্ট লিখতে কত বেগ পেতে হয়? কত সময় খরচ করতে হয়? কত মেধা খরচ করতে হয়? কত অর্থ খরচ করতে হয়? আমি এসব করছি কি জন্য একটু ভেবে দেখার সময়কি ব্লগ কর্তৃপক্ষের নেই?
শুধু উগ্র শিরোনামের কারণে পোস্টটি আর সাথে মন্তব্যগুলোও খুব সহজেই মুছে দিলেন। কিন্তু ক্লিক করে এভাবে মুছে না দিয়ে আমাকে একটা নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দিলে হত না যে, আপনার পোস্টের শিরোনামে উগ্রতা প্রকাশ পেয়েছে। তাই আপনার এই পোস্টকে শিরোনামের জন্য মুছে দেয়া হবে। তাই ১ ঘন্টার মধ্যে অথবা আজকের মধ্যে শিরোনাম ঠিক করে আবার প্রকাশ করুন।
কিন্তু তা না করে পুরো পোস্টাই মুছে দিলেন। তাতে কি হয়েছে?
০ তাতে আপনার সর্বোচ্চ ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে
০ আর এভাবে ব্লগারের ক্ষমতা সম্পূর্ণ লোপ পাবে
০ ব্লগারের উগ্রতা লোপ পাবে
০ আপনাদের সম্মান দেখিয়ে লেখার চেষ্টা করবে
০ লেখার আগে হয়তো কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এভাবে সম্মান জ্ঞাপন করে লেখা শুরু করবে
০ ব্লগার হয়ে আপনাদের ভয়ে সত্য গোপন রেখে লেখায় তেল মাখা পোস্ট প্রকাশ করবে
০ লেখায় দেশে চলমান অন্যায়ের প্রতিবাদ না জানিয়ে প্রেম, আকাশ, বাতাস, নদী, পাহাড়, বড়লোক-ছোটলোক, ভাবী-দেবর, শশুড়-শাশুড়ী ইত্যাদি পোস্ট করবে
আহা, এভাবে আপনাদের কতই না ভাল লাগবে
কিন্তু-
০ একজন ব্লগারের ভালবাসার মর্যাদা দিতে কার্পণ্য করলেন
০ ব্লগারের ভালবাসায় আস্থাশীল হতে পারলেন না
০ ব্লগের সারা জীবন ব্লগিং করার সাহস নষ্ট করে দিলেন
০ ব্লগার আপনাদের ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হল
০ নিরবেই শুধু ব্লগার কাঁদল, আপনাদের সান্ত্বনা পেল না
০ এভাবে করেই একেক করে পুরনো ব্লগার হারিয়ে যেতে পারে দূর অজানায়
০ অনেক অনেক নতুন ব্লগার পাবেন ঠিক, তবে যারা অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যে অর্জন করে ব্লগের সুষ্ঠু পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হয়ে ব্লগিং করতে পারছে তাদের মত হবে না। সারা জীবনই আপনাদেরকে নতুন ব্লগারদের সর্তকই করে যেতে হবে
আমি যেমন ভাবছি, বিষয়টির সমাধান না করে মুছে দেয়ার পর নোটিশ দিয়ে সদাচরণের যুক্তি রক্ষা হয়নি। জানি না, আমারও ভুল হতে পারে। কিন্তু ভেবে দেখার মত যদি হয়, একটু ভেবে দেখবেন, প্লীজ! আমি আপনাদের কোন আস্থাই পাচ্ছি না। আল্লাহ না করুন, হয় তো যদি কোন দিন এভাবে অজানায়ই ব্যান হয়ে যাই। তাহলে নিজেকে সামলাতে পারব না। সুতরাং না জানিয়ে এই কাজটি অন্ততঃ করবেন না!
এর চেয়ে শান্ত প্রকৃতির পোস্ট আমি আর কিভাবে লিখব? জীবনে কিছু লেখিনি বলে ব্লগে যে প্রকাশ্য লেখায় ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেই জন্য আমাকে ট্রেনিং করার তাগিদ আসছে হয়তো উস্কানী আর উগ্র ধরনের শব্দে। তবে আমি কিন্তু খুব বাজে /অর্থহীন লেখা কখনো লেখিনি। কাউকে গালাগালও দেয়নি। আমি লেখায় কাউকে রামদা, চাপাতি লাঠি, পিস্তল হাতে নিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদী হওয়ার আহবান জানাইনি কখনো। উস্কানীর অভিযোগে যখন আমার সাধারণ পোস্টগুলোকে মূছে দেয়া শুরু হল, আমি নিস্তেজ প্রায় একটি পোস্ট দিয়েছিলাম-
আমি জানি না; আর কত নত হয়ে লিখলে লেখায় উস্কানী থাকবে না!
তারপরও আমার সাথে ব্লগ কর্তৃপক্ষ অযৌক্তির আচরণ করতে থাকেন। যার ফলশ্রুতিতে আমার মনে কখনো রাগ হয়েছে, মান-অভিমান হয়েছে। বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে তার কিছু প্রমাণও রয়ে গেছে। কিন্তু আমি ব্লগ ছেড়ে যাইনি, যাওয়ার চিন্তাও করি না। আমার ব্লগ ভালবাসার প্রমাণগুলো আরেকবার পড়ে যাঁচাই করে দেখতে পারেন!
০ ব্লগারদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে 'ইসলামী রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'ভীষণ-২০৫০' !
০ এখানে যদি হোঁচট খাই; মনে হয় না আর কখনো লেখা হবে আমার কলমে। তখন বুঝব, আমি পারি না বলেই আমি লিখতে গিয়ে ঝরে গেছি!
০ এভাবে ব্লগিং করে আমার স্বাদ মিটে না। চাই আরো সুন্দর কিছু! তাই মহা মিলনমেলার ডাক দিচ্ছি
০ কেমন তুমি ভাই
০ যদি কোন দিন মিথ্যাদের দল সোনার বাংলাদেশ ব্লগের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে চাইবে, সেদিনও আমি সোনার বাংলাদেশ ব্লগকে ভালবাসার শক্ত বাঁধনে আঁকড়ে ধরব!
০ হাসি-কান্নার কত কিছু যে ঘটে যায় এই দুনিয়ায়! আর একজন ব্লগারের স্বপ্ন!
০
০ (+/-) রেটিং বাদ দিয়ে পছন্দ অপশনটা বাজে লেখাকেই উৎসাহ দেয়া হল!
০ মাহমুদ নাইস চলে যাবে; কিন্তু ভালবাসাটুকুই শুধু রেখে যাবে!
০ ব্লগার নিকে ব্লগারদের লেখার বাহারী চরিত্র!!!
০ তারপরও আমার মনে কোন দুঃখ নাই! আমি সুন্দর শান্ত মনের অধিকারী আজও আছি!
আমার এই লেখাগুলো শুধুই শুধুই শুধুই ব্লগ ভালবাসার সর্বোচ্চ প্রমাণ। তারপরও অনেক অনেক পোস্ট বিনা নোটিশে সংশোধনের সম্পূর্ণ সুযোগদানহীনভাবে সুন্দর সুন্দর পোস্টগুলোকে নির্দিধায় মুছে দেয়া হয়েছে। মন খারাপ হয়েছে অনেক অনেক। তবুও আমি লিখে যাচ্ছি, পোস্ট করছি। থেমে যাইনি কখনও। সবার সাথেই সোনার বাংলাদেশ ব্লগে অনেকটা বেহায়ার মতই এই লেখাটার মত মনে আশাবেঁধে ব্লগের ব্লগার হিসেবে হাল ধরে আছি শক্ত ধৈর্যের মাধ্যমে!
সান্ত্বনা তখনই হবে; যখন কালিমার পতাকা পতপত করে উড়বে!
আমি নারী লিপ্সু শিক্ষকদের একটু শরম দিয়ে নারী জাতির ইজ্জতের উপর সম্মান দেখানোর জন্য লেখা দিয়ে সামান্য চেষ্টা করেছি মাত্র। কারণ, আমার আর কোন ক্ষমতা, শক্তি নেই যে তার বিরোদ্ধে কিছু করতে পারি। আমি তো সেই শিক্ষককে মারতে যাইনি। ভয় দেখাইনি। লাঞ্চিত করিনি। আমিওতো একজন শিক্ষক। কিন্তু আমি তো তার মত বেলাজা হয়ে পোশাক খুলতে বলিনি। আমি যে সারাক্ষণই বলি তোরা মাথায় কাপড় পড়ে স্কুলে আসবি।
সত্য বলবি। সৃষ্টিকর্তার আদেশ পালন করবি। সৎ পথে চলবি। মিথ্যা বলবি না। কারো অধিকারে হাত দিবি না। বড়দের সম্মান, মা-বাবার কথা শুনবি। শিক্ষকদের কথা শুনবি। কিন্তু সেই বেলাজা শিক্ষক পর্দা খুলে তার সামনে এলে তার কি সুবিধা হবে? আমার বোন বলে আমার লেগেছে, আপনার বোন না হলে কি আপনার লাগবে না? এভাবে একটা পোস্টকে মুছে দিয়ে আপনারা কি বুঝাতে চাচ্ছেন?
১। পর্দা না করেই স্কুলে মেয়েরা আসুক?
২। লম্পট শিক্ষকরা তাদের নষ্টামী করেই যাক?
৩। শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পতিতালয় হিসেবে গড়া হোক?
৪। শিক্ষকদের ছাত্রছাত্রীরা জুতা মারুক?
৫। দেশ থেকে সত্য শিক্ষা বেরিয়ে যাক?
৬। শিক্ষার্থীরা এসব অপকর্ম শিখুক তাদের শিক্ষক থেকে?
৭। আর এসব চরিত্র দিয়েই কি সৎ চরিত্র গড়া যায়?
সোনারবাংলাদেশ ব্লগ কর্তৃপক্ষও কি এসব সমর্থন করতে পারেন? তো এতদিন আপনাদের ব্লগের প্রতি ভালবাসা, আপনাদের প্রতি ভালবাসা কোথায় ভালবাসলাম? কি উদ্দেশ্যে বাসলাম? আমার মাথায় কিছু বুঝে আসছে না।
সতর্কীত কতবারই না হলাম। তাই তো ভালবাসার সেই নির্দোষ মানুষদের নামে সত্য লিখে আর আগের মত উস্কানীমূলক পোস্ট না দিয়ে নিম্নোক্ত টাইপের পোস্ট দিচ্ছি।
০
০
০
০
০
০
০ পছন্দ জানাব যে সব লেখায়!
০ ব্লগারদের নামে কবিতার রেলগাড়ি (১ ও ২ পর্ব) [প্রতিপাদ্য: পেন্ট নাই চোরাবালির!]
০
০ তুমি এক বড় বাপের বড়সর কন্যা
০ বেশি প্রকাশ পাওয়া শক্তিমত্তা দুর্বলতারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র!
০ খুঁজে নিও আমাকে ঠিক তোমার মত করে!
০
০ ওরাই সব কিছুতে স্বাদ নেয়ার পর ফেলে দেয়..
০
০ যোগ্যতার অভাবে নিজস্বতা নষ্ট হয়!
০ এ জন্যই শিবির-জামায়াতীদের পাগল মনে হয়!
এত নরম পোস্ট দিচ্ছি, তবুও কর্তৃপক্ষের হৃদয় কাড়তে পারলাম না। চোখের সামনে অন্যায় আসবে। আর আমি পাহাড়-সাগর, আকাশ-বাতাস নিয়ে লিখব। এটা কি হয়? তাই অজানায়ই লিখে ফেললাম। খেয়াল ছিল, মুছে দিবেন কি না। ভয়ে ভয়ে সাভাবিক ভাবেই লিখলাম। তারপরও দেখি আমার প্রতি আপনাদের ব্যবহার!
-------------------------------------------------------------------
যেহেতু লেখায় কোন ধরণের অভিযোগ ব্লগ কর্তৃপক্ষের নেই। তাই আমি লেখাটাকে আবার এখানে শেয়ার করে দিলাম।
-------------------------------------------------------------------
বরাবর,
মাননীয়, সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
বিষয়ঃ মুসলিম নারীর সম্মান বুঝে অধিকার বুঝিয়ে দেওয়ার আবেদন।
মাধ্যমঃ যথাযথ কর্তৃপক্ষ।
মহাত্মন,
সালামবাদ নিবেদন এই যে, আমি একজন মুসলিম পিতার মুসলিম নারী সন্তান এবং বাংলাদেশের সীমানার ভেতরের একজন সাধারণ নাগরিক। আমি এতটাই সাধারণ যে, আপনাকে স্বচক্ষে দেখিনি কোন দিনও। আর আপনার কাছে গিয়ে কিছু চাওয়ার ক্ষমতা আমার নাই। কিন্তু ব্লগে লিখার সামর্থ আমার আছে। আমি জানি আপনিও একজন মুসলিম পিতার মুসলিম নারী সন্তান। সেই হিসেবে আপনার কাছে আমার এই কথাগুলো জানানোর সুযোগ পাচ্ছি। শুধু ইসলামী মূল্যবোধে কেন, অন্ততঃ একজন ধর্মাবলম্বী হিসেবে নিজ নিজ ধর্ম বিধান পালন প্রত্যেকটি ধর্মাবলম্বীদের নৈতিক অধিকারই শুধু নয় সাংবিধানিক অধিকারও বটে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নিজেকে আমি আজ সান্ত্বনা দিতে পারছিনা যে, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার গোলাম হোসেন সরকার নামের লোকটা একজন মুসলিম নামধারী। আমি জানিনা কেন তার কাছে হিজাব ভাল লাগে না। তবে আমি পরিমল নামে একজন শিক্ষককে চিনি; হোক সে অন্য ধর্মের অনুসারী এবং সে যা করেছে তা সমগ্র জাতিকে লজ্জিত করেছে। একেকটা মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে থেকে তারা যেভাবে মানুষকে কলঙ্কিত করে চলেছে তাতে আমি আর নিজেকে মানাতে পারছি না যে, এমন মানুষগুলো নাম না জানা নরপশু হওয়ার অধিকার কোথা থেকে পেল? অথচ আপনি বাংলাদেশের নারী এবং মুসলিম প্রধানমন্ত্রী।
ব্লগার পুস্পিতা তো দুটি প্রশ্নই ছুঁড়ে দিয়েছেন সম্মানী ব্যক্তিদের কাছে, যাদের ন্যায়-অন্যায় বোধ রয়েছে।
১। টাইট জিন্স, টি-শার্ট পরা ছাত্রীকে তিনি কি কখনো বাঁধা দিয়েছিলেন? নিচের ছবিতে যে পোষাক দেখানো হয়েছে এই রকম কোন পোষাক পরে ছাত্রীরা কলেজে যায় এমন কোন ইনফর্মেশন আপনার কাছে কি আছে?
২। তাহলে কি ছাত্রীরা পরিমলদের সুবিধার জন্য খোলামেলা পোষাকে ক্লাসে যাবে?! ধর্মীয় পোষাকে মক্তবে পড়তে গিয়ে শিশুরাও কি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকদের হাত থেকে মেয়েরা রক্ষা পাচ্ছে?? সমস্যাটা আসলে কোথায়: পোষাকে নাকি পরিমল বা আব্দুর রাজ্জাক নাকি অন্য কিছুতে?!
ছবির বামে-বোরকা পরায় বের করে দেয়ার পর অশ্রুসজল ছাত্রীটি ফিরে যাচ্ছেন রাজউক কলেজ থেকে। সাথে তার বোন। ডানে- আরো কয়েকজনকে বোরকা পরার কারণে ঢুকতে না দিয়ে কলেজ গেইটে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
ব্লগার পুস্পিতা অন্য আরেক পোস্টে আর একটি মন্তব্যে প্রশ্ন করেছেনঃ
৩। বোরকা পরলে অধ্যক্ষের সমস্যা কি? যে ছাত্রী বোরকা পরে তার তো কোন সমস্যা হচ্ছেনা। তাকে কেউ জোর করে বোরকা পরতেও বলেনি। কিন্তু অধ্যক্ষ তাতে বাঁধা দেয়ার কে? বোরকা অপছন্দ হওয়ার কথা পরিমল নামের লম্পটদের। কারণ বোরকা তাদের লালসা পূরণে সহায়ক নয়। বোরকা ছাড়া ছাত্রীদের তারা ধর্ষন করার সুযোগ সবসময় না পেলেও চোখের চাহনি দিয়ে গিলতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাঁধা হয় বলেই কি অধ্যক্ষ সাহেবের বোরকা অপছন্দ?
আবূ শাওয়াক্ব তাঁর ব্লগের লিখেছেন,
একজন পুরুষ বিচারক অফিসে মাথা ঢেকে থাকেন, এটাতে কারো প্রশ্ন নেই। কিন্তু একজন মুসলিম মহিলা মাথা ঢেকে রাখলে তিনি হন সেকেলে ও মৌলবাদী!! সম্ভ্রান্ত মুসলিম নারীদেরকে ন্যাংটা করার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছেন। এটাকে মারাত্মক বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যধি ছাড়া আর কি বলতে পারেন?
একজন প্রধান শিক্ষকের রুচি যদি এত নিচ হয়, তাহলে সেখান থেকে কি বের হবে তা সহজেই আন্দাজ করা যায়।
এ সকল প্রশ্নগুলো শুধু আবূ শাওয়াক্ব, পুস্পিতার নয়; আমাদের মুসলমান জাতির প্রশ্ন। হে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আমি জানি না এমন সংবাদ আপনার কাছে পৌঁছেছে কিনা। তবে আপনার জানা উচিৎ। আমি আর নিজেকে মিলাতে পারছি না কেন মুসলিম নাম ব্যবসায়ীরা এমন হীনমন্যতার পরিচায়ক? এদেশে প্রায় ৯০%+ মুসলমানের মাঝে আপনার নামটিও রয়েছে। মুসলিম, নারী এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার মনে প্রথম এবং সবোর্চ্চ চোট লাগার, রাগ হওয়ার, বিচার দাবী করার কথা ছিল আপনার। আমি জানি না তা হয়েছে, করেছেন কিনা। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর দায়দায়িত্ব বুঝে বাংলাদেশের প্রতিটি ধর্মবলম্বীদের ধর্মভিত্তিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রধান ক্ষমতা, দায়িত্ব আপনার হাতে। আপনার কাছেই এমন বিষয়টির যথার্থ সুরাহা হওয়ার আশা করি, চাই। নয় তো বাংলার মুসলমান এদের ক্ষমা করবে না, আর যারা এদের রক্ষাকর্তা, মদদদাতা।
তাছাড়া খুব বেশি দিন হয় নি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া ও সামসুন্নাহার হল থেকে ৮ ছাত্রীকে হল থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই ৮ ছাত্রীর সিট বাতিল করে হল থেকে বের করে দেয়া হয়। সেই ছাত্রীদের ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ছাত্রী কর্মীদের কথা অনুযায়ী বহিঃস্কার করা হয়েছে। তাদের অপরাধ তারা বিকেলে হলের মাঠে বসে গল্প করছিল! তাদের আরো কিছু অপরাধ আছে, তারা সবাই নিয়মিত নামাজ পড়ে, তারা পর্দানশীল!!! এই অপরাধে তাদেরকে হল থেকে বহিঃস্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ক্যাম্পাসে সহিংসতার আশঙ্কায় এদের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সহিংসতার আশংকায় বহিঃস্কার?!! নামাজ পড়লে সহিংস হয়? পর্দা করলে সহিংস হয়? ছবিতে যাদেরকে দেখা যাচ্ছে তাদের কয়জনকে বহিঃস্কার করা হয়েছে? সেই ৮ জন ছাত্রীর অপরাধ তারা ছবির মতো মারামারি করেনা, চুলোচুলি করেনা? রাত বিরাতে কারো ডাকে বিভিন্ন জায়গায় যায়না? এসবই অপরাধ?!
চুলাচুলিকারীদের দৃশ্য দেখুন!
এখান থেকে কপি>>
আমি বুঝি না দেশে এসব কি হচ্ছে? পর্দা, নারী, মুসলিম, ইসলাম, নামাজ, রোজা, কুরআন, হাদীস ইত্যাদি নিয়েই দেখছি সব ঝামেলা। আর কিছুতে তো কোন সমস্যা নেই। আপনি একটু ভেবে দেখবেন আশা করি!
সুতরাং এভাবে যদি চলতেই থাকে তাহলে এই মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে মুসলমানদের ইজ্জত আর অবশিষ্ট থাকে না। সম্মান যদি যায়, আপনার সম্মানই আগে যাবে ভাবতে হবে। আপনার শরম লাগুক আর না লাগুক; মুসলমান জাতির বিশেষ করে নারীদের ইজ্জত রক্ষার্থে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার গোলাম হোসেন সরকারদের মত সমস্ত পশুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে বাংলাদেশে হিজাবের মর্যাদা দানে বাধিত করবেন। নয় তো মহান আল্লাহ কাউকেই ছাড়বে না। ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড : যে কষ্ট শিরোনামে প্রকাশ করতে পারছি না! (বহু যত্ন করে লেখা; এই পোস্টটি মূছে দিবেন না প্লিজ!), ব্লগারের সাথে ব্যবহার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন