রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৩

যতদিন হাসিনা থাকবে, ততদিন ভারত প্রেমিকের মনোরঞ্জনের জন্য উপহার হিসেবে বাংলার জনগণকে প্রাণ দিতেই হবে!

যতদিন হাসিনা থাকবে, ততদিন ভারত প্রেমিকের মনোরঞ্জনের জন্য উপহার হিসেবে বাংলার জনগণকে প্রাণ দিতেই হবে!

-পাঁচ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

: ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার সীমান্ত থেকে পাঁচ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

রোববার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চারজনকে ও এর আগে শনিবার বিকেলে একজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদের মধ্যে স্কুলছাত্র,গরু ব্যবসায়ী ও কৃষক রয়েছে।

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৩

ব্লগ-ব্লগার-কর্তৃপক্ষ সমস্যায় আমার একখান প্রস্তাব!

ব্লগারই ব্লগের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। ব্লগারহীন ব্লগের যেমন কোন মূল্য নাই, তেমনি ব্লগহীনও ব্লগারের মূল্য নাই। দুইটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সুতরাং দুইয়ের মর্যাদা ও গুরুত্ব সমানে সমান।

গত কিছু দিন ধরে দেখছি ব্যানের বন্যা বয়ে যাচ্ছে ব্লগে। পোস্ট, বার্তা, কমেন্টের মাধ্যমে ব্যান করার বিষয়টি আমি জানছি। আমার ৫মাস অতিক্রম করেছে ব্লগিং করছি। আমার ব্লগ জীবনে প্রথম যাঁরা ছিলেন, অনেকেই আজ হারিয়ে গেছে। অনেককেই হারাতে হয়েছে। আবার কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ আসতে চাচ্ছে না। ইত্যাদি। তবে এই বিষয়টাকে আমার কাছে ভালভাবে জাগে না। ভালবাসার মানুষরা যদি এভাবে চলে যায়......... হয় তো আমাকেও এভাবেই চলে যেতে হবে! আমিও নোটিশ খেয়েছি কয়েকটা। নোটিশ পাওয়া পোস্টগুলো হয় তো উস্কানীমূলক হওয়ায় পোস্ট মুছে দিয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে আমি এই কয়েকটা ছাড়া সবগুলোই ভাল পোস্ট দিয়েছি। কিন্তু সেগুলো সম্পর্কে আমাকে কোন ধন্যবাদ জানানো হয় নি।

একটা নোটিশে শুধু বলা হয়েছে, যা আমার জন্য আশারবাণী স্বরূপঃ আপনি যদি যথাযথ পোস্ট দেন, তবে আপনাকে মূল্যায়ন করা হবে। এতে আমি মডারেটরদের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করছি। কর্তৃপক্ষও আমাকেও সেভাবে মন্দ চোখে দেখছেন না। আমার সাথে ব্লগ কর্তৃপক্ষের যথযথ সম্পর্ক বজায় রয়েছে, আমি মনে করি। এই সম্পর্ক যাতে আরো গারো হয় আর ব্লগ, ব্লগিং এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষের সমন্বয় যেন আরো সুন্দর, আরো একটিভ হয়; সেই জন্য-
----------------------------------------------------------------
আমার একটা প্রস্তাব
----------------------------------------------------------------

১। সবার জন্য উম্মুক্ত একটা বোর্ড রাখা হোক। যেখানে ব্যান করা, সাময়িক স্থগিত করা ব্লগারদের তালিকা প্রদর্শিত হবে। কি কারণে ব্যান করা হল,তার কারণও সেখানে উল্লেখ থাকবে। আর সেখানে মন্তব্য করে তাঁদের জন্য দোয়া করার অপশন চালু থাকবে। যদি সত্য কথায়, দেশের কথায় আপনাদের (মডারেটর) রেষানলে পড়ে একজন ব্লগারের ব্যানের মাধ্যমে মৃত্যু হয়। তাহলে সেখানে আমরা জীবিতরা যুক্তিসংগতভাবে আনব্যান করার যুক্তি তুলে ধরব। আর যদি ঠিকভাবে ব্লগ থেকে ব্যান করার মত কোন নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণেই ব্যান করা হয়ে থাকে; তাহলেও এখান থেকে অন্য সব ব্লগারগণ শিক্ষা নিতে পারবেন। তখন এধরণের পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে সহজ হবে। কিন্তু আপনারা যদি সতর্ক হওয়ার সুযোগ না দিয়ে চুপিসারে একজন ব্লগারকে ব্যান করে দিলেন; আমরা তা জানলাম না। তার জন্য শুধু শুধু ব্যর্থ আশা করব, হয় তো আবার কোন দিন সেই ব্লগার আমাদের মাঝে ফিরে আসবে। অথচ আর কোন দিনও আসবে না!

২। প্রতিদিন সর্বাধিক মন্তব্যকৃত, সর্বাধিক প্লাসিত, সর্বাধিক মাইনাসিত পোষ্টগুলো প্রদর্শিত হওয়ার জন্য বোর্ড অপশন তৈরী করা হোক।

অথবা সবক'টি অপশন প্রদর্শন করানোর জন্য একটা বোর্ডের ব্যবহার যথেষ্ট হতে পারে। তাতে যায়গার সংকুলান হবে।

৩। সোনার বাংলাদেশ ব্লগ যেহেতু সকল মতের মিলন মেলা; সেহেতু এখানের ব্লগারকে ব্যান করার আগে সকল ব্লগারের মতামত নেয়ার ব্যবস্থা করা হোক। ব্যানের পক্ষে/বিপক্ষে অন্যান্য ব্লগারদের ভোট দেয়ার অপশন চালু করা হোক। যদি মন্তব্যগুলো পড়ে আপনাদের ব্যান করার মত মনে হয় অথবা বেশি মাত্রায় ভোট পড়ে ব্যান করার প্রতি, তাহলে না হয় আপনার ব্যান করবেন।

আমি জানি না, আমার সামনে থেকে হারিয়ে যাওয়া ব্লগারগণ সবাই ই কি ব্যান হয়ে গেছেন কি না। তবে আমি তাঁদের খুব মিস করি। তাঁদের ব্লগে অফলাইন থাকা আমার মনে নিঃসঙ্গতাই বাড়ায়। আমার মনে হয়, এই ৫ মাসের ব্লগিয়ের আমি যাঁদের পেয়েছিলাম; সবাই যদি ব্লগে থাকত এত দিনে হয় তো সব সময় ২৫০-৩০০ জন্য অনলাইন হয়ে থাকত। যা শুধু আমার মনের ভালবাসার জন্যই শুধু নয়; আপনাদের ব্লগের জন্য ভাল কিছু হত। ব্লগ আরো কিছু পেত। ব্লগারগণও মনমরা না থেকে আরো উৎফুল্ল থাকত। সুতরাং, ব্লগের কল্যাণার্থে ব্যান না করে সংশোধনের মাধ্যমে আপনাদের চাহিদা মোতাবেক একজন ব্লগার হিসেবে গড়ে তোলার কৌশল সৃষ্টি করা হোক।

এটা একান্তভাবে আমার মতামত। ব্লগারগণ হয় তো ব্লগের কল্যাণার্থে মন্তব্যের ঘরে তাঁদের ইচ্ছার কথা গুলো তুলে ধরবেন!



ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড : ব্লগিং সুবিধা, নতুন অপশন,

দেশের রাখাল লজ্জাতে নাই; ন্যাংটা প্রধানমন্ত্রী!

ভারত খুনি মানুষ বেশে
তৈরী তবে কিসে?
সকল লজ্জার মাথা খেয়ে
বাংলা মারছে বিষে।

আম-জনগণ নয় রে বেটা;
ফরেইন চিনে নেত্রী!
দেশের রাখাল লজ্জাতে নাই;
ন্যাংটা প্রধানমন্ত্রী!

সীমান্তে দেখ্ বন্ধুযুগল
মিটমিটিয়ে হাসছে
বাং... নেতা কয়, "মানুষ মারা
এমনিই চলে আসছে!"

বলি ওরে বাংলা লীডার!
ক্ষমতা আজ কই?
তোমার তরেই বাংলা লাজে
চুক্তি গেল ঐ?

যারাই নাকি বাংলা প্রেমিক
বাংলা প্রেমের হীরক
তাদের হাতেই সোনার মাটি
ফিনিস বাংলা তিলক!

যেই করে হোক, দেশটা বাঁচাও
মমতা জাগাও মনে
দরকার হলে পায়ে ধরো
মোহন বাবুর সনে।

হায় আমি যদি শিবির করতে পারতাম!

আমি ছাত্রশিবিরের চরিত্র নিজ চোখে খুব কাছে থেকে যেভাবে দেখেছি; নিঃসন্দেহে তাঁরা নিজের জীবনে উন্নত চরিত্র গড়ার মাধ্যমে দেশকে শান্তিরাষ্ট্র হিসেবে গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ী। আমি চাই বাংলাদেশের সকল ধর্মাবলম্ভি ছাত্র ছাত্রশিবিরকে জানুন! বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির একটি সুন্দর, আদর্শ, সুশৃংখল ছাত্র সংগঠনের নাম

এ যুগে একদিকে পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী ও স্বার্থপূজারী সভ্যতা আমাদের জাতির নৈতিক পতনকে চরম পর্যায়ে উপনীত করেছে, অন্যদিকে চলছে সমাজতন্ত্রের নাস্তিক্যবাদী চিন্তার হামলা। এ হামলা আমাদের জাতির মৌলিক ঈমান-আকীদার মধ্যে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি করেছে। এর ফলে ইসলামের সাথে জাতির গভীর প্রেম-প্রীতিময় সম্পর্কের ভিত্তি নড়ে উঠেছে। বিপর্যয় ও অনিষ্টকারিতার ‘সিপাহসালার’ শয়তান যে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল হুবহু তারই চিত্র যেন আজ ফুটে উঠেছে। শয়তান বলেছিলঃ আমি (হামলা করার জন্য) এদের (মানব জাতির ) সামনে থেকে আসবো, পিছন থেকে আসবো, ডান দিক থেকে আসবো, বাম দিক থেকে আসবো। (সুরা আরাফ-১৭)

মাজারের নিকট যে সমস্ত মূল্যবান প্রদীপ ও স্বর্ণনির্মিত বাতিদান অযথা আলোক বিচ্ছূরন করে; অথচ তাদের সন্নিকটে বনে-জঙ্গলে মানুষের কাফেলা পথভ্রষ্ট হয়ে দস্যুহস্তে লূন্ঠিত হয়, সেই প্রদীপ ও বাতিদানের অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব যেমন সমান মূল্যহীন, ঠিক তেমনি যে ঈমান, ইসলাম ও তাকওয়া চতুষ্পার্শের পরিবেশকে আলোকিত করার জন্য কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরিবর্তে বিরোধী শক্তির ভয়ে মসজিদে আশ্রয় খুজে ফেরে, তাও হৃদয়-মনের জন্য নিছক স্বর্ণালংকার বৈ আর কিছুই নয়। চরিত্রের যে ‘মূলধন’কে ক্ষতির আশংকায় হামেশা সিন্দুকের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় এবং যা হামেশা অনুৎপাদক (productive) অবস্থায় বিরাজিত থাকে, সমাজ জীবনের জন্যে তার থাকা না থাকা সমান।

মূলধন নিয়োগকারীদের মধ্যে যোগ্যতা থাকলে সে মূলধন লাভসহ ফিরে আসবে, আর অযোগ্য হলে লাভ তো দূরের কথা আসল পুঁজিও মারা পড়বে। কিন্তু বাজারে আবর্তিত হতে থাকার মধ্যেই পুঁজির স্বার্থকতা। অন্যথায় যত অধিক পরিমাণ পুঁজিই জমা করা হোক না কেন তা পুরোপুরি ব্যর্থ হতে বাধ্য।

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীগণ যখন তাদের চরিত্র ও ঈমানের ন্যূনতম পুঁজি এ পথে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, তখন একে কেবল ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাবার জন্যই নয়; বরং দেশ ও জাতির এবং আমাদের নিজেদেরকেও এ থেকে অধিকতর মুনাফা অর্জনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একজন স্বল্প পুঁজিদার ব্যবসায়ীর ন্যায় আমাদের রক্ত পানি করা উপার্জনকে ব্যবসায়ে খাটাবার ব্যাপারে পূর্ণ সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। এর পরিচালনা এবং দেখা-শুনার জন্য যাবতীয় উপায়ও অবলম্বন করা কর্তব্য। মহামারী আক্রান্ত এলাকায় জনগণের সেবা করার জন্য আমাদের নিজেদের স্বার্থরক্ষার সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

কিভাবে চিনবেন শিবির?

একজন আমাকে মেসেজ দিয়ে বলল, ভাই আমি কউমীর। কিভাবে শিবির হব? আমি নারায়ণগঞ্জের।

এর উত্তর আমি কিভাবে দিব! আমি তো শিবির না। তাছাড়া আমি আপনার এলাকার কাউকে চিনি না। তারপরও আমি শিবির ভালবাসি পছন্দ করি সহযোগিতা করি হিসেবে আপনাকে পথ দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যেহেতু আপনি আমাকে নক করেছেন।

¥ আপনাকে প্রথমে অন্ততঃ 4-5টি মসজিদে আসরের নামাজ পড়তে হবে। নামাজের পর মসজিদের সামনে যদি কেউ কাউকে আসসালামু আলাইকুম মাসুম ভাই! আসসালামু আলাইকুম সাদিক ভাই! কেভন আছেন ভাই? ইত্যাদি কুশল বিনিময় করতে দেখেন তবে বুঝতে পারেন তাঁরা শিবির পক্ষের লোক। আর যদি হাতে কোন বই খাতা ডায়রী কাগজপত্র কলম নোট বই থাকে তবে নিশ্চিত ধরে নিবেন উনারা শিবির!
¥ পত্রিকার দোকানে যাতায়াত বাড়াবেন। ছাত্র বয়সের দেখতে ভদ্র মুখে তার হাসি টেনশনের ছোঁয়া নাই এমন কাউকে সালাম বিনিময় করে পত্রিকা কিনতে বা পড়তে বা নিয়ে যেতে দেখেন, তাহলে ভাবতে পারেন লোকটা শিবির। যদি আমার দেশ, নয়াদিগন্ত, সংগ্রাম নিতে দেখেন তবে নিশ্চিত হবেন যে এই জনই শিবির!
¥ স্কুল কলেজ আলিয়া মাদরাসার আশে পাশে বিকাল বিকাল ঘুরবেন। যদি দেখেন দুইজন লোক একজন অন্য জনকে সালাম দিল। মুসাহাফা করল। আপনি তাকে শিবিরের পক্ষের লোক ভাবতে পারেন। যদি কোলাকুলী করল দেখেন। তবে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনি শিবির পেয়ে গেছেন!

এখন আপনি আপনার কাঙ্খিত পথে এগিয়ে যাবেন। সম্পর্ক তৈরি করুন। আপনার পরিচয় দিন। আপনার ইচ্ছার কথা জানান। উনারা বলে দিবেন আপনাকে কি করতে হবে! সামনে অগ্রসর হতে থাকুন। আল্লাহ আপনার পথ সহজ করে দিবেন আশা করি!

শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৩

আওয়ামীলীগ?

আ তে আমড়া কাঠের ঢেকি
ও তে ওয়া মুর্খ সে কি!
য়া তে ভুয়া বেহায়া বাজে
মী তে গর্মিল কথা কাজে
লী তে লিঙ্গ হারায় কারা?
গ তে গরু আওয়ামীলীগ তারা!

প্লাস-মাইনাস, (+/-) রেটিং বাদ দিয়ে পছন্দ অপশনটা বাজে লেখাকেই উৎসাহ দেয়া হল!




আগে ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই যে, হয় তো ব্লগের শুভ কিছু করার জন্য বা মনে সুন্দর কোন অনুভূতি নিয়ে (+/-) রেটিং বাদ দিয়ে পছন্দ অপশনটা লাগিয়েছেন। হয় তো বেশি সময় হয় নি। আমি এখন ব্লগে অনলাইন হলেই ব্যাপারটা আমার নজর কাড়ে। আপনারা যেভাবেই ভেবে থাকেন না কেন, আমি যেভাবে ভাবছি তা হলঃ

মন্তব্য সবার জন্য উম্মুক্ত। কিন্তু পছন্দ অপশনটা শুভ পোস্ট যাদের ভাল লাগে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্ত যাদের খারাপ লাগে বা অপছন্দ তাদের জন্য কিন্তু কিছু রাখা হল না। তাদেরকে বঞ্চিত করা হল।


পৃথিবীতে এমন কিছু নাই বা আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেন নি যার ভাল-মন্দ নাই। নিরপেক্ষ বলতে কিছু নাই। পছন্দসই বা ভাল লেখার ক্ষেত্রে প্লাস দিব, যেন দিতে পারি এমন ইচ্ছা সবারই থাকে। আর বাজে লেখা বা খুব অপছন্দসই লেখার ক্ষেত্রেও তেমনি সেই লেখাকে ঘৃণা বা মাইনাস দেয়ার অনুভবটাও থাকে। ভাল লেখায় প্লাস আর মন্দ লেখায় মাইনাস এমন রেটিং থাকা স্বাভাবিক নয় শুধু; বাঞ্চনীয় বটে। আমি প্লাসকে পুরষ্কার ধরে আর মাইনাসকে তিরষ্কার ধরেই বলছি, যদি প্লাসের মাধ্যমে ভাল লেখাকে যেমনি ভাবে উৎসাহ দেয়া হয়। তেমনি মন্দ লেখায় মাইনাস দেয়ার মাধ্যমেও মন্দ লেখার প্রতি অনিহা সৃষ্টি করা হয়। আমার মতে প্লাস/মাইনাস দেয়ার অপশনটা বাতিল করে শুধু পছন্দ অপশন রাখার মাধ্যমে মন্দ, বর্জিত, খারাপ, অশালীন, বাজে লেখার প্রতি উৎসাহ, সহমত জানানো হল।

মডারেটরদের সিদ্ধান্তকে আমি কি বলে যে মন্তব্য করব, আমি ভেবে পাচ্ছি না। প্লাস/মাইনাস রেটিং থাকতে একটা অন্যরকম ফিলিংস কাজ করত; প্লাস বেশি, না মাইনাস বেশি পাই এমন! প্লাস বেশি মানেই বেশি জন ব্লগার আমার লেখাকে ভালবেসেছে, পছন্দ করেছে। আসলেই লেখাটা ভাল হয়েছে। আর মাইনাস মানে, আমার লেখাটা মন্দ হয়েছে। আমি শুধু কেন, মাইনাসপন্থীরাও মাইনাস পেতে ভালবাসে না বা মাইনাস পেতে চায় না। আর যারা সারাক্ষণই মন্দ লেখতে থাকে, তারা অনেক সময় রেটিং বন্ধ করে রাখে। কারণ হল, তারা নিজেরাও জানে মাইনাস খারাপ। তারা তাই মাইনাস পাওয়ার চেয়ে রেটিং বন্ধ রাখাকেই যুক্তিযুক্ত মনে করে।

আমার মতে প্লাস/মাইনাস দেয়ার রেটিং সিস্টেমই ভাল ছিল। আশা করি কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটা আবার ভেবে দেখবেন।
ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড : পছন্দ অপশন, প্লাস-মাইনাস, (+/-) রেটিং বাদ দিয়ে পছন্দ অপশনটা বাজে লেখাকেই উৎসাহ দেয়া হল!

জয় বাংলা, পারলে বহিষ্কার সামলা!

ছাত্রলীগের দ্বারা এসব বেপার না! ছাত্র না থেকেই ছাত্র হওয়া যায়। আর এক্সপেল হয়ে কি পাস হতে পারে না। পারে! ১০০% পারে! সাধে কি ছাত্রলীগ? তবে সোনার ছেলে কইছে কারে??? আর হাসিনার সোনার ছেলে। মুডই তো আলাদা!

পরীক্ষার হলে বই দেখে লেখার দায়ে বহিষ্কৃত হয়ে যদি সময় মত নিজেকে পাস করিয়ে নিতে না পারে তাহলে ছাত্রলীগের শক্তি থাকল কোথায়? ছাত্রলীগের ক্ষমতা হ্রাস মানে হাসিনা বুবুর ইজ্জত নিয়া টানাটানি। বুবুও জয় বাংলা কইয়া সই কইরা দিলেন আর কি!

জয় বাংলা, পারলে বহিষ্কার সামলা!

শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৩

বউ যখন ব্লগার

যদিও মন্টা ভাল না এই জন্য যে, ব্লগ থেকে +/- রেটিং বাদ দেয়া হয়েছে। ইচ্ছে করছে আজ শুধু +/- নিয়ে বার বার লেখি। যদি প্রশ্ন জাগে, +/- রেটিংয়ের সাথে মন খারাপের সম্পক কি? তাহলে আগে এখান থেকে ঘুরে আসবেন। (+/-) রেটিং বাদ দিয়ে পছন্দ অপশনটা বাজে লেখাকেই উৎসাহ দেয়া হল! যদি বুঝে থাকেন, সরাসরি আসল কথায়...

কিন্তু নিজের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল বিয়ে। এটাকেও যে অস্বীকার করতে পারি না। তাই সকালের রেডি করা পোস্টটা আর বিলম্ভ করতে চাই নি..

এভাবেই আমি ব্লগে আমার বিয়ের ব্যাপারটা ব্লগারদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।
খুব জোর দিয়ে ব্যাপারটা ভাবছি। আমি ঠিক যেমনটা চাই তেমনটা আপনারদের কাছ থেকেই বেশি আস্থা রাখি। আপনাদের কিছু অভিজ্ঞতা আর আপনাদের সহযোগিতা আমার আসলেই প্রয়োজন। আমি কিছুই জানি না আমাকে কি করতে হবে। আমার পিতা-মাতার চেয়ে আমার দ্বীনি ভাইদের বেশি প্রাধান্য আমার কাছে। আপনাদের পরামর্শগুলো এমন ভাবে দিবেন যেন আমাকে এবং আমার হবু জন কে জান্নাতের দিকে টেনে নিয়ে যায়।

কি রকম পাত্রী আমার চাওয়া-
০ ইসলাম প্রিয় বাবা-মায়ের ঘরোয়া, পর্দাশীল, শালীন হবেন।
০ যথেষ্ট ব্যক্তিত্ব সম্পন হবেন।
০ কিছুতেই কর্কশ বা বদমেজাজী হবেন না।
০ দৈহিক সৌন্দর্য্যের চেয়ে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল হবেন।
০ কাঙ্খিত ব্যক্তিদের সাথে মার্জিত আচরণকারী সম্পন্ন হবেন।
০ স্বামীর সংসারকে নিজের সংসার হিসেবে গ্রহণ করার মানসিকতা সম্পন্ন হবেন।
০ তাক্বদীর বা ভাল-মন্দ সকল কাজে একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসাকারী হবেন।


কিছুদিন পর আমি একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম এভাবে-
হাসি-কান্নার কত কিছু যে ঘটে যায় এই দুনিয়ায়! আর একজন ব্লগারের স্বপ্ন!

এখানে অনেকে অনেক ভাবে স্বপ্নের তাবির করেছেন। তবে সবার মন্তব্য, দোয়া, আমাকে ভালবাসা আমার হৃদয় কেড়েছে। তো এখানের যারা বিয়ে সম্পর্কিত মন্তব্য করেছেন তা উপস্থাপন করলামঃ
FM-97 লিখেছেন : আমাকে তাবীর দেয়ার যোগ্য মনে করার জন্য ধন্যবাদ। যদিও আমি ততটা যোগ্য বা আলেম নই। আমার জানা মতে স্বপ্ন দুই দিক থেকে আসে-
১/ আল্লাহর পক্ষ থেকে।
২/ শয়তানের পক্ষ থেকে।
তারপরও যতটুকু বুঝেছি তাহল- আপনার স্বপ্নটা মনে হয় আল্লাহর পক্ষ থেকেই দেখানো হয়েছে। মূলত ব্লগের প্রতি ভালোবাসা হয়ত আপনার এই স্বপ্ন দেখার কারণ। আপনার আগমনে ব্লগের সবাই সন্তুষ্ট এবং খুশি। তাছাড়া স্বপ্নের ১ম অংশের আরেকটা ব্যাখ্যাও হতে পারে যেমন- হয়ত অনেক দিন ব্লগ থেকে দূরে থাকার পর আপনি ফিরে আসবেন, আর তাই সব ব্লগাররা যেন আপনাকেই এতদিন খুজেছিলো এবং অবশেষে পাবে।
২য় অংশের ব্যাখ্যাটা হতে পারে, ব্লগেরই একটা মেয়ের ইসলামিক ধ্যান-ধারণা আপনার ভাল লাগবে, তবে আপাতত তার দেখা আপনি হয়ত পাবেন না।(সত্য আল্লাহ জানেন)
দৃশ্য-অদৃশ্যের মালিক আল্লাহ। তেমনি স্বপ্নের আসল তাবীর আল্লাহই জানেন। আমার যতটুকু মনে হলো, তাই বললাম। আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথ দেখাক- এই কামনায়।
সিকদার লিখেছেন : সপ্ন একদিন সত্য হোক,
এই কামনায়, যে কোন একটি রাতের পর মিলন মেলার ভোর হোক।
সোনালী দিন লিখেছেন : মহা মিলন মেলাটা মাহমুদ ভাইয়ের বিয়েতে হবে ইনশাল্লাহ
বিমুগ্ধ রজনী লিখেছেন : আপনার বিয়েতে আমাদের সকল ব্লগারদের দাওয়াত থাকলো ।
বসুমন্দার লিখেছেন : আমি ব্লগে সঙ্গত কারণে নিয়মিত নই।
স্বপ্নে যে মেয়ের কন্ঠে ইসলামী সঙ্গীত শুনেছেন, আল্লাহ পাক চাইলে মেয়েটি আপনার জীবনসঙ্গী হতে পারে।
স্বপ্নের ২য় অংশের তাবীর অনেকেই অনেকভাবে ইতিমধ্যে করেছেন।
তবে বিজ্ঞজনদের কথা ," তাৎপর্যপূর্ণ সুন্দর স্বপ্ন আম-জনতার কাছে প্রকাশ না করা উত্তম"।
----------------------------------------------------------------


মন্তব্যগুলো পড়ে আমার মনে ব্লগার বউ নিয়ে কিছুটা চিন্তা করেছি এভাবে-



বিয়ে করলে আমি একটা বউ পাবো। তা অবশ্যই আমার মনের মত হবে। আল্লাহ যেহেতু মানুষের চাহিদা অনুযায়ী, তার কর্মফল অনুযায়ী সবকিছুর ফয়সালা করেন সেহেতু মানুষ যা চায় তাই আল্লাহ তাদে দান করেন। আর তা ফয়সালাম করেন যা মানুষের জন্য কল্যাণকর।

আমি একজন ব্লগার। বিয়ে ব্লগারকে করারও পরামর্শ এসেছে। আমার ৬ মাসের ব্লগিংয়ে জেনেছি, দুই জোড়া ব্লগারর বিয়ে হয়েছে। আমি ব্লগ অনেক অনেক অনেক পছন্দ করি। আমার বউও তো পছন্দ করতে পারে! এমনটা হলে মন্দ না।

ব্লগার যখন বউ হবে; যদি আমার মত ব্লগ পাগলার মত বউটাও ব্লগ পাগলি হয়, তবে-
০ মাছ কুটবে। মাছের আইলসা থেকে বাংলা অক্ষর ঝরে পড়বে। মাটিতে পরতে পরতে পোস্ট তৈরী হয়ে যাবে।
০ দেশী কদু কাটবে। নরম ভরে মন থেকে আমার প্রতি ভালবাসা বেরিয়ে আসবে। কেচকেচ করে আলতু করে টুকরা করতে করতে বর্ণমালায় পোস্ট সাজানো হয়ে যাবে;
কাটাকাটি রেখে সারি এহেন রান্না কত আর!
কত মধুর এই সংসার ওরে মাহমুদ নাইস আমার!
০ স্কুল/দোকান থেকে ফিরতে বাজার থেকে যখন মুরগী নিয়ে যাব। চামড়ার তোলার ভাঁজ না পেয়ে ছন্দ মিলাতে থাকবে-
কোথায় এলাম গড়তে জীবন আগেই ছিলাম বেশ
পড়ালেখা, আড্ডা, খাওয়া আর ঘুমাতাম পরিশেষ
যুদ্ধ করে বাঁচব যখন রাজপথেই ভাল ছিল
এমন করে কটকটা হতে কে রে এনে দিল?

এভাবে বর্ণমালা সাজিয়ে সন্ধ্যাবেলা যখন হাজির, এক লাফে খাটের উপর। বসে, শুয়ে, কাত হয়ে, হেলান দিয়ে লেপটপ ওপেন করবে। বালিশ একখান টেনে ধরে হাতের আঙ্গুলে কিবোর্ডে টুসটাস করে সারাদিনের জমানো লাইনগুলো লিখে ব্লগে প্রকাশ করবে। সংসারের ভাল লাগা-মন্দ লাগা নিয়ে লিখতে থাকবে, পাঠকগণও লেখা পড়ে সংসারের হাল/চাল-চলন অনুভব করতে পারবেন।


এতে আমার উপকার যা যা হবেঃ

সংসার সুখের মনে হলে ব্লগার পাঠকগণ নিজেরাও এভাবে ব্লগের কাউকে বিয়ে করতে চাইবেন।
খুঁজে কাউকে না পেলে অবশেষে মাহমুদ নাইসকে গোপনে বলবেন, ভাই! নিজের কাম শেষ। তাই আমাকে একটা জুটায়ে দেন! আমার সাধ্যে থাকলে হয় তো আমি মুখ ফিরিয়ে নিব না।
ঝামেলা মনে হলে আমাদের ঝামেলা থেকে লেখনি, মোবাইলে, সাক্ষাতে (যেভাবেই হোক) মুক্ত করার চেষ্টা করবেন।
অবশেষে মহান আল্লাহর কাছেই দোয়া করবেন। হে আল্লাহ, মাহমুদ যুগলদের উপর তুমি রহমত ঢেলে দাও! তোমার মায়ার চাদর দ্বারা তাঁদের ভালবাসা বৃদ্ধি করে দাও! তাঁদের দু'য়ের ব্লগ জীবন, সংসার জীবন, দুনিয়া জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন সুন্দর, সুষ্ঠ ও মধুময় করে দিন! জান্নাতেও যেন এক সাথে থাকতে পারেন, সেই পথেই তুমি তাঁদের পরিচালিত কর!

এগুলো ব্লগারদের চিন্তা হতে পারে। তবে আমি ব্লগের বউ অবহেলা করছি না। ব্লগ বা ব্লগের বাইরে যেই হোক, আল্লাহ যেন আমার পছন্দসই কাউকে মিলিয়ে দেন এমনটাই আমার কামনা-বাসনা, চেষ্টা-সাধনা। আমিন!



ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড : বউ যখন ব্লগার