আমার বেতন দ্বিগুণ বাড়ে
-আমি কি আর বসে থাকতে পারি?
বাজার থেকে মিষ্টি নিয়া
শীতের কাপড় গায়ে দিয়া
-এক দৌড়ে চলে যাচ্ছি বাড়ি!
ভেবে ভেবে দিন হয়ে যায় পাড়;
ঘুমের ভারেই রাত জাগি না
চোখ মেলি না আর।
কেমন করে স্বপ্ন মাখি গায়?
আমার দেহ আমার নহে;
স্বপ্ন দেখা দায়!
পরিমল জয়ধর;
কি দারুণ ভাগ্য!
তার সেই আকামে
কেহই না রাইগ্যো!
ঐ পরিমলদের
নুনুর কি দাম রে
ওসব তো ছেলেমী;
না না বদনাম রে।
স্বাক্ষী বানিয়েও
ফাঁসি দেয়া যায় রে
পরিমলদের কভু
ফাঁসি না মানায় রে!
পরিমল বাবাজী
ওসব আর কর না
অপরাধ করেছ
খুব বড়সর না।
মোল্লারা মরে যাক
বেঁচে থাক তোমরা
তাদের সে ধর্মে
চলিও না গোমড়া!
এমন বাড়ি করব যেন
সেভ থাকা যায়
এমন বিয়া করব যে বউ
কম করে খায়।
এমন করে চলব যাতে
সৎ থাকা যায়
এমন কথা বলব যেটা
লোকজনে খায়।
পোস্ট দিয়েছি গরু মরছে কইয়া
কত কমেন্ট পোস্টটা আমার লইয়া
কেমনে দিলাম মুসলিম আমি হইয়া
আনফ্রেন্ড করে এক ফ্রেন্ড সরি কইয়া
টাল হয়েছে গাঞ্জা বিড়ি খাইয়া
গান দিত টান থাকলে পাশে মাইয়া
এমন ভালা মানুষ তারা পাইয়া
আমায় বলে‚ ফেলবে কাচা খাইয়া!
কারা কারা মিথ্যা বলতে পারেন?
অভ্যাস করেন সত্য বলা;
মিথ্যা বলা ছাড়েন!
যে জন সদা মিথ্যা কথা কয়;
মিথ্যাবাদীর কাছ থেকে লোক
দূরে দূরেই রয়।
মিথ্যা হল সকল পাপের মা;
মিথ্যা আনে বিপদ ডেকে
বাঁচতেই পারে না।
মানুষ হয়ে মানুষের বাচ্চা
কেমন কইরা ধরে?
শিম্পাঞ্জীও জানে সন্তান
কেমনে আদর করে!
আমরা মানুষ; নাই জ্ঞান হুঁশ
মনুষ্য বোধ নাই
সৃষ্টির সেরা মানুষ হবার
শিক্ষা কোথা পাই?
রাত যাক আঁধারও
পাপ মুছে যাক
নতুন সূর্য দেখি
সকালে অবাক!
হে প্রভু আল্লাহ
কবুল কর
আমার চেয়ে দেশ
মানুষ বড়!
কত আঁধারে রাত কাটে গো;
আলোয় ভরা দিন আর নাই!
ছোট্ট রাজন আলোতে মরে
আঁধারে বড় কোথায় যাই?
বিবেক দেখিছে আটাশ তারিখ
মৃত্যু যেন কত কাছে
পাঁচ মেতেও দেখেছে দুচোখ
বিবেক ছাড়া সবই আছে!
বিদ্যুৎ নাই
বাতাস নাই
-কেমনে ঘুমাই?
এই রাতে
কেমনে যে
-সেহরিটা খাই!
কেমন আছি
জনগণ
-কে নেয় খবর?
আমি দুঃখে
তুমি সুখে
-মিল তো জবর!
বেয়াদবরা সাহস কোথা পায়?
আল্লাহর নামে যা তা বলে যায়।
কার আঁচলে শান্ত তাদের বাস?
ইসলাম নিয়া কিসের উপহাস?
যেথায় যারা বেয়াদবদের পাস;
মাথায় বাড়ি দিবিরে ঠাস ঠাস!
বেতন বাড়ার স্বপ্ন দেখাও
জুলাই মাসে
বেতন দিবে এমন
যেন মনটা হাসে।
বেতন বাড়ার স্বপ্ন দেখাও
করব বাড়ি
বেতন যদি বাড়বে বউয়ের
কিনব শাড়ি।
বেতন বাড়ার স্বপ্ন দেখাও
এই কামনা
ভাই-বোনেরে দিব এবার
ঈদের জামা।
বেতন যদি বাড়ে তাতে
সুখ আমারই
মা-বাবারে যেনো খুশি
করতে পারি।
বেতন বেশি দিবে এবার
কারে কারে?
কত দেশি কৈ শিং ওঠে
মোর বাজারে!
পীর-মুরিদি মুর্খরা করে
আল্লাহর গোলাম আল্লাহকে ডরে
হিসাব হবে এই দুনিয়া পরে
মুক্তি; যারা মুসলিম হয়ে মরে।
এক পথিক এক গ্রামের পথ দিয়ে যাচ্ছিল। পথের ধারেই ছিল একটা কাঁঠাল গাছ। পথ চলতে চলতে পথিকটি সেই কাঁঠাল গাছের নিকটে এসে উপনিত হল।
গাছে কাঁঠাল দেখে পথিকের মনে কাঁঠালে টোকা দিতে ইচ্ছা জাগল। টোকা দিতে গিয়ে পথিক দেখল গাছের একটা কাঁঠাল পাকা। পাকা কাঁঠালের গন্ধে পথিকের নাক ফুলে উঠল।
এবার পথিকের মনে কাঁঠাল খাওয়ার বাসনা জাগল। পথিক ভাবল‚ এমন হাতের কাছে পাকা কাঁঠাল হাত ছাড়া করা যায় না। কাঁঠাল না খেয়ে চলে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। যেই ভাবা সেই কাজ; পথিক এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখল‚ আশেপাশে কেউ নাই। পথিক আর মূহুর্ত দেরি না করে গাছের কাঁঠাল গাছে রেখেই খেতে শুরু করল...
(কাঁঠালের মালিক যদি এসে দেখে তাহলে হয়তো পথিককে তার বাড়িতে নিয়ে কাঁঠাল সমাদর করত)
মাস্টারদের বেতন নাকি বাড়বে না?
শিক্ষক নাকি না খেয়ে আর পারবে না?
সামনে আছে আম কাঁঠালের দিন!
বন্ধ দিনে রিক্সা চালাও শুধরিয়ে দাও ঋণ!
বর্ষার দিনে বৃষ্টি নামে থামছে না
মাস্টার এত পড়ায় তবুও ঘামছে না।
মাস্টার বাড়ি ইটের দেয়াল মানায় না
সরকারও তাই স্কেল দিবে তা জানায় না।
বাঘের গর্ভে বাঘই জন্মে
অবিকল বাঘের মত
মানুষের ঘরে মানুষ জন্মে
হায়েনাও জন্মে কত!
মানুষের ভেতর মানুষ আজি
বিবেকবোধ আর নাই
পরের লজ্জা দেখেই আমি
লজ্জায় মরে যাই!
আওয়ামীলীগ করেন‚ বিএনপি করেন‚ জামায়াত করেন আর জাতীয় পার্টি করেন; দুনিয়াতে আপনি যেই দলের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকবেন যে দলের সাথে আনাগোনা করবেন ঘুরাঘুরি করবেন সেই দলের সাথেই কেয়ামতের ময়দানে দলবদ্ধ হয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হবেন। শুধু রাজনৈতিক দল নয়‚ আপনি দুনিয়ায় যাদের সাথে উঠাবসা করবেন যাদের সাথে চলাফেরা করবেন যাদের সাথে লেনদেন করবেন কেয়ামতে তাদের সাথেই আপনার হাশর হিসাব হবে।
সুতরাং আপনি আপনার দল বাছাই করে সেভাবেই দুনিয়ার জীবন গঠন করুন পরকালে যে দলের সাথে দাঁড়িয়ে জান্নাতে যেতে পারেন। কিভাবে বুঝবেন সেই দল কোনটা? কুরআন হাদীস সামনে নিয়ে বসেন! সরল সঠিক পথ পেয়ে যাবেন!
এই দুনিয়া আল্লাহর কাছে একটা মশার ডানার তুল্যও না। যদি কেউ মনে করেন দুনিয়ায় সব আমোদ করে যাবেন আর পরকালে মুক্তির দরকার নেই তবে তার জন্য এই উপদেশ প্রয়োজন নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার সঠিক পথ দান করুন। আমিন।
কাগজ দিয়ে ফুল এঁকেছি
ঘ্রাণ নিবে তার কে?
চুলের খোঁপায় মানায় ভাল
ঘর সাজাবে কে?
সাজাবে কার পাঞ্জাবিটা
ফুটবে ভাল ফুল
সাজুনীরা বড় ফুলে
দুলায় কানে দুল।
আমার ভোট আমি দিব;
ভোটার অধিকার
কেন্দ্রে গেলে বের করে দেয়
ঘাড় ধরিয়া ঘাড়!
ডিসি নির্বাচনটা নাকি
নিরপেক্ষ ধর্মী?
কেমনে দিল আমার ভোট তো
গার্মেন্টস এর কর্মী?
মশায় মারে কামড় আমার
নরম জাগা পাইয়া!
পুরুষ ধরে ফাঁসি দিবে
কেমন ওডা মাইয়া?
কত যত্নে সমিতি গড়িলাম!
ভাঙ্গিয়াছে আজ কারা?
দাবি দাওয়া ছাড়িয়া পাইয়াছ কি
শিক্ষক লাজে মারা?
মনে রাখিও খাদকেরা তোমরা
কত খেলে আর পেট ভরে?
তোদের জন্য শিক্ষক জীবনে
ভুখা থাকিয়া মরে!
বাইকে চড়ে বাজারের উপর দিয়ে যাচ্ছিলাম। এমন সময় বাজার মসজিদে ইমাম সাহেব খুতবার আগে মাইকে আলোচনা করছিলেন। এক্কেবারে সোজাসাপটা কথা এবং খুব আস্থার সাথে কথাগুলো বলছিলেন। উনি কথাগুলো এমন ভাবে বলছিলেন‚ আমার মন বলছিল উনি অনেক সাহসী হবেন। আমার মনটা চেয়েছিল বাইকটা থামিয়ে উনাকে এক নজর দেখি। ইচ্ছে হল উনার পিছনে আজকের জুময়ার দুই রাকায়াত নামাজ পড়ি। সময়ের অভাবে তা আর হল না।
বাইকে চড়ে আসতে আসতে আমি যে লাইনটুকু শুনেছি তা হল "আপনি ইসলামের অর্ধেক মানবেন আর অর্ধেক ইসলামের বিরোধিতা করবেন; তা হবে না! এমন যারা করবে তারা মুনাফিক! আর মুনাফিকেরা জাহান্নামের সর্ব নিম্নে অবস্থান করবে!" সাথে সাথে তিনি কুরআনের উদৃতি দিচ্ছিলেন। যারা আজে বাজে কিসসা কাহিনী না বলে সরাসরি কুরআন ও হাদীস থেকে আমল করার কথা বলেন আমার ইচ্ছা হয় ইনাদের সাথে সারাক্ষণ থেকে আলোচনা শুনি। আল্লাহ উনাকে কবুল করুন। আমিন!
আজ কাজলা দিদির কথা মনে পড়ছে। আমার কোলের কাছে শুয়ে কাজলা দিদি শোলক বলত। সেদিন হতে মা আর দিদিকে ডাকে না। দিদির কথায় মা শুধু আঁচল দিয়ে মুখ ঢাকেন। খাবার খেতে এসে আজ দিদি বলে ডাকি। কিন্তু দিদি আসে না। মা চুপটি করে থাকেন। বল মা দিদি কোথায় গেছে? কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুলের বিয়ে! দিদি কবে আসবে? আমিও যদি দিদির মত ফাঁকি দিয়ে লুকোই তখন তুমি একলা ঘরে কেমন করে থাকবে? ভুঁইচাঁপাতে শিউলি গাছের তল ভরে গেছে। পুকুর থেকে জল আনার সময় তা মারিও না। ডালিম ডালের ফাঁকে যে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে‚ ফল ছিড়তে গিয়ে তাকে উড়িয়ে দিও না। দিদি এসে শুনলে কি বলবে!
রাত হল। বাঁশবাগানে আজ চাঁদ উঠেছে। পুকুর পাড়ে ঝিঁঝি ডাকছে। নেবুর গন্ধে ঘুম আসছে না। মাগো এমন সুন্দর ক্ষণে আমার কাজলা দিদি কই? আজ দিদি থাকলে শোলক বলত। আমি চুপ করে শুনতাম। কত মজা হত!
* কারা কারা সত্য ভালবাস?
-পরের দুঃখে কাঁদতে জান
পরের সুখে হাস?
* কারা কারা মিথ্যা ভালবাস?
-পান থেকে চুন খসলে পরে
রেগে তেড়ে আস?
আজ কাজলা দিদির কথা মনে পড়ছে। আমার কোলের কাছে শুয়ে কাজলা দিদি শোলক বলত। সেদিন হতে মা আর দিদিকে ডাকে না। দিদির কথায় মা শুধু আঁচল দিয়ে মুখ ঢাকেন। খাবার খেতে এসে আজ দিদি বলে ডাকি। কিন্তু দিদি আসে না। মা চুপটি করে থাকেন। বল মা দিদি কোথায় গেছে? কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুলের বিয়ে! দিদি কবে আসবে? আমিও যদি দিদির মত ফাঁকি দিয়ে লুকোই তখন তুমি একলা ঘরে কেমন করে থাকবে? ভুঁইচাঁপাতে শিউলি গাছের তল ভরে গেছে। পুকুর থেকে জল আনার সময় তা মারিও না। ডালিম ডালের ফাঁকে যে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে‚ ফল ছিড়তে গিয়ে তাকে উড়িয়ে দিও না। দিদি এসে শুনলে কি বলবে!
রাত হল। বাঁশবাগানে আজ চাঁদ উঠেছে। পুকুরে পাড়ে ঝিঁঝি ডাকছে। নেবুর গন্ধে ঘুম আসছে না। মাগো এমন সুন্দর ক্ষণে আমার কাজলা দিদি কই? আজ দিদি থাকলে শোলকলা বলত। আমি চুপ করে শুনতাম। কত মজা হত!
কে মারে আর কারে
আটক করে!
দোষ নাই যে মারে
নাটক করে!
কোনদিন যে কারে
দেয়নি লাঠি
আজ নাকি কারে সে-ই
মেরেছে কাটি!
আজব দেশটা আমার
আজব আমি
সুন্দর মানুষেরা
নয় রে দামী!
স্বয়ং বিশ্বনবীর লেগেছিল সুদীর্ঘ ২৩ বছর! আর তোমরা তো মাত্র দুই পয়সার জামায়াত শিবির! আরও অপেক্ষা করতে হবে! ৭৭ থেকে মাত্র ৩৭ বছর! আরও লাগতে পারে সময়!
শাসন কাকে বলে আর দুঃশাসন কাকে বলে
জনগণ টের পেয়ে আজি সেই তালে
অভিযোজিত হয়ে চলে!
আমায় কিছু বন্ধু দিও
যারা কিছু লিখতে পারে
লেখা পড়ে শিখতে পারে
ট্যাগ করে না নিজের ছবি পোস্ট করে না
এক্কেরে না!
ফেসবুক ছাড়া পেট ভরে না
এক দেড়শ পূর্ণ হলে
ফ্রেন্ডলিস্টও পূর্ণ হবে
দিও তবে ভালই হবে!
কোথায় কি হয় জানতে পারি
মানতে পারি কুরআন হাদীস
ফেসবুকে যে মুর্খ রাবিশ
তাদেরকে হয় ছাটাই করে
আপন করে টানব তাকে
যে আমাকে বাসবে ভালো
খুঁজছে সদা দ্বীনের আলো
আঁধার কালো ঘুচতে যারা
সচেষ্ট আজ পাগলপারা!
আমায় তুমি বন্ধু হইয়ো
বন্ধু যারা সালাম কইয়ো!
যারা বড় একটা দেশকে দুই ভাগ করে ছোট করেছিল তারাই রাজধানী দুই ভাগ করেছে। বিভাগকেও দুই ভাগ করছে। মানুষের মনকেও ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলছে!
সকাল থেকেই শুনছি সেই একই কথা আমরা ভাতে মারব আমরা পানিতে মারব। উনার ভাষণের সাথে ২১শে ফেব্রুয়ারির সম্পর্ক ঠিক বুজলাম না। উনি যে ভাষায় বক্তৃতা দিতেন আজও দেখছি এই কথা লালন করে আজকের লিডাররাও এসব কথার উপর চালিত হচ্ছেন। ইদানিং আরো যোগ হয়েছে আমরা লাঠিতে মারব আমরা গুলিতে মারব! আজকের ২১শে ফেব্রুয়ারির দিনেও ভাষা শহীদদের নাম গন্ধও শুনি না‚ খালি একজনের জয় গান। উনি কি তাহলে ২১শে ফেব্রুয়ারিও শহীদ হয়েছিলেন? শহীদ হয়ে থাকলে তো তিনি সব জনগণকে পিছনে ফেলে বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যাবেন! কিন্তু এতত আলেম হত্যার হিসাব? এতত আলেম নির্যাতনের হিসাব? এতত মাজলুমের ফরিয়াদ? কেমনে কি?!
একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবে দেশপ্রেম নিয়ে তোমার চেতনায় কিসের দরদ। ভাষার জন্য যারা মরল‚ পত্রিকায় দেখলাম তাদের মা বাবারা আর ভাই বোনেরা নাকি না খেয়ে কম খেয়ে কষ্ট করে জীবন চালাচ্ছে। সে ব্যাপার নিয়ে তোমার চেতনা কাজ করে না। স্বাধীন দেশের বর্ডাররক্ষীরা দেশের সীমানা খালি রেখে সাধারণ জনগণের উপর বড় বড় অস্ত্র বুকে ঠেকিয়ে গুলি করে এই দেশের নাগরিকদের মারছে। এই ব্যাপারে তোমার দেশপ্রেম চেতনা কাজ করে না। এই দেশের নাম ধুয়ে যারা পানি খায় তারাই যখন বাংলাদেশের পতাকা পায়ের তলে দিয়ে পাছার তলে দিয়ে বিদেশী পতাকা গায়ে দিয়ে হাতে নিয়ে বিদেশিদের গুণ গাওয়া হয় নুন খাওয়া হয়। সেই ব্যাপারে তোমার দেশের চেতনা কাজ করে না।
-কিন্তু এই দেশের পূর্ণ দেশপ্রেমিক নাগরিক যদি কোন এক জাতীয় দিবসে তার বাসে তার অফিসে তার স্কুলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভুলে জাতীয় পতাকা না টানায় তবে তখন তোমার দেশপ্রেম উপচে পড়ে! তখনই বুঝা যায় তুমি এদেশের অরিজিনাল না ডুপ্লিকেট নাগরিক!
কে কইছে দেশটা তোদের স্বাধীন করতে?
এইভাবে তো আর দেখিনি মানুষ মরতে!
যত্তসব অশিক্ষিত যত্তসব বেয়াদব যত্তসব বেহায়া যত্তসব অসভ্য যত্তসব উশৃংখল যত্তসব লুটেরা যত্তসব মাস্তান যত্তসব বদমাশ যত্তসব জাহেল যত্তসব কুকর্মকারী যত্তসব বখাটে যত্তসব ভন্ড যত্তসব আদর্শহীন সব একটা দলেই নিরাপদ আশ্রয় পায়। মূলত এই দলের প্রায় সবাই চরিত্রের ভাল-মন্দ সম্বন্ধে অজ্ঞ!
রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বখাটেদের ব্যপারে আমার কোন কমপ্লিন নাই। পুলিশের সহযোগিতায় সরাসরি পিস্তলধারী বন্দুকধারী রামদাধারীদের ব্যপারে আমার কোন কমপ্লিন নাই। সোনার ছেলে নামে খ্যাত ধর্ষণের সেঞ্চুরীয়ানদের ব্যপারে আমার কোন কমপ্লিন নাই। যারা দিনদুপুরে রাতের অন্ধকারে মানুষকে ঘর থেকে ধরে এনে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারে তাদের ব্যপারে আমার কোন কমপ্লিন নাই।
আমার কমপ্লিন শুধু তাদের ব্যপারে যারা কুরআন হাদীস ঘাটাঘাটি করে আর জীবনের কাজগুলি আল্লাহর খুশির জন্য করে!
দেশের প্রতি নাই যার টান
শরম নাই‚ নাই হুঁশ মান
তারা ভাবে কার গেল প্রাণ?
দেশকে তো না;
প্রভুরে না করে সম্মান!
বাংলার মানুষ এখন সত্য মিথ্যার পার্থক্য করতে শিখেছে। পুরো ময়দান এখন সত্যের পক্ষে। যে কোন মূহুর্তে সত্যের সানাই বেজে উঠতে পারে। যে কোন মূহুর্তে সত্যের নিশান উড়তে দেখতে পারি। এ ব্যাপারে একজনের সাথে কথা হচ্ছিল; উনি বললেন‚ শহীদদের রক্তের একটা ফোটাও আল্লাহ বৃথা যেতে দেবেন না। আর শহীদদের রক্ত যত পরিমাণ এই জমিনে পড়েছে তাতে এদেশের মাটি সত্যের বিজয় ছাড়া নিস্তার পাবে না। কতটুকু এগিয়েছে তার একটা ব্যাখ্যা চিত্র তুলে ধরব পরের পোস্টে ইন শা আল্লাহ!
আল্লাহর নির্দেশের ব্যপারে কোন প্রকার উচ্চবাচ্য করার বা আপত্তি জানাবার অধিকার মানুষের নাই। আল্লাহই সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধিকারী একচ্ছত্র শাসক। তিনি নিজের ইচ্ছামত যে কোন হুকুম দেবার পুর্ণ এখতিয়ার রাখেন। সুতরাং আল্লাহ যে কাজটিকে বৈধ গণ্য করেছেন সেটি বৈধ এবং যে কাজটিকে অবৈধ গণ্য করেছেন সেটি অবৈধ। এছাড়া মানুষের জন্য কোনো কাজের বৈধ ও অবৈধ হবার দ্বিতীয় কোনো মানদন্ড নেই!
আল্লাহর নির্দেশের ব্যপারে কোন প্রকার উচ্চবাচ্য করার বা আপত্তি জানাবার অধিকার মানুষের নাই। আল্লাহই সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধিকারী একচ্ছত্র শাসক। তিনি নিজের ইচ্ছামত যে কোন হুকুম দেবার পুর্ণ এখতিয়ার রাখেন। সুতরাং আল্লাহ যে কাজটিকে বৈধ গণ্য করেছেন সেটি বৈধ এবং যে কাজটিকে অবৈধ গণ্য করেছেন সেটি অবৈধ। এছাড়া মানুষের জন্য কোনো কাজের বৈধ ও অবৈধ হবার দ্বিতীয় কোনো মানদন্ড নেই!
বাংগালী না বাংলাদেশী কি তোমার পরিচয়
বাংলার মানুষ জানে কোনটা নাটক কোনটা অভিনয়!
তোরা-তোরা মারামারি করে মর!
শান্তিকামীরা কই? কালিমার পতাকা তুলে ধর!
# যাদের কাছে অস্ত্র থাকে না তাদেরকে গুলি করে অনর্থক মেরে বন্দুকযুদ্ধ বলে চালিয়ে দেওয়া মিথ্যাচার!
# যারা কোনদিন কাউকে অনর্থক একটা থাপ্পড়ও দেয় না তাদেরকে সন্ত্রাস বলা মিথ্যাচার!
# যারা কেবলই আল্লাহকে ভয় পায় তারা কোন বেয়াদব কোন খুনি কোন সন্ত্রাসী কোন সৈরাচারীকে ভয় পায় এ কথা মিথ্যাচার!
# যাদের হাতে থাকে কুরআন অন্য হাতে থাকে হাদিস‚ যারা কুরআন দিয়ে তাদের জীবন পরিচালনা করে‚ কুরআন দিয়ে সমাজ এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়‚ যারা সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে জীবন চালিয়ে জান্নাতেও একসাথে থাকতে চায় তারা ইসলাম বুঝে না এ কথা মিথ্যাচার!
# যারা রাত জেগে মানুষকে সৎ পথে আনার জন্য আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে সাহায্য চায় তারা পেট্রোল মেরে মানুষ মারতে পারে এ কথা মিথ্যাচার!
মানবতা নাই কাদের? আর
কাদের বিচার হয়?;
এই না হল মুর্খ জাতির
মুর্খতার পরিচয়!
আমার প্রিয় নবী যদি রাজনীতি না করতেন, আমার আল্লাহ যদি আমাদের উপর রাজনীতি ফরজ না করতেন, আল্লাহ যদি কুরআনে দলে থাকার কথা না বলতেন, যদি ন্যায় বিচারক বাদশাকে আল্লাহ জান্নাতের প্রথম কাতারে রাখবেন না বলতেন তবে আমি রাজনীতিকে সাপোর্ট করতাম নাহ। আমার রাসূল স্বয়ং রাজনীতি করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, রাজনীতি করে নিজের দাঁত হারিয়েছেন, রাজনীতি করে নিজের শরীরের রক্ত ঝরিয়েছেন, রাজনীতি করে নিজের শরীরের ঘাম ঝরিয়েছেন, রাজনীতি করে কত না খেয়ে রয়েছেন, রাজনীতি করে দেশ ত্যাগ করেছেন; আর আমি কত বড় বেয়াদব যে রাজনীতিকে বাদ দিয়ে একা একা থাকি? এটা কিছুতেই শোভা পায় না!