মাত্র কিছু দিন আগে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে নতুন করে ঘর বেঁধেছিল ৮
সন্তানের জননী। উপর, নিচ, ডান, বাম চারদিকে মাটির দেয়াল বেষ্টিত প্রাচীর।
লম্বা সুরঙ্গ পথের ভিতর বহু কষ্টে খড়-কুটা দিয়ে নতুন করে মা বাসা
বেধেছিল সন্তানের সুখের জন্য। সন্তানদের বয়স খুব হলে ২-৩ দিন হবে। অতি
যত্নসহকারে লালন করে বড় করে তুলছে সন্তানদের মা। এদের বড় করবে, নিজের মত
করে বাঁচতে শিখবে, অনেক বড় হবে, সন্তানরা নিজের মত করে চলবে, কত শত স্বপ্ন
ছিল মার! তার এমন সুখ আর স্বপ্ন আমার শরীর, মন সইতে পারে নি।
আমিসহ চার/পাঁচ জনের অতন্দ্র প্রহরায় রেখেছি তাদের। প্রবল আগ্রহ-উদ্বিপনা নিয়ে হাতে সাবল, কোদাল, লাঠি, কাস্তে নিয়ে যে যার মত দন্ডায়মান। একা একা কত কষ্ট করে বাড়িটা চমৎকার শৈল্পিকতায় তৈরী করা হয়েছে । এর ভেতর আমরা ঢুকতে পারি না। কিন্তু এ কে যে মারতেই হবে! সমগ্র বাড়িতে পানির বন্যা বইয়ে দেয়া হল। পুরো বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেল! বাড়ির ছাদ ছুঁয়ে পানি গড়িয়ে যাচ্ছিল। মা পাগলপারা হয়ে পানিতে বাড়ির ভেতরে ছুটাছুটি শুরু করল। মা অশান্ত হয়ে পড়ল। তার সন্তানেরা অবুঝ! নড়তে পারে না। দুনিয়ার কিছুই বুঝে উঠে না। কোন কিছুর কারণ-অকারণ জানে না। অবশেষে কান্নার শব্দ! তারপর করুন আর্তনাদ! মাত্র দু'টি সন্তানকে বুকে করে পানির উপর নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে সে। তৃতীয় সন্তানকে আনতে গিয়ে নিজেই দুর্বল হয়ে পড়ে। অবশেষে হয় তো ইচ্ছা ছিল সবাইকে বাঁচাবার! যখন ভেবে দেখল যে, সবাইকে এভাবে পানির ভেতর থেকে নিশ্বাস বন্ধ রেখে বাঁচানো সম্ভব নয়; উপরে উঠানো দু'টি সন্তানের জন্য নয়, বরং পানির নিচে থাকা বাকী ৮ সন্তানের সাথেই থাকল!
বাহির থেকে আমরা খুব ছোটাছুটি, কান্নার আওয়াজ, করুন আর্তনাদ শুনতে পেলাম; কিন্তু কোথায় গেল সে? আর তো কোথাও পালাবার পথ নেই! তো বাহির হয়ে আসছে না কেন? আসলেই তাকে হাতের অস্ত্র দিয়ে খুন করব!
কিন্তু না অবশেষে আসলই না! আমরা মর্মর করে বাড়ি ভাঙ্গা শুরু করলাম। সম্পূর্ণ বাড়িটা অল্প সময়ের মধ্যেই চুরমার করে দিলাম! খুঁজে খুঁজে শেষ পর্যন্ত বাড়ির এক কোণে ৮টি সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে শান্ত হয়ে শুয়ে থাকতে দেখি! এ অবস্থা দেখে চোখে পানি আর ধরে রাখতে পারি নি! আমার চোখে শুধু নয়; আমাদের ক'জন খুনি আর সেখানে থাকা দর্শকদের চোখেও পানি এসে যায়!
মা নিজে বাঁচতে নয়; ৮টি সন্তানের মায়ায় পানির নিচে থাকাকে মা যথার্থ কর্তব্য মনে করে সন্তানদের সাথেই নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে! মায়ের হৃদয় সন্তানের জন্য এ কেমন মায়া দিয়ে আল্লাহ প্রাণের সৃষ্টি করেছেন! নিজেকে মানাতে পারছিলাম না আমি কিছুতেই! আমার কি করা উচিৎ আমি ভাবতে পারছিলাম না। আমার শরীর, মনে স্তব্ধতা এসে গেল। আমি প্রায় নিবাক বনে গেলাম। মনে মনে আল্লাহকে ডেকে বলেছি, হে আল্লাহ! আমি তো এমন কিছু দেখার আশা করি নি! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও!
-------------------------------------------------------------
ঘটনাটা একটি ইঁদুর মারাকে কেন্দ্র করে। আমাদের বাড়ির পাশে ধান মাড়াই করে খড়গুলোকে শুকাতে দিয়েছিলাম চালায়। সেখানে ইঁদুরটি খড়গুলোকে কেটে নষ্ট করছিল।
-------------------------------------------------------------
আমিসহ চার/পাঁচ জনের অতন্দ্র প্রহরায় রেখেছি তাদের। প্রবল আগ্রহ-উদ্বিপনা নিয়ে হাতে সাবল, কোদাল, লাঠি, কাস্তে নিয়ে যে যার মত দন্ডায়মান। একা একা কত কষ্ট করে বাড়িটা চমৎকার শৈল্পিকতায় তৈরী করা হয়েছে । এর ভেতর আমরা ঢুকতে পারি না। কিন্তু এ কে যে মারতেই হবে! সমগ্র বাড়িতে পানির বন্যা বইয়ে দেয়া হল। পুরো বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেল! বাড়ির ছাদ ছুঁয়ে পানি গড়িয়ে যাচ্ছিল। মা পাগলপারা হয়ে পানিতে বাড়ির ভেতরে ছুটাছুটি শুরু করল। মা অশান্ত হয়ে পড়ল। তার সন্তানেরা অবুঝ! নড়তে পারে না। দুনিয়ার কিছুই বুঝে উঠে না। কোন কিছুর কারণ-অকারণ জানে না। অবশেষে কান্নার শব্দ! তারপর করুন আর্তনাদ! মাত্র দু'টি সন্তানকে বুকে করে পানির উপর নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে সে। তৃতীয় সন্তানকে আনতে গিয়ে নিজেই দুর্বল হয়ে পড়ে। অবশেষে হয় তো ইচ্ছা ছিল সবাইকে বাঁচাবার! যখন ভেবে দেখল যে, সবাইকে এভাবে পানির ভেতর থেকে নিশ্বাস বন্ধ রেখে বাঁচানো সম্ভব নয়; উপরে উঠানো দু'টি সন্তানের জন্য নয়, বরং পানির নিচে থাকা বাকী ৮ সন্তানের সাথেই থাকল!
বাহির থেকে আমরা খুব ছোটাছুটি, কান্নার আওয়াজ, করুন আর্তনাদ শুনতে পেলাম; কিন্তু কোথায় গেল সে? আর তো কোথাও পালাবার পথ নেই! তো বাহির হয়ে আসছে না কেন? আসলেই তাকে হাতের অস্ত্র দিয়ে খুন করব!
কিন্তু না অবশেষে আসলই না! আমরা মর্মর করে বাড়ি ভাঙ্গা শুরু করলাম। সম্পূর্ণ বাড়িটা অল্প সময়ের মধ্যেই চুরমার করে দিলাম! খুঁজে খুঁজে শেষ পর্যন্ত বাড়ির এক কোণে ৮টি সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে শান্ত হয়ে শুয়ে থাকতে দেখি! এ অবস্থা দেখে চোখে পানি আর ধরে রাখতে পারি নি! আমার চোখে শুধু নয়; আমাদের ক'জন খুনি আর সেখানে থাকা দর্শকদের চোখেও পানি এসে যায়!
মা নিজে বাঁচতে নয়; ৮টি সন্তানের মায়ায় পানির নিচে থাকাকে মা যথার্থ কর্তব্য মনে করে সন্তানদের সাথেই নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে! মায়ের হৃদয় সন্তানের জন্য এ কেমন মায়া দিয়ে আল্লাহ প্রাণের সৃষ্টি করেছেন! নিজেকে মানাতে পারছিলাম না আমি কিছুতেই! আমার কি করা উচিৎ আমি ভাবতে পারছিলাম না। আমার শরীর, মনে স্তব্ধতা এসে গেল। আমি প্রায় নিবাক বনে গেলাম। মনে মনে আল্লাহকে ডেকে বলেছি, হে আল্লাহ! আমি তো এমন কিছু দেখার আশা করি নি! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও!
-------------------------------------------------------------
ঘটনাটা একটি ইঁদুর মারাকে কেন্দ্র করে। আমাদের বাড়ির পাশে ধান মাড়াই করে খড়গুলোকে শুকাতে দিয়েছিলাম চালায়। সেখানে ইঁদুরটি খড়গুলোকে কেটে নষ্ট করছিল।
-------------------------------------------------------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন