মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৩

নৌকাও বায়ে বায়ে চালাতে হবে...

সবাই নির্বাচনের জোয়ারে ভাসছে...
কাদের সিদ্দীকী ভাসছে
ইউনুস ভাসছে-----
জনগণ তো ভাসছেই!!!!!

সবাই জোয়ারের বায়ে বায়ে আসছে!
নৌকাও বায়ে বায়ে চালাতে হবে-
উল্টা আসা যাবে না।
উল্টা চালালেই বিপদ!!!

এ যে মহা বিপদ সংকেত!!!
একে বারে এগার নাম্বার বিপদ সংকেত!!!!!!!!!

যে বাড়িটা আমার কেনা আমার বাড়ি নাই

যে বাড়িটা আমার কেনা
আমার বাড়ি নাই
জন্মভূমি বাংলাদেশটাও
আমার দেশ আর নাই!

ঘামে ঝরা কামাইর টাকা
আমার কামাই নাই
রক্তে কেনা স্বাধীনতা আজ
স্বাধীন ঘরজামাই।

কষ্টে জানা জ্ঞান ভান্ডারটা
আমার মাথায় নাই
আমার ধর্ম আমার কর্ম
আমার বলতে নাই!

আমার মুখে কথা বলা
আমার কথা নাই
ভুয়া পিতা আসল পিতা
আমার পিতা নাই।

মাথার উপর খোলা আকাশ
খোলা নাহি পাই
নাকটা ভরে নিঃশ্বাস নিতাম
অক্সিজেনও নাই!

সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৩

গরুরা ঘাস খায় মানুষেরা ভাত

গরুরা ঘাস খায়
মানুষেরা ভাত
রক্তপিশাচেরা
ছয় মে রাত!
কি খায় কি খায়
মানুষে মানুষ?
এমন খাদক তারা
না হুঁশ বেহুশ!

বিষয়: সাহিত্য

বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৩

দেশে দেশে দেখি শহীদের সারি সইতে পারি না আর

দেশে দেশে দেখি শহীদের সারি সইতে পারি না আর
আমি কেন শহীদ না হয়ে ঘরে চাই মরিবার ?!









আমি কেন শহীদ না হয়ে ঘরে চাই মরিবার?!

মন ভাল নেই!
মনে পড়ে গেল দেলোয়ার ভাইয়ের কথা
সাঈদী আমার প্রাণের আকুতি হৃদয় ঢালিব কোথা?
মনে পড়ে না?
লাখ লাখ প্রাণ এক কান হয়ে শুনেছিলাম
আলকুরআন সেই আবেগভরা কথা?
আমাদের ভালবাসার মানুষ সাঈদীর যাবেগো প্রাণ?
ফাঁসির মঞ্চ ফঞ্চ মানি না ফাঁসির অধিকার কে দিল
ঐ হাসিনা শয়তান?
মুখেই আনবি না আর!
আমার সাঈদী আমার কাছে থাক;
তুই হাসিনার নষ্ট বিচারক
আগে কর তোর বিচার!
শিবির নেতা দেলোয়ার ভাই শিবির ভাই আজ নাই
বিশ্বের মুমিন মুসলিম কাঁদে সমকষ্ট মুসলিমরা পাই!
মাস পরে মাস রিমান্ড শেষে মুজাহিদ বলে শোন,
বুঝেছি আমায় বাঁচাবে না আর লাশটা মোর বাবা মাকে দিও
গুম করো না যেন!
আমার হাজার ভাইদের কথা সইতে পারি না আর
আমি কেন শহীদ না হয়ে ঘরে চাই মরিবার?!

মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০১৩

ও হাসিনা জানিস না তুই শহীদ কত দামি!

ইসলাম আমার প্রাণের প্রিয়
রাজপথেই আজ আমি
ও হাসিনা জানিস না তুই
শহীদ কত দামি!
প্রাণের আকুতি দেশ বাঁচাব
ঘর ছেড়ে বেরিয়েছি
ফাঁসির মঞ্চে প্রিয় সাঈদী
হচ্ছে কী মিছেমিছি?
কি অপরাধ করেছে বলি
সাঈদীর ভক্ত সবে?
কোটি প্রাণের নিঃষ্পাপ দাবি
সত্যিই হবে তবে!
ঘর ছেড়েছি ইসলামের সব
শত্রু মুক্ত করে
আবার শুনব সাঈদীর মুখে
কুরআন ঘরে ঘরে।
বীর সেনানী জামাতশিবির
আওয়ামীলীগ ডরে না
শহীদের রক্ত যায় না বৃথা
শহীদরাও মরে না।
নির্যাতনের রাতটা যখন
গভীর অন্ধকারে
আসবে নতুন সোনালী সকাল
হাসবে ঈমানদারে!

বিষয়: রাজনীতি

এভাবে সারাজীবন হেটে যদি ভুল পথেই গেলেন?

এভাবে সারা জীবন হাঁটলেন; কিন্তু যদি আপনার হাঁটাটা কাজেই না লাগল, তবে কি লাভ? আর যে পথে হাঁটছেন, সে পথটা যদি জান্নাতের দিকে না যায় তাহলে তো সারা জীবনের কষ্ট করে হাঁটাটা আপনার পীড়াদায়ক যন্ত্রণার কারণ হবে!

আমি তাবলীগের সমালোচনা করছি না!

তাবলীগ শুধু দাওয়াতী কাজের উপর আর আমলের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। কিন্তু দাওয়াত পেয়ে যা যা করতে হবে তা তাদের জানা নেই। তারা কুরআন অধ্যয়ন না করে বরং ফাজায়েলে আমল একটা মুখস্ত বই নিয়ে ব্যস্ত। এই আমলের বইয়ে কুরআন হাদীসে উদৃতি খুব বিরল। আর কুরআন শুধু তিলাওয়াত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরামর্শদাতারা নিজেরাও শুধু তিলাওয়াত করতেই জানে। এমন কি নামাজ পড়ার পদ্ধতিও তাবলীগের একজন লীডার জানে না। সত্যিকার সমস্যা হল; তারা কুরআন, হাদিস সরাসরি পড়ে না। কুরআনের কোন তাফসীর বা বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ অথবা ইসলামী সাহিত্য জাতীয় কোন বইয়ের সামনে তাবলীগের ভাইদেরকে আমি আমার চোখে আজও দেখিনি। তাদের কাছে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য গ্রন্থ্য হল ফাজায়েলে আমাল নামে এক (ভুল পথ দেখানে ওয়ালা) বই।

যখন ইসলাম একটি পূর্ণ জীবনবিধানের নাম। তখন-

@ এক মসজিদ থেকে অন্য মসজিদে ভ্রমণ করে
@ এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করে
@ নিজ সংসার, সমাজ, দেশের খবর নাই
@ আর বাড়ি-ঘর বিক্রি করে শুধু হাটে আর হাটে
@ ছেলে-সন্তানদের অনাদরে অযত্নে বাড়িতে ফেলে রাখে
@ দ্বীন-দুনিয়ার খেয়াল নাই
@ স্ত্রী-সংসারের দায়িত্ব নাই
@ দেশের বিরোদ্ধে ইসলামের বিরোদ্ধে মুসলিমের বিরোদ্ধে আল্লাহর বিরোদ্ধে রাসূলের বিরোদ্ধে দেশে কত কিছু হচ্ছে তার খেয়াল নাই

ইসলাম ও রাসূলের আদর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে
এ কোন ইসলামী জিন্দেগী??????????????

ধরুন, আপনি এভাবে করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জ্ঞানহীন অজানাভাবেই আমল করে গেলেন, কিন্তু আপনার কাছে কুরআন আর হাদীসের জ্ঞান না থাকায় আপনি কোন্ পথেই সারা জীবন চললেন, সেটাই আপনি জানলেন না। অথচ জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করতে করতে করতে করতে মারাই গেলেন। কিন্তু জীবনে কোন দিন সমাজ, রাষ্ট্রের সবাইকে নিয়ে রাসূল (সাঃ), সাহাবায়ে কেরামদের মত ইসলামী হুকুমত কায়েম করার চিন্তা করেন নি; শুধু শুধু নিজেই নিজের নাম না জানা অজানা নিয়মে আমল করে গেলন। তাহলে আমার মতে; সারা জীবনের (শাহবাগী, আওয়ামীলীগের মত) মজা পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হবেন। আবার আল্লাহর নৈকট্য পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হবেন! তাই আসুন, কুরআন নাযিলের সঠিক উদ্দেশ্য জেনে জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করি। আর আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করি!

ইসলাম শুধু দাওয়াত আর বসে বসে জিকির করার নাম না। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি ইত্যাদি সব বিষয় মিলেই ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। আর ইসলামকে আল্লাহ আমাদের মানুষদের জন্য পরিপূর্ণ করেই নাযিল করেছেন। আর আল্লাহ বলেছেন, তোমরা পরিপূণ ভাবে ইসলামে দাখিল হও! মানে প্রবেশ করো। আরো বলেছেন, তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না! সুতরাং মুসলিম হতে হলে আগে পড়তে হবে। এসব বই না। ফাজায়েল টাজায়েলের ভ্যেলু নাই। কুরআন, হাদীস পড়তে হবে। মুক্তি পেতে জানতেই হবে। এসব জেনে, বুঝে, আমল করেই মুসলিম হতে হবে। অন্য যত অজানা নিয়ম সব বাদ দিতে হবে। এটাই ইসলামের চূড়ান্ত কথা। অন্যথায় মাফ পাবেন না মনে রাখবেন!

আপনি যদি না-ই জানেন, তো আমল করবেন কি? এই ফাজায়েলে আমল আপনাকে জান্নাতে নিতে পারবে না মনে রাখবেন। জান্নাত পেতে হলে কুরআন লাগবে, হাদীস লাগবে। আশা করি বুঝাতে পেরেছি। আমি আমার দায়িত্ব বলে দিয়েছি, এখন আপনি ভাবেন সত্য আর মিথ্যা কোন টা! আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দিন। আমিন!

বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৩

আমার কাছে--সবচেয়ে মান্য এবং সহজ আইন হচ্ছে আলকুরআন..

আমার কাছে
-সবচেয়ে মান্য এবং সহজ আইন হচ্ছে আলকুরআন
-সবচেয়ে বড় বই হচ্ছে আলকুরআন
-সবচেয়ে বড় প্রবাদ হচ্ছে আলকুরআন
-আমার জীবনের সবচেয়ে দামী দিকনির্দেশনা হ
-সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপদেশ হচ্ছে আলকুরআন
-আমার জীবনের সবচেয়ে বড় এবং সত্য ডায়রী হচ্ছে আলকুরআন
-সবচেয়ে লেটেস্ট সংবিধান হচ্ছে আলকুরআন
-সবচেয়ে বড় গার্ডিয়ান হচ্ছে আলকুরআন
-যার কাছে থেকে সবচেয়ে বেশি মায়া, আদর, সোহাগ পাই তা আলকুরআন
-সবচেয়ে কাছে টানি আলকুরআন
-সবচেয়ে আপন মনে করি যাকে তা হল আলকুরআন
-যার থেকে সবচেয়ে বেশি পরামর্শ নেই তাও আলকুরআন
তো আলকুরআন আমাকে পথ দেখাবে আশা করি।
আমিন!
চ্ছে আলকুরআন

কিন্তু ছাগলে কি করে এত সাহস করে সেই সোনার বাবাকে চিবিয়ে খায়?


ভালা কইরা খা!
দেখছেন আপনারা?
-যে মুজিবের এত দাম, তাকে নাকি ছাগলে খায়!
যাকে হাসিনা ক্ষমতায় আইসাই
অলিতে গলিতে বইয়ে টিভিতে
জাগায় আজাগায় কুজাগায়
সব খানে শুধু মুজিব বাবার নাম;
কিন্তু ছাগলে কি করে এত সাহস
করে সেই সোনার বাবাকে চিবিয়ে খায়?

জানি না কবে শিখব নামাজ শেষ হয়ে যায় বেলা!

আপনারা না। আমার কথা বলি,
সময় হলেও নামাজ না পড়ে
বেখবর হয়ে চলি।
যদি একবার মসজিদে ঢুকি আমি
নামাজে দাঁড়িয়ে চিন্তা করি না
বাদ নাই কোন কামই।
ছটফট আমি। ছটফট থাকে মন।
হোক বা না হোক নামাজ আমি
বের হব না যতক্ষণ!
কিসের নিয়ম?
কতক্ষণ শুধু কপাল-মাটির খেলা
জানি না কবে শিখব নামাজ
শেষ হয়ে যায় বেলা!

সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০১৩

আমি হয় তো বুঝেছি, আমার স্মার্টনেসের গোমর কোথায়?

আমি পেন্ট পড়ি। সুস্থ্য ভাষায় কথা বলি। সার্ট পড়ি। আমি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। আমার সাধারণ একটা জব আর শান্ত ওয়েট খানিকটা আছে। মুসলিম বলে কুরআন বিশ্বাস করি, সেই অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করি। রাজ পোষাক পাঞ্জাবীও আমি পড়ি। কুরআন হাদিসের অধ্যয়নও আমার দ্বারা হয়। আমি হয় তো বুঝেছি, আমার স্মার্টনেসের গোমর কোথায়!

তবুও আমি আনস্মার্টই রয়ে গেলাম সময়ের আধুনিকতায়। যে দূর্বলতা আমাকে আনস্মার্ট করে রেখেছে-অযথা ঘুরাঘুরি করি না, দুই আঙ্গুলের ফাঁকে মুড নেয়ার ভঙ্গিতে সিগারেট টানি না, মনের পোড়া জ্বালা নিবারনের জন্য জীবন বরবাদ করা মদ-গাঞ্জার নেশা করি না, মুখ লাল করে পান-চুন খাই না, কাউকে ক্ষমতা দেখানোর জন্য অভদ্র ভাষায় গালাগাল দেই না, অরুচিকর কথা বলি না, শক্তির বড়াই প্রদর্শনের জন্য সাথে বুলেট বোমার সহযোগিতা নেই না, শরমহীন মেয়েদের সাথে আড্ডাই না... সেই জন্য বোধহয় আমার ভালবাসার অভিজ্ঞতা আজও হয়ে উঠেনি। মনে করে থাকতে পারে যে, আমার মত এমন জীবন সঙ্গীর দ্বারা তাদের জীবনকে মধুময় করার জন্য যথেষ্ট হবে না। তাই বুঝি কম বয়সী/কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন/ কম শিক্ষিত মেয়েরা আমার ক্ষেত্রে এমন চিন্তা করে। আমি চিন্তিত না হলেও এমনটাই আমাকে উপলব্ধি করতে হয়। এমন অনুভূতি ছোট্ট শিক্ষিতদের স্বাভাবিক ইচ্ছা। কিন্তু আমিও যে এদের ক্ষপ্পরকে পছন্দতে না সূচক; তাও আমার কবিতায় জানিয়েছি-

তুমি এক বড় বাপের বড়সর কন্যা
তাই বুঝি বহে সদা স্বপ্নের বন্যা!
ভেবেছ তুমি তাই দেই তবে ধন্যা
জি না! জান না তুমি, আমি এমন না!
ভালবাসা বিনিময়, কিছু ক্ষণ প্রেমময়
বিয়ে করব আর সাজাতে জীবন
চেংড়ী বেটি; তাই উতাল-পাথাল তুমি
ঘর-দুর, সংসারে থাকবে না মন।
মানসিক, শারীরিকভাবে হয়নি বয়স
কথায়, চালচলনে তাই জ্ঞান-হুঁশ ধস।
ভেবেছ বিয়ের পর ঠিক হবে সব
আমি জানি, পুরাতনে টানে অভিনব।
পড়া-লেখা কর; যদি মনে জাগে প্রেম,
জীবন সাজাবে? সেটা লম্বা সে জ্যাম!
সেই ভাল, তুমি খেলো তোমার যত খেল
বুদ্ধি লাগলে মাথায় তেল দাও তেল!

বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৩

আমি আবার আরবীর চেয়ে উর্দূ ভাল পড়তে, লিখতে, বলতে ও বুঝতে পারি, হয়তো তাই এমন হয়!

ছোট কালে আমার নামটি বাবা আদর করেই আমাদের জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর স্ত্রীর সাথে মিল রেখেই মনে হয় (.........) রেখেছিলেন! যাতে করে আমি একজন রমনী হিসেবে নবী পত্নীর মত ধার্মিক, পর্দাশীল, লজ্জাশীল, নমনীয়, আল্লাভীরু, ইসলাম প্রিয় নারী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারি! আর আল্লাহও আমার নামের বরকতে একজন পাক্কা মুসলিম হিসেবে কবুল করেন! আমি এখন বুঝতে পারছি যে, সেই বরকতেই হয়তো আজ আমি একটি দেশের সম্মানিত
স্বররাষ্ট্র মন্ত্রী। কিন্তু আমি কি আমার বাবার সেই উদ্দেশ্য ধরে রাখতে পারছি? দেখুন না! আমি আমি কেমন জানি হয় গেলাম!




আমার দ্বারাই দেশের সর্বোচ্চ আইন-আদালত চলে। আমার সময়ের সব আইন-আদালত ইসলাম আর মুসলিমদের বিরুদ্ধে। কারণ, আমি কেন জানি এসব ইসলামী আর আলেমদের দেখতে ভাল লাগে না। তাঁদের সহ্য করতে পারি না। আমি আবার আরবীর চেয়ে উর্দূ ভাল পড়তে, লিখতে, বলতে ও বুঝতে পারি, হয়তো তাই এমন হয়!

আমি দিন দিন কেমন বদমেজাজী হয়ে যাচ্চি। আমার আচরণে কেমন যেন পুরুষ পুরুষ গন্ধ। পুরুষরা যতই না নমনীয় হয়ে কথা বলে, আমি তেমনটা পারি না! আমি তার চেয়ে বেশি জোর দিয়ে কথা বলি। আমার কাছে তো ভালই লাগে!

আমার কথা মানুষ পছন্দ করে না। না করুক! আমার কথা পছন্দ করল কি না করল, সেটা নিয়ে আমার কোন ভাবনা নেই। আমি এখন যা বলব তাই আইন। প্রয়োজনে আমি নিজের হাতে আদালত চালাব।

আমার পছন্দ মুশরিকদের জন্য, আল্লাহর জন্য নয়। তাই আল্লাহর উপর আস্থা বাদ দিয়ে মা জয়ার উপর আস্থা রাখা শুরু করেছি। আমি মসজিদের চেয়ে মন্দিরের দিকে বেশি ঝুঁকে গেছি। আমি মসজিদে মসজিদে ছাত্রলীগ, আওমীলীগ করে দিয়েছি। আর মাদারাসার বন্ধ করার বন্দোবস্ত করেছি। মসজিদের ইমাম মুক্তিযুদ্ধ পাশ ইমাম নিয়োগ দিয়েছি। আর মন্দিরে গিয়ে আমরাই পূঁজা অর্চনার ইমামতি করি। আমার ক্ষমতায়ই একটি মসজিদের সভাপতি হিন্দু একজন মহিলা নিয়োগ দিয়েছি। সেও খুব শক্তভাবে ইমাম-মুসল্লী-মোল্লাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। আজ আমাদের পূর্ব বাবাদের কবরে বাবু সুরঞ্জিত সাহেব উর্দূতেই দোয়া করে। আমি সব ভাষা ভাল করে বুঝতে পারি! এবার দোয়া কবুল হবেই হবে!



আমি হিন্দুদের দ্বারা মুসলিমদের নির্যাতনের ব্যবস্থা করেছি। আমি বোরকা পড়ে থাকতে ভালবাসি না। তাই কেউ বোরকা পড়ে থাকলে আমার অসম্মান হয়। তাই বোরকাওয়ালাদের বিরুদ্ধে বলার জন্য লোক নিয়োগ দিয়েছি, তাদেরকে লালিয়ে
দিয়েছি, তাদেরকে উৎসাহ দিয়েছি। কারণ, বোরকাওয়ালাদের জন্য আমি সিভিল ড্রেসে বাহির হতে লজ্জা লাগে!

আমি ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারছি। কিন্তু আমাকে ভালবাসে যারা, তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও তাদেরকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি।







যতই হোক, আমি একজন মুসলমানের সন্তান। নিজেও একজন মুসলিম। আমার নামেই তা প্রকাশ পায়। তো আমি যাই করি না কেন, আমাকে নবীর উম্মত হিসেবেই থাকতে হতে। কি করলাম, আর কি করলাম না সেটা নিয়া চিন্তা নাই। তবে বিএনপির লোকদের মত খালেদার উম্মত হয়ে না, জামায়তের লোকদের মত নিজামীর উম্মত হয়ে না; আমি নবীর খাঁটি উম্মত হয়েই জনগণের সামনে প্রকাশ পেতে চাই। কাজে-কর্মে না হোক, চাল-চলনে না হোক, আমার নবী প্রেমের চরিত্র দিয়ে না হোক, আমার বানানো আইন দিয়ে না হোক; নবীর খাঁটি উম্মতের পদটি আমি মুখের ডিকবাজি দিয়ে হলেও
ধরে রাখতে চাই!

ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড : উর্দূ জানি বলেই, ক্ষমতার স্বচ্ছ ব্যবহার
বিষয়শ্রেণী: বিবিধ

ব্যাথা দিয়ে জানি ব্যাথা নাহি পাও

ব্যাথা দিয়ে জানি ব্যাথা নাহি পাও
দিয়ে যাও যত আছে
তুমি ছাড়া আর এতটুকু সুখ
চাহিব কাহার কাছে?


অতঅত ধন নাহি যে আমার
কি দিয়ে আর ভালবাসি!
যেভাবে চালাও সেভাবেই চলি
দাও নি মুখে কভু হাসি।


অতৃপ্ত কথায় দু'টি নয়নে
ফোটা ফোটা ঝরে জল
ফোন রাখিলে হৃদয় ফাটিয়ে
ঝরিছে অনর্গল।


যাও যাও দূরে যাও দূর দেশে
তাতে যায় আসে কার?
কেন রে বল এত দিন পরে
বাঁচিতে পারিব কি আর?


ভালবাসি ভালবাসি কোন ভালবাসা
কথায় নাহি কথা দাও
বুক ভাঙিয়া পাখি হয়ে আবার
উড়িয়া গিয়াছ কি কোথাও?


চলিয়া যাইবে যাও ভুলিয়া
বলিয়া যাইয়ো ক'দিন আগে
কবরে মাটি দিও; সমাজ নিয়মে
প্রিয় মানুষেরে লাগে!

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৩

যাকে নিজ হাতে খুন করতে চেয়েছি; তার মৃত্যুতে আমি গভীর শোকাহত!

মাত্র কিছু দিন আগে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে নতুন করে ঘর বেঁধেছিল ৮ সন্তানের জননী। উপর, নিচ, ডান, বাম চারদিকে মাটির দেয়াল বেষ্টিত প্রাচীর। লম্বা সুরঙ্গ পথের ভিতর বহু কষ্টে খড়-কুটা দিয়ে নতুন করে মা বাসা বেধেছিল সন্তানের সুখের জন্য। সন্তানদের বয়স খুব হলে ২-৩ দিন হবে। অতি যত্নসহকারে লালন করে বড় করে তুলছে সন্তানদের মা। এদের বড় করবে, নিজের মত করে বাঁচতে শিখবে, অনেক বড় হবে, সন্তানরা নিজের মত করে চলবে, কত শত স্বপ্ন ছিল মার! তার এমন সুখ আর স্বপ্ন আমার শরীর, মন সইতে পারে নি।

আমিসহ চার/পাঁচ জনের অতন্দ্র প্রহরায় রেখেছি তাদের। প্রবল আগ্রহ-উদ্বিপনা নিয়ে হাতে সাবল, কোদাল, লাঠি, কাস্তে নিয়ে যে যার মত দন্ডায়মান। একা একা কত কষ্ট করে বাড়িটা চমৎকার শৈল্পিকতায় তৈরী করা হয়েছে । এর ভেতর আমরা ঢুকতে পারি না। কিন্তু এ কে যে মারতেই হবে! সমগ্র বাড়িতে পানির বন্যা বইয়ে দেয়া হল। পুরো বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেল! বাড়ির ছাদ ছুঁয়ে পানি গড়িয়ে যাচ্ছিল। মা পাগলপারা হয়ে পানিতে বাড়ির ভেতরে ছুটাছুটি শুরু করল। মা অশান্ত হয়ে পড়ল। তার সন্তানেরা অবুঝ! নড়তে পারে না। দুনিয়ার কিছুই বুঝে উঠে না। কোন কিছুর কারণ-অকারণ জানে না। অবশেষে কান্নার শব্দ! তারপর করুন আর্তনাদ! মাত্র দু'টি সন্তানকে বুকে করে পানির উপর নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে সে। তৃতীয় সন্তানকে আনতে গিয়ে নিজেই দুর্বল হয়ে পড়ে। অবশেষে হয় তো ইচ্ছা ছিল সবাইকে বাঁচাবার! যখন ভেবে দেখল যে, সবাইকে এভাবে পানির ভেতর থেকে নিশ্বাস বন্ধ রেখে বাঁচানো সম্ভব নয়; উপরে উঠানো দু'টি সন্তানের জন্য নয়, বরং পানির নিচে থাকা বাকী ৮ সন্তানের সাথেই থাকল!

বাহির থেকে আমরা খুব ছোটাছুটি, কান্নার আওয়াজ, করুন আর্তনাদ শুনতে পেলাম; কিন্তু কোথায় গেল সে? আর তো কোথাও পালাবার পথ নেই! তো বাহির হয়ে আসছে না কেন? আসলেই তাকে হাতের অস্ত্র দিয়ে খুন করব!

কিন্তু না অবশেষে আসলই না! আমরা মর্মর করে বাড়ি ভাঙ্গা শুরু করলাম। সম্পূর্ণ বাড়িটা অল্প সময়ের মধ্যেই চুরমার করে দিলাম! খুঁজে খুঁজে শেষ পর্যন্ত বাড়ির এক কোণে ৮টি সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে শান্ত হয়ে শুয়ে থাকতে দেখি! এ অবস্থা দেখে চোখে পানি আর ধরে রাখতে পারি নি! আমার চোখে শুধু নয়; আমাদের ক'জন খুনি আর সেখানে থাকা দর্শকদের চোখেও পানি এসে যায়!

মা নিজে বাঁচতে নয়; ৮টি সন্তানের মায়ায় পানির নিচে থাকাকে মা যথার্থ কর্তব্য মনে করে সন্তানদের সাথেই নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে! মায়ের হৃদয় সন্তানের জন্য এ কেমন মায়া দিয়ে আল্লাহ প্রাণের সৃষ্টি করেছেন! নিজেকে মানাতে পারছিলাম না আমি কিছুতেই! আমার কি করা উচিৎ আমি ভাবতে পারছিলাম না। আমার শরীর, মনে স্তব্ধতা এসে গেল। আমি প্রায় নিবাক বনে গেলাম। মনে মনে আল্লাহকে ডেকে বলেছি, হে আল্লাহ! আমি তো এমন কিছু দেখার আশা করি নি! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও!

-------------------------------------------------------------
ঘটনাটা একটি ইঁদুর মারাকে কেন্দ্র করে। আমাদের বাড়ির পাশে ধান মাড়াই করে খড়গুলোকে শুকাতে দিয়েছিলাম চালায়। সেখানে ইঁদুরটি খড়গুলোকে কেটে নষ্ট করছিল।
-------------------------------------------------------------