রবিবার, ৩০ জুন, ২০১৩

কিন্তু আমি অনুভূতিহীন নই!

আসল কথায় পরে আসি। আগে সামান্য ভূমিকা করি। আমি আসলে খুব ছোট। বেশি কিছু না বুঝলেও। ভাল মন্দ বুঝার শিক্ষা আমি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই কিছুটা তারপর হাই স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরও আমি অজ্ঞ!

কত দিন হল, আমি বিয়ের ব্যাপারে চিন্তা করছি। কিন্তু দেশের যা অবস্থা, আমি আজ দেশে যা দেখছি, যেভাবে আমি সত্য আর মিথ্যাকে প্রকাশ করা দেখছি তাতে আমি রীতিমত অবাক হচ্ছি! বিয়ে করার কথা ভাবব কি, আমি চিন্তা করছি এই আমলে বিয়ে করলে এতো মিথ্যার সয়লাভে আবার আমার বউটাই মিথ্যা এমন কি আমার জীবনটাই মিথ্যা হয়ে যেতে পারে। তাই এই দুইটা বছর কি বিয়ের জন্য অপেক্ষা করব নাকি খুব সতর্কতার সাথে বিয়ে করেই ফেলব তা বুঝে আসছে না।

আমার মা কখনো ঢাকায় যায় নি। মাকে নিয়ে ঢাকায় চিড়িয়াখানায় যাওয়ার কথা ভাবছি ২ বছর ধরেই। এই দুই বছরেও এমন সাহস আমি পাইনি যে মাকে নিয়ে আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হতে পারি। রাস্তা, গাড়ি এক্সিডেন্ট, মানুষ মারা, গুম হওয়া, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, খুন, অনাচার, অবিচার, পুলিশের নির্মমতা, শৃংখলাবাহিনীর নীরবতা ইত্যাদি বিচার করে কোন সুযোগ পাচ্ছি না। হওয়ার ঘটনা তা থেকে দুই বছরের জন্য মা আমাকে অপেক্ষা করতে বললেন। কিন্তু বিয়েটা যদি দুই বছরে অপেক্ষা করি, আমি কি, কিভাবে, কতটুকু কিছুই বুঝতে পারছি না!

যা হোক বিয়ের কথার জন্য মূলত নয়; নিচে দেখুন!


১। মুসলিম হয়ে আল্লাহতে আস্থা বাদ দিয়ে মাটির পুতুলে আস্থা রাখছে কত মুসলিম!
২। আইনমন্ত্রী আইনের চেয়ারে বসে বেআইনী লোকদের (চোর, মিথ্যুক, ধর্ষক, প্রতারক, ছিনতাই ইত্যাদি কার্য সম্পাদনকারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন। কিন্তু একজন আদর্শ নাগরিক, একজন এমপি, একজন ভাল মানুষকে নিরাপত্তার জন্য তাঁর আইন কাজে লাগে না।
৩। মুসলিম ধর্মমন্ত্রী ধর্ম-দ্বীনের তফাৎ জানেন না। আর ধর্ম নিয়ে তাঁর কোন মাথা ব্যাথা নাই।
৪। রাস্তামন্ত্রী রাস্তায় না চলে বিমানে করে আকাশ পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যার কারণে তিনি রাস্তার বেহাল দশা সম্পর্কে অবগত নন।
৫। স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের দলের হাতে প্রতি দিন গড়ে ২০ জন মানুষ মরলেও বর্তমান আইন-শৃংখলা সব আমলের চেয়ে ভাল বলছেন। পত্রিকা মারফত এই তো সেই দিন মাত্র জানলেন, দেশে ক্রসফায়ার হচ্ছে। তিনি জানার পরও কয়েকটা ক্রসফায়ার হয়ে গেল। আর গুম? গুম তো শুধু তলে তলে আইনে লোকেরা জানে, আর দলের লোকেরা জানে। তিনি কিছুই জানেন না।
৬। বাণিজ্যমন্ত্রী্ মন্ত্রীত্ব পদে স্বসম্মানে বহাল থাকলেও ব্যবসায়ীদের দোষ দিয়ে যাচ্ছেন। সব কিছুর দাম নাকি আরো তিন বছর বাড়তেই থাকবে! উনাদের চিন্তা কি? ক্ষমতায় এসে প্রথমেই তো নিজেদের বেতনটা আইন করে বাড়িয়ে নিলেন। আমাদের জনগণকে নিয়ে উনাদের কি লাভ? ক্ষমতাতো এইবার জোর করেই নিতে পারবে! তা না হলে আমাদের জনগণদের একটু চিন্তা করতেন। আর যত লীগরা যেভাবে ক্ষমতা দেখাচ্ছে!



আর কাকে কি বলব? স্বয়ং প্রধান মন্ত্রীই জানেন না বললেন, শেয়ার বাজার কিভাবে চলে? মন্ত্রীরা কেন একজন আরেক জনের সাথে কথা বলে না? কেন ছাত্রলীগ কথা শুনে না? তিনি জানে না জিয়ার কবর কোথায়? তিনি জানেন না জামায়াতে ইসলামীতে ধষক, মিথ্যাবাজ, ধোকাবাজ, প্রতারক, বদমাইস, খুনি, চোর, বাটপার, অশান্তি সৃষ্টিকারী, ভিনদেশ প্রেমিক ইত্যাদি নাই। যদি জানতেন, তাহলে কি এভাবে সব জামায়াতের লোকগুলোকে ধরে বিপদে পড়ে আজ মনমরা হয়ে মুখ কালো করে রাখতেন? তিনি কত কিছুই না করেছেন!
১। শিবিরের উপর চিরুনী অভিযান।
২। তাদের নামে মিথ্যা অপবাদ।
৩। তাদেরকে মেরে হাসপাতাল ভতিকরণ।
৪। বাংলাদেশ থেকে ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করণের পায়তারা।
৫। নিজেদের চরিত্র নিজেদের উপর চাপিয়ে দেয়া

কত মানবতার কথায় বুলি ঊড়ানোরা আজ মানবতা সংজ্ঞা না জানলেও যাঁদের হাতে মানবতার লালন তাঁদের উপর মানবতার অপবাদে ঢালাও ভাবে গ্রেফতার, হয়রানী, মিথ্যা মামলা, জেলে ভর্তি। আরো কত কী!

আরো আছে; মিথ্যা সাক্ষী ভাড়া করা, ভূঁয়া সাক্ষী প্রমাণ হওয়ায় আদালত ছাড়া মুখের জোরে (ফাঁসি দিয়া লা, আবার বিচার লাগবে কেন? লগি-বৈঠায় ফাসি কার্যকর করার বড় স্বপ্ন তাদের।

এখন আসি আসল কথায়, কেন আমি অনুভূতিহীন নই।
আমাদের ইসলামী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তি প্রফেসর অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবকেও উনারা শেষ পর্যন্ত বিনা অযুহাতে গ্রেফতার করেছে। বিগত তিন বছর যাবত উনারা যতগুলো মানুষ তারা অন্তত জামায়াত-শিবিরের থেকে গ্রেফতার করেছে, আজ পর্যন্ত তারা কারোর কোন অভিযোগ পর্যন্ত বের করতে পারে নি। গ্রেফতার করার পর তাঁদের বিরোদ্ধে আজে-বাজে নানান ভাবে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে, করছে। সেগুলোরই কোন সুরাহা হয়নি। তারপরো কত দুঃসাহস নিয়ে অনেক গুলো আসন আর ভিনদেশীদের দেয়া সাহসের জোরে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা, বাংলাদেশে ইসলাম আনয়নের মহান সম্মানী ব্যক্তি প্রফেসর অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবকেও অবশেষে গ্রেফতার করেছে।




আমার ভাষায়; উনাদের মাথা ঠিক আছে কি না জানি না। তবে উনারা যে অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছেন তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কারণ, জনগণের সরকার হয়ে দেশের জনগণের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে একচেটিয়া সব জনগণের মতামত বিরোধী কাজ করে যাচ্ছেন। সেই জনগণের আমিও একজন। কিন্তু আমি এখনো অনুভূতি হারিয়ে ফেলি নি। আমার মত অনেকেই অনুভূতিহীন নয়!

শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৩

আমার আব্বা স্যারের রাগ

পঞ্চম শ্রেণিতে আব্বার এক নাম্বারের ছাত্র ছিল মাহমুদ নাইস। পরপর দুই দিন পড়া পারেনি বলে মাহমুদ নাইসের আব্বা স্যার এমন লাঠি দিয়েছিল যে লাঠির চোটে প্রাইমারী স্কুলের ক্লাসরুম থেকে দৌড়ে বারান্দায় এসে বসে পড়ল। আব্বা স্যার আবার বারান্দায় এসে আবার আরেক চোট দিল। গায়ে বেতের বাড়ির লাম্বা লাম্বা দাগ বসে গেল। স্কুল ছুটির পর মাহমুদ নাইস তার আব্বা স্যারের সাথে বাড়িতে আসল। দুপুরের ভাত খেল। শরীরটা ভার ভার অনুভব করল। মাহমুদ নাইস ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় আলতু করে রাখল। কখন যেন সে ঘুমিয়ে পড়ল।

ঘুম ভাঙতে শুরু করল। প্রচন্ড ভার অনুভব করছে সে। শরীরটা নাড়াতে পারছে না। কিন্তু মাথাটা ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে। চেয়ে দেখল, মা মাথায় পানি ঢালছে। ততক্ষণে শরীরে জ্বর ১০০ ডিগ্রীর উপরে...

সন্ধ্যার পর রাতের গভীরতা যখন চলছে; সকাল হবেই!

সন্ধ্যার পর রাতের গভীরতা যখন চলছে; সকাল হবেই!

সব মন্দের ভাল দিকটাও রয়েছে। যেমন-
রাত-দিন
কান্না-হাসি
সন্ধ্যা-সকাল
মন্দ-ভাল
দোষ-গুণ
বাম-ডান
মিথ্যা-সত্য

আমি বাংলাদেশকে নিয়ে বলছি। আমাদের দেশ এখন বহিঃশত্রুর কালো থাবা দ্বারা বেষ্টিত। বাংলার স্বাধীন আকাশে আজ লোভী দেশের চাহনিতে কালো মেঘ বিরাজ করছে। পুরো দেশটা হাজারো স্তরের আঁধারে ঢেকে আছে।
দূর্নীতির আঁধার।
ধোঁকাবাজীর আঁধার।
ছিন্তাইয়ের আঁধার।
দখলবাজীর আঁধার।
সন্ত্রাসের আঁধার।
মিথ্যাবাজীর আঁধার।
বাকশালীয় আঁধার।
মুর্খতার আঁধার।
কাপুরুষতার আঁধার।
অশ্লীলতার আঁধার।
বেহায়াপনার আঁধার।
অপবাদের আঁধার।
মারামারির আঁধার।
ভন্ডামীর আঁধার।
বামপন্থীদের আঁধার।
অশিক্ষা, কুশিক্ষার আঁধার।
জুলুমের আঁধার।
ছাত্রলীগের আঁধার।
আকাম-কুকামের আঁধার।
------------------
------------
----------
-----------------
এভাবে হিসাব ছাড়া অন্ধকারে দেশ আকন্ঠ ডুবে আছে।

আমরা দেখছি-এই বুঝি ইসলাম আন্দোলন শেষ! আর বুঝি ইসলামি আন্দোলন করার কেউ রইল না। মু'মিন ব্যক্তি কখনো হতাশ হবে না। কখনোই নিরাশ হবে না। আমার মনে করা উচিৎ, আল্লাহ আমাকে পরীক্ষা করছেন। এরপর নেয়ামত আসবে। হাতাশায়া নিরাশায় আমার মন ভেঙ্গে যাবে না। দেখা যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন আর বুঝি রইল না। এই বুঝি শেষ হয়ে গেল! চতুদিক থেকে বন্য হায়েনারা বিদেশি অস্ত্র নিয়ে টাকা নিয়ে চতুর্দিক থেকে হামলা শুরু করল। আমরা মনে করছি আর বাঁচার পথ নাই। ইসলামী আন্দোলন বুঝি শেষ! না। আমরা অন্ধকার দেখছে চতুর্দিক অন্ধকার মেঘাচ্ছন্ন। চতুর্দিক থেকে মেঘ জমে আসছে। মনে হচ্ছে যেন আর ফজর হবে না। কিন্তু একটু পরে দেখা যাবে এই মেঘের ঘনঘটা দূর হয়ে সকাল বেলা আকাশে আবার সূ্র্য উদিত হয়েছে। সুতরাং মু'মিন যারা তারা হতাশায় ভোগে না। মোটেও হতাশায় ভোগে না। তারা মনে করে, নিশ্চয়ই এর ভেতরে রয়েছে কল্যাণ। আল্লাহ বলেন, 'লা তাকনাতু মিররাহমাতিল্লাহ'। অর্থাৎ তোমরা আমার রহমত থেকে নিরাশ হইয়ো না। আমিও হতাশ হইনি। কিন্তু আমার কিছুই ভাল লাগে না। না পারি ঠিক মত খেতে। আর না পারি নিজেকে নিয়ে কিছু চিন্তা করতে।

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৩

প্রজা হয়ে রাজারে শিখাই!

কত শিক্ষা কতভাবে হয়;
আগ্রহ কার শিখার?
তুমি মানুষ; তার চেয়ে ভাল
গরু ছাললের আচার।

ফিফার 'পর্দা অনুমোদন' পেল
মহিলা ফুটবলার
লাফ দিবে তো ফুটবল নিয়ে;
স্কার্পের কি দরকার?

নিজেই যদি যোগ্য অতি
ভয় কেন জনতার?
বিরোধী মার যা খুশি কর
মেরে যাও ইমানদার।

তোমরা পাপি অন্ধ ভ্রান্ত
বাংলা হাইজাকার;
ডিজিটাল মুখে কিনছো কেন
বাহাত্তর অন্ধকার?

ক্ষমতায় শত বাবাদের খুনি;
করবে কার বিচার?
ঐ যে বাবার মৃত্যুই যেন
রাজনীতির হাতিয়ার!

রাজায় নষ্ট ক্যালেঙ্কারী দেশ
বাকশালী তার বিচার
সর্বদোষে শিবির-জামাত
নাম তাই রাজাকার।

বোরকা কর নিষেধ নারীর
আস্থা নাই আল্লাহর
ন্যাংটা বংশীয় সেক্সীও তুমি;
মুসলিমও বাংলার?

লালিয়ে যুবক-যুবতীলীগ-টিগ
যত দল অকর্মার
যা খুশি বলাবলি করাকরি সব
কু-মন্ত্রীদের দরবার।

তেমনি বলি, বাংলা রানীরাজ!
শিক্ষা গাছে ধরার?
যুগে যুগে শিখেছে নমরুদরা দেখ;
দেরি নাই তোর বিচার!

শনিবার, ২২ জুন, ২০১৩

আমরা স্কুল কলেজের ছাত্র না কাকা, আমরা ছাত্রলীগ!

রাস্তা দিয়ে হাটছি। কিছু ছেলেপেলে আমার গতিরোধ করল।
-বলল, আমাদের পকেট খরচ দেন চাচা!
-আমি বললাম, তোমরা কে বাবা? তোমাদের বাবা কে? গার্ডিয়ান কে? বাড়ি কোথায়? আর কি কর তোমরা?
-তারা বলল, আমাদের ঐ সব পরিচয় টরিচয় নেই কাকা, আমরা ছাত্রলীগ!
-আমি বললাম, তোমরা ছাত্র! তো তোমাদের পোষাক দেখে তো বুঝতে পারছি না। তোমরা কে কোথায় পড়ছো?
-তারা বলল, এই ছাত্র ঐ ছাত্র না কাকা! এটা ছাত্রলীগ! বুছ্ছেন কাকা? যারা স্কুল কলেজে পড়ে আমরা সেই ছাত্র না। আমাদের আলাদা একটা নামই আছে, ছাত্রলীগ!

উভয় সংকট!

গরম উঠেছে চরমে
রোদে জ্বলে গা
ঢাকায় যাব এখন আমি?
ভাবছি বসে তা!
বাসে যদি সীট না থাকে
যাত্রী হয়ে খাড়া
গরম কড়াই জ্বলব নাকি
কন্টাক্টরে ভাড়া!
আমার প্রিন্টার প্রিন্ট দিবে না
কাস্টমারের লাইন
এই কি মিয়া, দোকান দিয়া
বসে বাতাস খাইন?

ওরা মানুষের প্রকাশ্য দুশমন।

BALদের এখনও বাল জ্বালায় নাই। চোখ আছে আলো নাই! কান আছে শোনার শক্তি নাই! দেশ চালায়; কেমনে চালায় বুঝার শক্তি নাই!

কুরআনের আয়াত এখানেই মিলে, 'ওরা বধির বোবা অন্ধ। সুতরাং ওরা কোন দিন ফিরে আসবে না। ওদের অন্তরে রয়েছে বিষ। আল্লাহ এদেরকে মোহর (সীল) মেরে দিয়েছেন।' ওরা মানুষের প্রকাশ্য দুশমন।

প্রমাণ স্বরূপ:
¤ শিবির জামাতের দুই আড়াইশ লোক গুলি করে মারল অথচ তারা দেখে নাই শোনে নাই বুঝে নাই যে এতগুলো প্রাণ শেষ হয়ে গেছে!
¤ হেফাজতের দুই তিন হাজার লোক হত্যা করা হয়েছে। অথচ তারা বলছে কোন গণহত্যা হয় নাই। তারা দেখে নাই শোনে নাই বুঝে নাই যে এতগুলো প্রাণ শেষ হয়ে গেছে!
¤ দেশে আইন নাই বিচার নাই মানবতা নাই ইজ্জত নাই স্বাধীনতা নাই ধর্ম নাই শৃংখলা নাই সীমান্তে পাহারা নাই জনগণের অধিকার নাই নারীর স্বতীত্বের মূল্য নাই। অথচ তারা দেখে নাই শোনে নাই বুঝে নাই যে দেশে এতকিছু এখনও নাই!

ভোটই আসে নাই, আর বলছে, আমার ভোট চুরির নিয়ত নাই।

চোর তো চুরির চিন্তাই করে সারাক্ষণ। ভোটই আসে নাই, আর বলছে, আমার ভোট চুরির নিয়ত নাই। মানুষ কি বোকা পাইছে? হাসিনা যে ভোট চুরি ছাড়া ক্ষমতায় একবারও আসে নাই তা জনগণ জানে। জনগণ জানে বিশ্বের সবচেয়ে বেহায়া বেশরমা নারী শুধু নারী না নারীরূপী পুরুষের সবচেয়ে মিথ্যা বলে এই অমানুষটা...

বুঝবা বাপু, একদিন হিসাব তোমার দিতেই হবে!

দুইটা ছক্কা মাইরাই লাখ টাকা পায় তামিম সাকিবরা। বিয়া করলে মা শা আল্লাহ! আমাদের সাধারণের ক্যালকুলেটরেও খরচের হিসাব করা কঠিন হয়ে যায়! কিন্তু সারা মাস খেটে গার্মেন্টসের শ্রমিকদের পাঁচ হাজার টাকা জুটে না! কোথায় আছি আমরা? আর তারা বিয়া করলেও খবর হয়ে যায়। আর বেখবররা সেই খবর বেচে খায়! আমরা হাজার হাজার মরে গেলেও খবরে আসে না। টাকাওয়ালারা কোথায় দিয়ে যে তারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে ফেলছে তা টের পায় না।

বুঝবা বাপু, একদিন হিসাব তোমার দিতেই হবে! আল্লাহ তোমার হিসাব নেওয়ার জন্যই পরকাল বানিয়েছেন। নয় তো এত সুন্দর হুর! এত মিষ্টি শরাবের নহর! সুস্বাদু ফলের বাগান! আরো কতকি! এসব আল্লাহ দুনিয়াতে দিলে পারতেন না? মনে রাখবা, তোমার চেয়ে আরো বড় কেউ আছে!

বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০১৩

বাংলায় মোর স্ট্যাটাস থাকে না

স্কুলে যাবে?
অ আ ক খ
মায়ের ভাষা এই
এই ভাষাতে মায়ের দরদ
ইংরেজিতে নোমার
যে জন ভাবে
বাংলায় মোর স্ট্যাটাস থাকে না
তারা আমার বাংলাকে না
দরদ দেশটায়ও মাখে না।
আসুন তবে বাংলাদেশ
বাংলা ভালবাসি
উদর দেশের হিন্দি ছেড়ে
বাংলায় ফিরে আসি!
বাংলা আমার যুদ্ধের তরবারি
বাংলা শিখায়ে ভিনদেশীদের
রেমিটেন্স বাড়াতে পারি!
আমি আবার বাংলা কথা বলি
বাংলায় হাটাহাটি
লেখালেখি পত্রিকা দেখাদেখিও করি
বাংলায়ই ফাঁটাফাঁটি!
বাংলায় বলো বাংলায় লিখো
আত্মতৃপ্তি নাও
বাংলাদেশ বাংলাও তোমার
তাই বাংলার গান গাও..

গরুরা ঘাস খায় মানুষেরা ভাত

গরুরা ঘাস খায়
মানুষেরা ভাত
রক্তপিশাচেরা
ছয় মে রাত!
কি খায় কি খায়
মানুষে মানুষ?
এমন খাদক তারা
না হুঁশ বেহুশ!

আওয়ামীলীগ করে অথচ বড় পোস্টে আছে! বুঝতে হবে কোন গোলমাল আছে।

আওয়ামীলীগ করে অথচ বড় পোস্টে আছে! বুঝতে হবে কোন গোলমাল আছে। কারণ ছাত্রলীগ করে কেউ পড়াশোনায় ধ্যান করে ছাত্রজীবন পার করতে পারে না। ছাত্রজীবনে তাদের হাতে বই থাকার কথা থাকলেও তাদের হাতে থাকে অস্ত্র লগি বৈঠা আর আলেম খুন করার হাতিয়ার! তো বলুন এভাবে এই পরিবেশে কি পড়ালেখা হয়?

সুতরাং বুঝতে হবে-
¤ ছাত্রলীগ আর গার্ডিয়ানলীগ সবই মুর্খ বলদ আবুল মখা সাহারা সুরঞ্জিত। এরাও মন্ত্রী এরাও এমপি এরাও বিচারক এরাই প্রসিকিউটর এরাও দেশ চালায়!

দেশ চলছে তো! চলছে না?

শেষ হয়ে যায় বেলা...!

আপনারা না। আমার কথা বলি,
সময় হলেও নামাজ না পড়ে
বেখবর হয়ে চলি।
যদি একবার মসজিদে ঢুকি আমি
নামাজে দাঁড়িয়ে চিন্তা করি না
বাদ নাই কোন কামই।
ছটফট আমি। ছটফট থাকে মন।
হোক বা না হোক নামাজ আমি
বের হব না যতক্ষণ!
কিসের নিয়ম?
কতক্ষণ শুধু কপাল-মাটির খেলা
জানি না কবে শিখব নামাজ
শেষ হয়ে যায় বেলা!

আওয়ামীলীগের ভরাডুবীর একমাত্র কারণ,

রাজনীতি করি না বলে কি বুঝি না? জাগায় জাগায় দেখি শুধু বিএনপি পাস করছে! আওয়ামীলীগের ভরাডুবীর একমাত্র কারণ,
¤ পানির নৌকা আকাশে উড়াতে চাওয়া
¤ মরা বাপ নিয়া বেশি বগর বগর করা
¤ ইসলাম নিয়া জোলাবাতি খেলা
¤ মানুষের সাথে আওয়ামী আচরণ করা
¤ দেশের জনগণের সাথে মিছা কথায় মাথা টাব্বুশ করে দেয়া
¤ ঘড়ির সময় ঘড়ি থুইয়ে রাস্তায় সময় কাটাতে দেয়া
¤ ডিজিটালের ড দিয়া মানুষের মাথায় ডুগডুগী বানানো আর ডান্ডাবেরী পরিয়ে লীগার আর আইন শৃংখলাবাহীনীকে ডাকাত বানানো

আবার চাই!

১৫ আগষ্ট আবার চাই
বাংলাদেশটা বাঁচাতে চাই
ভাল মানুষ মুক্তি চাই
খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই
আলকুরআনের আইন চাই
মানবতার মূল্য চাই
মুসলমানের ইজ্জত চাই
আওয়ামীলীগের বরবাদ চাই
মানুষ মানুষ বন্ধু চাই
খুনীদের কোন ছাড়টার নাই
রাস্তাঘাটের উন্নয়ন চাই
দেশটা আবার সতেজ চাই
রাস্তাঘাট নিরাপদ চাই
স্বাধীন কথা বলতে চাই
মিথ্যাবাদীর ধ্বংশ চাই
সত্য দ্বীনের প্রতিষ্ঠা চাই
জালেম গুন্ডার মরন চাই
মসুলিম দেশে শান্তি চাই

বুধবার, ১৯ জুন, ২০১৩

পিছনেই একেবারে!

এই স্যার আমায় ভালবাসে না
কান ধরে বারে বারে
সামনের বেঞ্চে বসি না তাই
পিছনেই একেবারে!
পড়া কি আর সবাই পারে?
বুদ্ধিসুদ্ধি কম;
তোরাই হবি অফিসার হ
নাই মোর উদ্যম!
সবাই যদি জ্ঞানী পন্ডিত
আবুল থাকত দেশে?
মন্ত্রী আবুলও আবুলই থাকে
চুরি কারবারী শেষে!
সবাই যদি আলেম হয়ে
জামাত শিবির করে
আল্লাহ কেন আওয়ামীলীগ পাঠায়
নাস্তিক হয়ে মরে!
তোরা হবি সীসার প্রাচীর
আমি চিটার খই
কাগজের বিমান ঊড়ে যাই দেখ্
তারপর পড়ে রই!

মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৩

আলকুরআন

আমার কাছে
-সবচেয়ে মান্য এবং সহজ আইন হচ্ছে আলকুরআন
-সবচেয়ে বড় বই হচ্ছে আলকুরআন
-সবচেয়ে বড় প্রবাদ হচ্ছে আলকুরআন
-আমার জীবনের সবচেয়ে দামী দিকনির্দেশনা হচ্ছে আলকুরআন
-সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপদেশ হচ্ছে আলকুরআন
-আমার জীবনের সবচেয়ে বড় এবং সত্য ডায়রী হচ্ছে আলকুরআন
-সবচেয়ে লেটেস্ট সংবিধান হচ্ছে আলকুরআন
-সবচেয়ে বড় গার্ডিয়ান হচ্ছে আলকুরআন
-যার কাছে থেকে সবচেয়ে বেশি মায়া, আদর, সোহাগ পাই তা আলকুরআন
-সবচেয়ে কাছে টানি আলকুরআন
-সবচেয়ে আপন মনে করি যাকে তা হল আলকুরআন
-যার থেকে সবচেয়ে বেশি পরামর্শ নেই তাও আলকুরআন

তো আলকুরআন আমাকে পথ দেখাবে আশা করি।
আমিন!

সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৩

এমন মুসলমানিত্বের কি মূল্য থাকতে পারে?

আমি মুসলিম। আমার বাবা মুসলিম। আমার চৌদ্দগোষ্ঠী মুসলমান। আমি মুসলিম পিতার মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করেছি। ছেলে মেয়ের নাম মুসলিম রেখেছি। আমার বাড়ির আশেপাশে সবাই মুসলমান। বাড়ির সাথেই বড় একটা মসজিদ। আমি মসজিদে নামাজ পড়ি। রমজানে রোজা রাখি। সময় পেলে কুরআন তিলাওয়াত করি। মানুষের উপকার করি। মুরব্বি দেখলে সামাম করি। আমি এখন যুবক। বড় হলে আমারও দাঁড়ি রাখার শখ আছে। এতিম, গরিব মানুষদের সাহায্য সহায়তা করি। অসুস্থ্য ব্যক্তির সাক্ষাত পায়ে হেঁটে গিয়েই লাভ করি ।
----------------------------------------------------------
কিন্তু আমি সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা রাখা বাদ দেয়াও পছন্দ করি। বিসমিল্লাহ বলা সহ্য করতে পারি না। কারো কাছে কুরআন, হাদীস, ইসলামী বই থাকা পছন্দ করি না। কারো কাছে থাক তা সহ্য করতে পারি না।
----------------------------------------------------------
"নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবার" ধ্বনি পছন্দকারীদের ঘৃণা করি, মারধর করি।
----------------------------------------------------------
কুরআনের, হাদিসের আলোচনা বা তাফসীর মাহফীল হলে ১৪৪ ধারা জারী করে সেখানে বুক ফুলিয়ে হাঁটতে ভালবাসি। তাফসির বাদ দিয়ে সেখানে যাত্রা পালা, নাটক, প্রজন্ম চত্তর দিয়ে গান বাদ্য এবং বেশরম মেয়ে ছেলেদের দিয়ে উলঙ্গ অধা উলঙ্গ হয়ে বেহায়াপনা করাকে ওপেন করাটা বড় ভালবাসি।
-----------------------------------------------------------
টুপি দাঁড়ি দেখলে ছাগল বলে সম্ভোধন করি। রাম ছাগল বলি। ছাগু বলে ডাকি। আর যারা এমনটি করে তাদেরকে বাহবা দেই। এসব ভাষা ব্যবহার না করলে নিজেকে প্রগতিশীল মনে হয় না।
-----------------------------------------------------------
আমি মাঝে মাঝে সওয়াবের জন্য হোক বা কাউকে দেখানোর জন্য হোক নামাজ পড়ি; কিন্তু অন্য লোকে নামাজ পড়তে মসজিলে গেলে লগি বৈঠা নিয়ে মসজিদেই মুসল্লীদের পেটাই। যেখানে দেখি টুপি দাঁড়ি সেখানেই তাদেরে খুন করি।
-----------------------------------------------------------
আমি গণতন্ত্র ভালবাসি; কিন্তু আমার মতের উপর কেউ কথা বললে, তাকে রাস্তায় ফেলে থাপ্পর, লাঠি দিয়ে আহত করি, হাত পা ভেঙে দেই। চাকুরী নষ্ট করে দেই।
------------------------------------------------------------
ভালবাসি ইসলাম, ভালবাসি ইবরাহীম (আ) আর ভালবাসি হাজার হাজার আলেমের খুনিদের। খুনির বেটি খুনি স্বনামধন্য বাংগাল কন্যাকে। ভালবাসি তার সব কর্মকান্ডকে। সারাজীবন চুক্তি করা, দেশের সীমানা দিয়ে কিছু কিছু ভারতকে দান করা, সদকা করা, সহযোগীতা করা, ট্রানজিট দেয়া, দেশের মাটির চেয়ে ভারতের মাটি উর্বর করা, দেশের বাহিনীদের ধ্বংশ করে আমৃত্যু ভারতের চামচামী করা। দেশের সব বড় বড় আলেম ধরে ধরে জেলে দেয়া, হত্য করা, তাঁদের নামে মিথ্যা বলা, অপবাদ দেয়া, কুরআন হাদিস নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করা এসবই আমার পছন্দ। এমনকি রাস্তায় গুলি করে মানুষ মারার পক্ষে। আমি ৬ মে রাতে হেফাজতের হাজার হাজার আলেমের উপর গণহত্যাও মেনে নিয়েছি।
-----------------------------------------------------------
ইসলামি বইকে জেহাদি বই বলি। সত্য কথা বললেই তাকে মৌলবাদী বলি। জঙ্গি বলে মারধর করি। আবার পুলিশে দেই।
-----------------------------------------------------------
আমার যায়গা-জমি ঘর-ভিটা ছাড়া কিছু নেই; কিন্তু বাংলাদেশকে ভারতকে স্বহস্তে দান করি।
-----------------------------------------------------------



-কি লাভ আমার মুসলমানিত্ব দিয়ে?
-কি হবে আমার এমন নীতি দিয়ে?
-দৈত নীতিতে জীবন চালিয়ে মহান আল্লাহর কাছে অবশেষে কি জবাব দিব?
-একবার ভেবে দেখেছি???

শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৩

বুবুর অঙ্গে থোকায় জ্বলে করবে এবার শেষ!

আঙ্গ বুবু খাটি মুমিন
সাচ্ছা মুসলমান
দলের লোকের নাস্তার লাগি
শিবির দেয় কুরবান।
চোরমোনাই চলে বুবুর তলে
দেখছেন কোন কথা বলে?
সুযোগ বুজে চলে জ্ঞানী
এরশাদ বিএনপি
বুলেট খাবে ফাও অথবা
জেলে যাবার নি?!
আমার বুবু নিরপেক্ষ
আল্লাহ নবী বাদ
ভগবানের কাছে চাহেন
ক্ষমতার আলো তাপ।
আমার বুবুর দাপট দেহেন
শিবির জামাত করিবে ব্যান
পুলিশ র্যাবের পোষাক দিয়া
আঙ্গ দিছে আইন
ঠুশঠাশ মারি মুসল্লিদের;
বিশ্বে করে মাইন?
আঙ্গ বুবুর দলের তলে
কত ডগের আগুন জ্বলে
লাকী জ্বলে রাজিব জ্বলে
রাজাকারের দেশ
বুবুর অঙ্গে থোকায় জ্বলে
করবে এবার শেষ!
কেউ বলছে লীগরা দেশে
আস্ত কুকুর দল;
নিরিবিলি থাকতে এসো
আঙ্গ বুবুর তল!

শনিবার, ৮ জুন, ২০১৩

ইশকুলের নাই দোষ!

ইশকুল আমার অনেক ভাল
ইশকুলের কি দোষ?
কিছু শিশুর মা-বাপেরই
পড়াইতে নাই জোশ!
এই অপারগ শিশুরাই
মুর্খ থেকে যায়
বড় হয়ে এরাই চুরি
জুলুম করে খায়!
শিক্ষা নিয়ে শিক্ষিত কেউ
গালি বুঝে না
মিথ্যা নামে সার্টিফিকেট?
উপায় খোঁজে না।
যোগ্য তেলের টান পড়ে না
অপরের চরকার
গুলি ছুরি লগি বৈঠার
নাই তার দরকার।
আমার ইলকুল কত সচিব
মন্ত্রীর পরিচয়
না পারাও কত শিশুর
বিদায় দিতে হয়।
না পারারা বড় হলে
চাকরি জুটে না
ভদ্র ঘরের মেয়ে করে
বিয়েও মোটে না।
অবলেষে বদমাশীতে
যৌবন চালনায়
সন্ত্রাসী গুন্ডামী করে
জীবনটা বাচাঁয়।
দেশের কোন ভদ্র তাদের
ভালবাসে না
আলেম সমাজ লোক সমাজে
তারা আসে না।
এমনি করে না পারারা
উম্মাদ হয়ে যায়
অসভ্যতাই নিজের করে
বাকশালী কায়দায়!

কি যমানা আইল!!!

কি যমানা আইল পথে হাটতেই পারি না
নারীর জ্বালায় বাজার সদাই করতেই পারি না।
কি যমানা আইল পাত্রী পাত্রের বাড়ি যায়
কালো কুকিল গান ধরে না কাউয়ায়ই কা কায়।
কি যমানা আইল তার পাঁচতলা হয় বাড়ি
জাইঙ্গা গেঞ্জির মডেল কত হারায় লুঙ্গী শাড়ি।
কি যমানায় বাবা মায়ের বৃদ্ধাশ্রমে বাস
নিজের বাচ্চা ঠেলে নিয়ে কুকুর চেটে খাস!
কি যমানা আইল দেশে নাস্তিক পাওয়ারফুল
মানুষ কোথায় আওয়ামীলীগ কেন আবার ফুটায় হুঁল?
কি যমানা আইল নকল আসল বুঝে না
গণহত্যার জেল জুলুমে বিবেক খুঁজে না!

শুক্রবার, ৭ জুন, ২০১৩

হবেই নতুন সূ্র্য উদয়

তিন বেয়াদব সাঈদীর নামে
মিথ্যা সাক্ষী দিল
বাড়ি যাওয়ার আগেই আল্লাহ
তাদের প্রাণটা নিল।
যেই না করে আল্লাহর নামে
উম্মাদ কটুক্তি
আল্লাহ বলেন নাস্তিক ব্লগার
বাঁচার নাই যুক্তি!
টুপি দাড়ির মানহানিল
উম্মাদ কার্টোনিস্ট
নবীর সাথে বেয়াদবী?
মরল হৃদে পিষ্ট!
যেই না চলে সত্যের সাথে
মিথ্যার অভিনয়
নিজের ফাঁসি নিজেই নিল
প্রতিকী ফাঁসি নয়!
যেই বিচারক প্রিয় সাঈদীর
মিথ্যা দিবে রায়
বাংলার মুমিন তারে যেন
হাতের কাছে পায়!
এমনি তাদের ষড়যন্ত্র
শেষ হবে যে খেলা
হবেই নতুন সূর্য উদয়
কাটবে আঁধার বেলা!

শিবির সভাপতিকে দেখে একটা গানই মনে পড়ছে...

শিবির সভাপতির নির্যাতনের ছবি দেখে আমি আর সইতে পারছি না।
একটা গানই এখন মনে পড়ছে-

গভীর রাত্রী শেষে আলোর প্রভাত হাসে
ভোরের পাখিরা গাহে দিবসের ই গান
আঁধারের পরে আসে মুগ্ধ সকাল!
ঝঞ্ঝা ঝড়ের শেষে
দৃঢ় মন বিশ্বাসে
গড়ে ওঠে জনপদ নব চেতনায়!
অমা-রাত্রির শেষে পূর্ণিমা চাঁদ হাসে
জোসনায় ভরে যায় কানায় কানায়
ফাগুন ফুলেরা সুখ গন্ধ বিলায়!

ছিড়িস না শিবিরের গায়ের এক লোম

চলছে হরতাল আসছে ঝড়
মররে বাকশাল আমলীগ মর!
অস্ত্র নাই তো ই ই ছে কী?
দাও-ছেন হাতে লও বাঁশ কঞ্চি!
মাজলুম আল্লাহর জালিমরা ক ই?
মহাসেন আসছে ঐ ঝড় ঐ!
ছিড়িস না শিবিরের গায়ের এক লোম
জালিম প্রাসাদ ভাঙ গুড়ুম গুড়ুম!
ধেয়ে ধেয়ে আসছে লীগার মরুক
বাংলার মুজাহিদ শিবির অটুট!

চেতনার গান!

আঁধার যখন গভীর ওরে মুসলিম বীরের দল
একটু পরেই সকাল হবে সামনে এগিয়ে চল্ ।
রাজপথ দিয়ে আমরা যখন হেটেই চলছি আজ
ইসলামী রাজ গড়ব এখন এটাই বড় কাজ।
দুই চার হালি নাস্তিক দিয়া সরকার রিমোট চালে
সরকারই তো গঠফাদার হয় নাস্তিকদের তালে।
আল্লাহ আছেন আমাদের সাথে বিশ্বাস আস্থা রাখো
মালাউনরা দেশ ছাড়িবে জেহাদে অটুট থাকো!
পরিবেশ দেখ পাল্টে গেছে; বুমেরাং তলে তলে
সাঈদীর মিথ্যা ফাঁসির দড়ি হাসিনার লম্বা গলে!
তারপরেও মাতালগুলোর হুঁশ ফিরে না এল
শাপলা চত্বর মুমিন রক্তে শহীদী চত্তর হল!
ছাড় দিয়েছি চারটা বছর, আর কত দিন যাবে?
খালি হাতে প্রতিবাদ নয়; প্রতিরোধ সমভাবে!

আমি মুক্তির চেতনায় ভাসছি...

এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উজান সময়!
জয়বাংলা বলিয়া শুরু করে দেই আমার পছন্দের সব কাম!
তবে আমি এতটুকু দ্বিধা করি না যে, আমার কাজটা কাজে লাগল নাকি অকাজে ব্যয় হল।

আমার বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধের মহান খুনি ছিলেন। তিনি জানেন না কেন যুদ্ধ করেছিলেন। তার হাতে কত মানুষ নিহত হয়েছে তিনি নিজেও জানেন না। আমি তার উত্তরাধীকারী পোলা। আমার পাওয়ারতো একটু বেশি থাকবেই! তাই না? সেই মুক্তিযুদ্ধ আজও চলছে। তবে এবারের যুদ্ধ চলছে বাংলাদেশকে ইসলামমুক্ত করার।  ব্লগার থাবাবাবা তো এবারের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হয়ে গেলেন। আমিও সেই চেতনায় চেতনাইছি...

-মুক্তির চেতনা নিয়ে আমি আজ অনায়াসেই সেঞ্চুরি করেছি।
-মুক্তির চেতনা নিয়ে আমি পিলখানা তৈরি করি।
-মুক্তির চেতনা নিয়ে আমি সাভার ট্রাজেডি বানাই। রেশমা-হাসিনার নাটকের স্কৃপ্ট সাজিয়ে প্রদর্শন করি।
-শাপলা চত্তর থেকে রক্তাক্ত চত্তর করি মুক্তির চেতনা নিয়েই।
-দেশের বাচ্চা হইয়া বিদেশের পা চাটার সুযোগ পাই একমাত্র মুক্তির চেতনা নিয়েই।
-ধর্মীয় ব্যবসা টিকে রাখার জন্য মা এক ধর্মের, মাইয়া আরেক ধর্মের, নাতিপুতি অন্য ধর্মের এভাবে নিরপেক্ষ ধর্মের আবার কেউ ধর্মহীন নাস্তিক এভাবে সব কিছুই চলে আমার মুক্তির চেতনায়।

-ভাল ই তো চলছে আমার দিনকাল! ভাল না? বিরোধীদের হত্যা গুম জেল মামলা হামলার উন্নয়ণ তো বন্যাকারে ভেসে যাচ্ছে! তাই না? আবার আপনারা আমার মুখে শুনে থাকবেন, আইন শৃঙ্খলা যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল! আর দেশে কোন হত্যাকান্ড ঘটেনি! দেখেছেন? আমি কত পরিত্র? ফুলও এত পবিত্র নয়!

-জানি, আমি কোন একদিন মাথায় হাত থাপরাবো! আল্লাহ সব কিছুই অবলোকন করছেন.. কিন্তু ক্ষমতার যে বড়া টান! ক্ষমতা ছাড়া আমি আর কিছু চাই না। পরকালে আল্লাহ তুমি আমাকে দোজখে জ্বালাইয়ো, কিন্তু দুনিয়াতে ক্ষমতা হাতছাড়া করিও না প্লীজ!!!
জয়-বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০১৩

আমাদের হাসিনা নাকি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভ্যাস নাই!

আমাদের হাসিনা নাকি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভ্যাস নাই! সংসদে দাঁড়িয়েই তিনি এমন দুঃসাহসী কথাবার্তা বলেছেন। তবে আমি বলি শোনেন!
-যদি হস্তক্ষেপ নাই করেন, তবে নৌকা এবার বংগোপসাগরে নয়; একেবারে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীর তলদেশে গিয়ে বিষ্ফোরিত হবে ইন শা আল্লাহ!

একবার ভেবে দেখুন, শিবিরের ভাইদেরকে গুলি করে মারার পরে, হেফাজতের হাজার হাজার মারার পরে, দেশের বারোটা বাজানোর পরে, বিরোধীদল নির্মূলের চক্রান্তের পরে, ভারতের একচেটিয়া পা চাটার পরে যদি হাসিনা আপনার বুকের পাটাতন এতটুকু প্রস্থ থাকে আর এতটুকু সাহসও থাকে তবে তত্বাবধায়কের আন্ডারে নিবাচনটা দিন! তারপর দেখেন আপনার নৌকা আর আপনাকে জনগণ কোথায় নিয়ে ঠাঁই দেয়। আমার মনে হয় না যে আপনাদের পৃথিবীর কোনখানে আপনাদের সম্মানজনক ঠাঁই হবে... আমিন!

এসো মিলি ঐ মিছিলে রেডি হও কে যাবে???

প্রেম করছি প্রেমিক আমি
আল্লাহ প্রেমাষ্পদ
ঘৃণাভরে মুখটা ফিরাই
বামপন্থীরা বদ।
ডানকে সবাই ভাল জানে
পবিত্র প্রতীক
বাম হাতের কাজ কি জানে না
বাম রাম আর লীগ।
সত্য যাঁরা ভালবাসো
মিথ্যারে ধ্বংশাবে;
এসো মিলি ঐ মিছিলে
রেডি হও কে যাবে!
দেশে পড়েছে হিংস্র ছোবল
ইসলাম ধ্বংশ চায়
আয়রে সবাই শয়তান যেন
আমাদের ভয় পায়..

বুধবার, ৫ জুন, ২০১৩

এই জালিমের নিপাত শেষে বিজয় দেখতে চাই

দেশের খবর ভালা না রে
মনে শান্তি নাই
মরার আগে বাকশালের মার
মরণ দেখতে চাই।
চোখে নাহি ঘুম পেটে
খাওয়ার ধান্দা নাই
চলো সকল দেশবাসি
জেলের ভেতর যাই!
এই গরমে মাজলুম জেলে
থাকার যায়গা নাই
ঘরের ভেতর মুমিন আমি
কেমন মজা পাই!
মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী;
সুখবর জানো ভাই?
আল্লাহর কাছে নিরপেক্ষর
কোন দামই নাই!
মাজলুমেরা কেঁদে বলে
বাঁচাও মুমিন ভাই
এই জালিমের নিপাত শেষে
বিজয় দেখতে চাই!

দাম কি আর কম??

যেখানে সরকারের পুরোটিমটাই মিথ্যার সাগরে নৌকা চালায়া সাভার ট্রাজেডিতে এত শত মানুষগুলো মারল, মারছে; এনাম মেডিক্যালে দুই চার পাঁচশ লাশ গুম করা খুনি হাসিনার পক্ষে অসম্ভবের কিছু না। দেখেন না, কতগুলো মানুষ মরল, বিপদে পড়ল, আহত হল। অথচ বদমাইশটা একবার দেখতেও এল না। উদ্ধারের জন্য তেমন কোন চেষ্টা, আগ্রহও দেখাল না।

তার মুখে পুলিশ পুলিশ ডর।

-রানা যুবলীগের কেউ না!

-আমি সাভারের যুবলীগের লিষ্ট নিয়ে আসছি। এই যে দেখেন, এখানে রানার নাম নাই!

* প্রমাণ মেলেনি ডাহা মিথ্যা কথা এটা?

রানা যদি তোর দলের কেউ না হবে তো তুই আগ বাড়িয়ে এসবের প্রমাণ দিয়ে কি করিস? ঘটনার সাথে সাথে উদ্ধার কাজে পড়লি না? তাদেরকে না বাঁচিয়ে দূরে থেকে কুটনামী কিসের? তোর শশুর বাড়ি যাওয়ার BAL এর ট্রেন স্টার্ট দেওয়ার সময় আর পাসনি? হাজার হাজার মানুষের মূত্যুর চেয়ে নয়া বেশরমটার শপথটা কি খুব দরকারি ছিল? বাংলাদেশের এক নাম্বারের পদ; দাম কি আর কম?

কি হল গালে টোল দেখিনি জেলি মাখনি ঠোঁটে?

নতুন দিনের জীবনগানের কতইনা মধুর সুর!
আজ কেন আমি একাকি বাড়ি রয়ে যাই বহুত দূর!
কোথা আজ তোমার বাসন ধুয়ে নলা খাইয়ে দেয়া
ঘর থেকে পা বাড়াবার আগে আলিঙ্গন করে নেয়া!
কি হল গালে টোল দেখিনি জেলি মাখনি ঠোঁটে?
লাজুক মুখের শান্তি হাসিও কপালে জোটেনি মোটে!
সব আছে আজ আমার ঘরে; তোমার নাই নড়াচরা
বিছানার সব পড়েই আছে আমিও সাথে পড়া!

শুনবেন নয়া মনটা কেন তবুও একটু হেসে উঠল???

শুনবেন না?
আমার চোখের সামনেই আমার হাজার হাজার ভাইকে হত্যা করার পরও আজ মনটা কেন আজও মুচকি হাসল?

-তবে শুনুন!
ফেসবুকের ইয়া বড় বাঁশেরকেল্লায় দেখলাম আমাদের ছোট্ট গাজীপুরের কথা! এখানে নাকি মিথ্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়া জনতার হাতে মারা পড়ল এক নিরিহ পুলিশ। নিরিহ এইজন্য যে, জনতার রোশের কাছে পুলিশের বন্দুক কিছুই না। আহারে বেচারা! নাস্তিক মুরতাদের অর্ডার মানতে গিয়া জনতার হাতে নব্য ফেরাউনদের প্রথম শহীদ নামে কুকুরলীগ থাবা বাবা ওরফে রাজিবের ভাগ্যকে বরণ করে নিলি। ঈমান নিয়ে মরার তৌফিক জুটল না। হাসিনার চামচামি কইরা এখন খা জনমের খাওয়া ঘুষ! হয় তো এখন আল্লাহর মাইরে নাই মাথায় তোর হুঁশ!

মুচকি না হেসে পারলামই না যে, মুজাহিদগণ ঠিক লড়ে যাচ্ছে। এক এক করে বিজয় আসছে, আসবে! আল্লাহ আমাদের বিজয় দিবেন, এটা আল্লাহর ওয়াদা। তবে মাঠে থাকতে হবে আর ধৈর্য ধরে যুদ্ধ করতেই হবে! সব মুজাহিদদের জন্য আমার প্রাণঢালা হাজার সালাম! আমিন!
(আমাকে নতুন করে বন্ধু করে নিবেন)

সোমবার, ৩ জুন, ২০১৩

একটু পরেই সকাল হবে সামনে এগিয়ে চল্

আঁধার যখন গভীর ওরে মুসলিম বীরের দল
একটু পরেই সকাল হবে সামনে এগিয়ে চল্ ।
রাজপথ দিয়ে আমরা যখন হেটেই চলছি আজ
ইসলামী রাজ গড়ব এখন এটাই বড় কাজ।
দুই চার হালি নাস্তিক দিয়া সরকার রিমোট চালে
সরকারই তো গঠফাদার হয় নাস্তিকদের তালে।
আল্লাহ আছেন আমাদের সাথে বিশ্বাষ আস্থা রাখো
মালাউনরা দেশ ছাড়িবে জেহাদে অটুট থাকো!
পরিবেশ দেখ পাল্টে গেছে; বুমেরাং তলে তলে
সাঈদীর মিথ্যা ফাঁসির দড়ি হাসিনার লম্বা গলে!
তারপরেও মাতালগুলোর হুঁশ ফিরে না এল
শাপলা চত্বর মুমিন রক্তে শহীদী চত্তর হল!
ছাড় দিয়েছি চারটা বছর, আর কত দিন যাবে?
খালি হাতে প্রতিবাদ নয়; প্রতিরোধ সমভাবে!

আসসালামু আলাইকুম!

সবাইকে আমার প্রাণভরা ভালবাসা আর শুভ কামনা...