অনেক দিন আমি প্রাইমারি গ্রুপে ঢুকিতে পারিনাই। অনেক দিন! নেট প্রচন্ড
রকম স্লো আছিল। কিন্তু বেবাক্কের লেখাগুলো পড়তে পারছিলাম। কিন্তু একটা বিষয়
লক্ষ্য করছি, নতুন বছর নিয়া, নতুন বই নিয়া, নতুন নিয়োগ নিয়া সবাই ব্যস্ত।
আমার যে মন ভাল নাই সেটা আমি কা্রে বলি বুঝাই? সহকারীদের মনে ভীষণ দুঃখ।
হয়তো কিছু দিন যাবত অনেকেরই মনে নাই। ৯ই মার্চের ঘোষণার আগে আমরা সহকারীরা
আর হেড স্যারেরা যখন এক লগে ঢাকা গিয়া আন্দোলন করতে গেলাম, সরকার শুধু হেড
স্যারদের আলাদা ডাইকা নিয়া ভালা ভালা খাওয়াইল। আর আমাদেরকে না খাওয়াইয়া ফিরাইয়া দিল। সেটা কি আমার প্রেস্টিজে লাগে নাই? আপনার লাগে নাই?
আচ্ছা বাদ দিলাম ঐ কথা। আমরা সহকারীরাই তো মিলিয়া ঝিলিয়া সরকারকে দুঃখ কইব
বলিয়া সারা দেশ থেইকা ঢাকা যাইয়া মিটিং কইরা নতুন একটা সমিতি করলাম। ভালা
মনে কইরা একজনকে আহবায়ক কইরা দায়-দায়িত্ব সব বুঝিয়া দিলাম। উনি এখন এই
সমিতির মালিক। আর কেউ এই সমিতিতে আসতে পারবে না। তাই আমরাও আর যাইনা। এই
সমিতি কি কেউ একা সাব-কবলা করে কিনেছে? নাকি বাবার সম্পত্তি হিসেবে ওয়ারিশ
পেয়েছে? সহকারীরা জানতে চায়! পে-স্কেল ঘোষণা হয়েই গেল। আজ হইছে? ঘোষণারও
অনেক দিন চইলা যাইতাছে! আর সময় খুব বেশি দূরে নাই। কোথায় আমাদের মনের কথার
প্রকাশ? আমাদের কথা তো দেখি এই ফেসবুক পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী কি জানেন
আমাদের মনে এত দুঃখ? তিনি কি জানেন আমাদের ভাঙ্গা মন নিয়াই প্রতিদিন ৯টা
থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইস্কুলে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করি? যদি না
জানেন তবে জানািবে কে? কিভাবে আগামী জুলাই/১৫ এর মধ্যে আমাদের কাংখিত
মর্যাদা পাই? একটু ভাবুন! সময় চইলা যায়! আর এ সুযোগ পাইব না! যেভাবে তফাত
বাইড়া যাইতাছে তাতে আমাদের ভবিষ্যত আন্ধাইর। শিক্ষক হইয়াও আমরা কর্মচারী।
আর তর সইতাছে না। কে আছো জোয়ান? হও আগুয়ান! হাঁকিছে ভবিষ্যৎ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন